আসসালামু আলাইকুম।
স্বামীর সাথে মনোমালিন্য হয়েছ সামান্য। তার জন্য ডালের ভরা রেখেছি পঁচে গেছে ডাল,সে জব থেকে বাড়িতে আসার পর আজ বানাইছি।তা পঁচে গেছে,সে জন্য বার বার বলতেছিলো পঁচে গেলো,নিজেও খাইলা না আগে,ঘরেরর মানুষরেও দিলা না।আজ পঁচালা।
তো আমার অনেক অভিমান হলো ওর জন্য রাখলাম ও এগুলা বলে।
তাই কষ্ট পেলাম,পরে সে রাগ ভাঙ্গাচ্ছে,বলতেছে কত ভালোবাসি তোমায়।আমি বলছি আর কোনদিন রান্না করবো না তোমার জন মনে রাখবা,স্পেশাল কিছু করবো না,ঘরে যা আছে তা খাবা(,এমন প্রায় ৩০-৪০ মিনিট তোষামোদ করতেছিলো আমাকে)
ও বলতেছে আমি তোমাকে খাওয়াবো বলো কি খাবা।এমন করে অনেক সময় ট্রাই করতেছে।ও আসলে শান্ত বাট রসিক মানুষ। আমি রাগের ভান ধরে আছি।এরপর বললাম তোমার ঐ গেঞ্জিটা কই?পাচ্ছি না?
ও বুঝছে আমি রাগ।তাই
অন্য প্রসঙ্গ নিচ্ছি।তখন ও নিজেও একটু রাগের ভান করে বলতেছে আমার গেঞ্জি নিয়ে ভাবতে হবে না আর,আর কিছু নিয়ে ভাবতে হবে বা।তুমি মুক্ত।
আমি খুব-ই হাইপার হয়ে বললাম এটা কি বললা?কি করলা?
সে অবাক হয়ে বললো আরে কি বললাম?রান্না করতে হবে না,এটা থেকে মু্ক্তি দিলাম।এটাই না বললাম।
এরপর মানসিক অশনান্তিতে পরে এক হানাফি হুজুরকে বললাম।উনি বলে এক তালাক হয়ে গেছে।নতুন করে ৫ হাজার টাকা মোহরানা দিয়ে বিয়ে পরাতে হবে হুজুর দিয়ে পার্সোনালি।
আমার জামাই শুনে খুব রেগে গেছে বলতেছে এই নিয়তে এই কথা বলি-ই নাই আমি?এটা কীভাবে সম্ভব?যেই কথা বলি নাই।বলছি রান্না থেকে মুক্তি দিলান,তুমি কি বলো এসব?সে এটা মানেই না।
এখন আসলে সঠিক কি?নিয়ত না থাকলে কীভাবে হয়?রান্না থেকে মুক্তি তালাকের নিয়ত হয় কীভাবে?