আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
35 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমার স্বামী আমাদের মাঝে ঝগড়া হলে প্রায়ই তালাকের ইঙ্গিতপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করে। যেমন, ভালো না লাগলে চলে যাও, বাপের বাড়ি চলে যাও, ঘর থেকে বের হও, যা ভাগ ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি তখন ভয়ে ভয়ে প্রতিবারই জিজ্ঞেস করি ওর এই কথার দ্বারা তালাকের নিয়ত ছিলো কিনা। ও প্রতিবারই বলে যে না এমন কিছু আমি চিন্তাও করিনা। বা এমন নিয়ত নিয়ে কখনো কিছু বলে নাই।  তো গত কয়েকদিন আগে এই টাইপের বাক্য বলার পর আমি ওকে আবারো জিজ্ঞেস করতে যাই যে ওমন কোনো নিয়ত ছিলো কিনা আর অনুরোধ করি যে এই টাইপ বাক্য যেন ও আর ব্যবহার না করে। তখন ও এক কথায় দু কথায় রেগে যায়। এবং বলে যে "বারবার এই কথা বলো। ঝগড়ার সময় তো মানুষ কত কথাই বলে। আমি ওমন কিছু কখনো মিন করিনাই। তো তুমি কি বলতে চাচ্ছো বা তুমি কি মনে করছো? আমরা যিনার মধ্যে আছি? ঠিক আছে, যিনার মধ্যেই আছি, যাও ( অথবা যিনার সম্পর্কেই আছি, যাও)।" এক্সাক্টলি যিনার মধ্যে আছি বলেছে নাকি যিনার সম্পর্কে আছি বলেছে সঠিক মনে নেই। তবে যিনার মধ্যেই আছি বলেছে বলেই বেশি মনে হচ্ছে। মানে সে এটা মিন করে নাই। বরং সে এটা মনেই করছে না যে আমাদের মাঝে এমন টাইপের কোনো সমস্যা হয়েছে। রাগের মাথায় বলেছে কথাটা। তাকে আমি বারবার জিজ্ঞেস করেছি যে এই কথা বলার সময় তার নিয়ত কি ছিলো? সে বারবারই আমাকে আশ্বস্ত করেছে যে "এই কথা তো আমার কথা না। তুমি হয়তো এমনটা ভাবছো বা মনে করছো দেখে আমি রাগ করে এই কথা বলেছি। যেমন কেউ আমাকে চোর অপবাদ দিলে এবং আমার কথা বিশ্বাস না করলে আমি বলবো ঠিক আছে যাও আমি চোর।" এভাবে আমাকে বুঝিয়েছে। সে বারবার বলেছে তালাকের নিয়তে সে কখনোই আমাকে কিছু বলেনি। যাই হোক, আমি এখন জানতে চাচ্ছি আমার স্বামীর এই কথার দ্বারা আমাদের বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা? অর্থাৎ সে হয়তো ওইরকম নিয়ত করেনি কিন্তু কথাটা এমন কোনো কথা কিনা যার কারণে নিয়ত না থাকলেও কোনো সমস্যা হতে পারে?

1 Answer

0 votes
by (705,360 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
গ্রহণযোগ্য ফেকহি কিতাব "ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া) তে বর্ণিত রয়েছে,
لا يقع بها الطلاق إلا بالنية أو بدلالة حال كذا في الجوهرة النيرة. ثم الكنايات ثلاثة أقسام (ما يصلح جوابا لا غير) أمرك بيدك، اختاري، اعتدي (وما يصلح جوابا وردا لا غير) اخرجي اذهبي اعزبي قومي تقنعي استتري تخمري (وما يصلح جوابا وشتما) خلية برية بتة بتلة بائن حرامٌ
কেনায়া শব্দাবলী দ্বারা নিয়ত ব্যতীত বা তালাকের ব্যাপারে ইশরা ইঙ্গিত ব্যতীত তালাক পতিত হয় না।কেনায়া তালাক তিন প্রকার যথাঃ-
(১) যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক ব্যতীত ভিন্ন কিছু বুঝা যায় না।যেমন,তোমার বিষয় তোমার হাতে,তুমি পছন্দ করো,তুমি গণনা করো। (২) যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক হওয়া এবং না হওয়া উভয়টি বুঝায়।যেমন,তুমু বের হও,তুমি চলে যাও,তুমি আমার কওম থেকে দূরে চলে চাও,তুমি নেকাব পরিধান করো,তুমি পর্দার আড়ালে চলে যাও,তুমি উড়না পরিধান করো। (৩) যা তালাক এবং গালির উভয়টির সম্ভাবনা রাখে। হারাম,বায়িন,মুক্ত,দায়মুক্ত, বাত্তাহ,বাতলাহ ইত্যাদি শব্দাবলি।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1049

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে স্বামী স্ত্রীর উক্ত কথপোকথন দ্বারা কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...