আসসালামু আলাইকুম। আমার স্বামী আমাদের মাঝে ঝগড়া হলে প্রায়ই তালাকের ইঙ্গিতপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করে। যেমন, ভালো না লাগলে চলে যাও, বাপের বাড়ি চলে যাও, ঘর থেকে বের হও, যা ভাগ ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি তখন ভয়ে ভয়ে প্রতিবারই জিজ্ঞেস করি ওর এই কথার দ্বারা তালাকের নিয়ত ছিলো কিনা। ও প্রতিবারই বলে যে না এমন কিছু আমি চিন্তাও করিনা। বা এমন নিয়ত নিয়ে কখনো কিছু বলে নাই। তো গত কয়েকদিন আগে এই টাইপের বাক্য বলার পর আমি ওকে আবারো জিজ্ঞেস করতে যাই যে ওমন কোনো নিয়ত ছিলো কিনা আর অনুরোধ করি যে এই টাইপ বাক্য যেন ও আর ব্যবহার না করে। তখন ও এক কথায় দু কথায় রেগে যায়। এবং বলে যে "বারবার এই কথা বলো। ঝগড়ার সময় তো মানুষ কত কথাই বলে। আমি ওমন কিছু কখনো মিন করিনাই। তো তুমি কি বলতে চাচ্ছো বা তুমি কি মনে করছো? আমরা যিনার মধ্যে আছি? ঠিক আছে, যিনার মধ্যেই আছি, যাও ( অথবা যিনার সম্পর্কেই আছি, যাও)।" এক্সাক্টলি যিনার মধ্যে আছি বলেছে নাকি যিনার সম্পর্কে আছি বলেছে সঠিক মনে নেই। তবে যিনার মধ্যেই আছি বলেছে বলেই বেশি মনে হচ্ছে। মানে সে এটা মিন করে নাই। বরং সে এটা মনেই করছে না যে আমাদের মাঝে এমন টাইপের কোনো সমস্যা হয়েছে। রাগের মাথায় বলেছে কথাটা। তাকে আমি বারবার জিজ্ঞেস করেছি যে এই কথা বলার সময় তার নিয়ত কি ছিলো? সে বারবারই আমাকে আশ্বস্ত করেছে যে "এই কথা তো আমার কথা না। তুমি হয়তো এমনটা ভাবছো বা মনে করছো দেখে আমি রাগ করে এই কথা বলেছি। যেমন কেউ আমাকে চোর অপবাদ দিলে এবং আমার কথা বিশ্বাস না করলে আমি বলবো ঠিক আছে যাও আমি চোর।" এভাবে আমাকে বুঝিয়েছে। সে বারবার বলেছে তালাকের নিয়তে সে কখনোই আমাকে কিছু বলেনি। যাই হোক, আমি এখন জানতে চাচ্ছি আমার স্বামীর এই কথার দ্বারা আমাদের বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা? অর্থাৎ সে হয়তো ওইরকম নিয়ত করেনি কিন্তু কথাটা এমন কোনো কথা কিনা যার কারণে নিয়ত না থাকলেও কোনো সমস্যা হতে পারে?