আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
15 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
এই স্বপ্ন টা যখন দেখি তখন আমি হায়েজরত ছিলাম,কোনো এক্টা কবিরা গুনাহ ও হয়েছিল অই সপ্তাহে

যাই হোক,দেখসি এক জন লোক।এক্টা লুংগি পড়া,আমি চেহারা দেখি নাই এক্টুও,এক্টুও না,শুধু পিঠের পেছন টুকু দেখি।সামনের অংশ আর চেহারা কিছু দেখি নাই।চেহারা ঢাকা ছিল কাল আবসা ্দিয়ে।আর অইটা ছিল রাসুল  সা.।

আমি তখন দেখলা আমার দাদি ওনার স্ত্রী,এমন টাইপ,আর দুই এক্টা কিছু বিষয় যা আমি ভুল বুঝছিলাম,পরে শুধরায় নিসি স্বপ্নে,মানে আমার দাদি যে রাসুল সা. এর স্ত্রী এই হিসেবে,(এই জায়গাতে আমি ভাবছিলাম শয়তান দেখালো কি না,আল্লাহ মাফ করুক আমাকে)

আমি স্বপ্নে তখন হয়তো বুঝতে পারি বা পরে যে আমি যেহেতু গুনাহগার এই কারনে ওনার চেহারা দেখি নাই,আর ওনার সৌন্দর্য ও না।

পরে রাসুল সা. আমাকে আরেকদিন আল্লাহর রাসুল সা. বলছে,যে তুমি কি আমারে দেখতে চাও অথবাএক্টা জিনিস অইটা তুমি চাও?(তখন তিনি আমার সামনাসামনি ছিলেন,সাদা পোশাক পড়া,কিন্তু তখন ও আমি তার চেহারা দেখি নাই,তিনি হাসিখুশি ছিলেন)তুমি এক্টা কাজ করবা,আমার স্ত্রি উম্মে হাবিবা,ও যখন মারা যাইবো তখন তুমি ওর হাতে এক্টা চিরকুট পাইবা,অইটা খুলবা।এদ্দুর ই কথা হয়তো,পরে আর ওনার সাথে কথা দেখা,কিছু হয় নাই।

রাসুল এর স্ত্রি উম্মে হাবিবা যখন মারা গেসে,আমি তখন ছিলাম,আমি ওনার ডান হাত মুষ্টি করা পাইসি এক্টা সাদা চিরকুটে।

অইদিকে লিখা ছিলো ৫০০০ বার দুরুদ আর সাথে প্রতিদিন লিখা ছিল কি না মনে নাই।পরে কিছু এক্টা লিখা ছিল,পরের টুকি আমার মনে নাই,স্বপ্নেই ভুলসি হউতো।

পরে স্বপ্নেই আমি বুঝতে পেরেছি,আমার প্রতিদিন ৫০০০বার দুরুদ পড়া লাগবো,তাইলে আমি হয়তো রাসুল সা কে দেখতে পারব স্বপ্নে।কিন্তু উনি রাগান্বিত ছিল না এক্টুও আমার উপরে।হাসি খুশি ই ছিল।

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমি এই স্বপ্ন টা কে কিভাবে গ্রহন করবো উস্তায?চিরকুটের বিষয় টা বার বার মনে পড়ে।সব ভ্রম কি না মনে হলেও চিরকুট এর বিষটা ভুলতে পারছি না।সত্য্যিই কি স্বপ্নে রাসুল।সা. ছিলেন?এ ব্যাপারে উস্তায আপনার পরামর্শ কামনা করছি

1 Answer

0 votes
ago by (705,360 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «تَسَمَّوْا بِاسْمِي وَلاَ تَكْتَنُوا بِكُنْيَتِي، وَمَنْ رَآنِي فِي المَنَامِ فَقَدْ رَآنِي، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لاَ يَتَمَثَّلُ فِي صُورَتِي، وَمَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,আমার নাম দ্বারা নাম রাখতে পারবে,তবে আমার কুনিয়ত দ্বারা কেউ যেন কুনিয়ত না রাখে,যে ব্যক্তি স্বপ্নে আমাকে দেখবে,সে সত্যই আমাকে দেখবে,কেননা শয়তান আমার সুরত ধারণ করতে পারে না।যে ব্যক্তি আমার উপর মিথ্যা বলবে,সে যেন তার জায়গা জাহান্নামকে বানিয়ে নেয়।(সহীহ বোখারী-১১০)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার আমলে কিছু ঘাটতি রয়েছে। আপনি বেশী বেশী দুরুদ শরীফ পড়বেন। এবং ইসলামের সকল বিধিবিধান মান্য করার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দান রুকন।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...