আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
19 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আমার বড় বোন তার ভার্সিটির ক্লাসের একজন ছেলেকে পছন্দ করে, ছেলেও তাকে পছন্দ করে, বোনের বিয়ের বয়স হয়ে যাওয়ায় পরিবার তাকে বিয়ের কথা বললে সে অসম্মতি জানায় এবং অপেক্ষা করতে বলে। আসল কারণ হলো ছেলেটি এখনো উপার্জন শুরু করেনি, এই কারণ শুধু সে আমাকে জানায় এবং আমি পরবর্তীতে তাকে জানাই যে এরকম মাথার মধ্যে ঠিক করে রেখে তার সাথে চ্যাট করলে এটা গুনাহ হচ্ছে তখন সে জানায়, যেহেতু সে সহশিক্ষায় পড়ছে তাই ছেলেদের সাথে তার যোগাযোগ হবেই, সে সকল কথা পড়াশোনা বিষয়কই বলে ঐ ছেলেটির সাথে, এমন আমাকে জানায় তাও আমি বুঝানোর চেষ্টা করেছি যে তাহলে বিয়ে করে হালাল করে রাখতে বা কথা বন্ধ করতে যেহেতু তাদের দুজনেরই মাথায় নিজেদের নিয়ে কিছু আছেই।
বোনকে বুঝানোর পর সে এসব বলে আমাকে বসিয়ে দেয়, আমি পরিবারের বড় কাউকে জানাইনি বিষয়টি কারণ জানালেও সে তার মতোই থাকবে, বরং পরিবারের বাকিদের কষ্ট বাড়বে, বোনের মধ্যেও দ্বীনি বুঝ আছে, কিন্তু সেভাবে পালন করেনা। আওয়াল ওয়াক্তে নামাজ ও আদায় করেনা, তায় নিয়েও বুঝিয়েছি এবং আনুষাঙ্গিক আরো কিছু বিষয়। আল্লাহ তাকে হেদায়েত দান করুক।


এমতবস্থায় আমি জানতে চাচ্ছি
১) তার এইসব আচরণ এর জন্য আমার তার সাথে আগের মতোন খবর নিতে ইচ্ছা হয়না, সে ঢাকার বাহিরে পড়াশোনা করে তাই নিজ থেকে খবর নিয়ে কথা বলা হয় এখন পর্যন্ত। আমি কি আল্লাহর জন্যই তার সাথে দূরত্ব সৃষ্টি করতে পারবো? নাকি এতে আমার গুনাহ হবে? আত্মীয়তার ক্ষেত্রে যে আদেশ আছে তা কি লংঘন হবে কিনা? এখন এসব কথা আজই হয়েছে তার সাথে এরপর কথা বললে এমন মনে হবে যে তার গুনাহ সে করতেই থাকবে, পরিবার ও আখিরাত ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তার সাথে কথা বলতে আমার তার গুনাহের কথা, এবং সঠিকভাবে দ্বীন না পালন এর বিষয়টি খেয়াল থাকে যার কারণে কথা বলে মন চায়না। আমি কি তার সাথে কথা না বলে থাকতে পারবো?
২) আর তার করণীয় কাজগুলো তো শরীয়াহ বিরোধী না?

1 Answer

0 votes
by (704,070 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অন্তরে গুনাহ ধারণকারীদের ধমকি স্বরূপ আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেনঃ
ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﺧَﺎﺋِﻨَﺔَ ﺍﻟْﺄَﻋْﻴُﻦِ ﻭَﻣَﺎ ﺗُﺨْﻔِﻲ ﺍﻟﺼُّﺪُﻭﺭُ
চোখের চুরি এবং অন্তরের গোপন বিষয়সমূহ তিনি জানেন।(সূরা আল-মু'মিন-১৮;)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,নবীজী সাঃ বলেনঃ
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﺇﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻛﺘﺐ ﻋﻠﻰ ﺍﺑﻦ ﺁﺩﻡ ﺣﻈﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﺰﻧﺎ ، ﺃﺩﺭﻙ ﺫﻟﻚ ﻻ ﻣﺤﺎﻟﺔ ، ﻓﺰﻧﺎ ﺍﻟﻌﻴﻦ ﺍﻟﻨﻈﺮ ، ﻭﺯﻧﺎ ﺍﻟﻠﺴﺎﻥ ﺍﻟﻤﻨﻄﻖ ، ﻭﺍﻟﻨﻔﺲ ﺗﻤﻨَّﻰ ﻭﺗﺸﺘﻬﻲ ، ﻭﺍﻟﻔﺮْﺝ ﻳﺼﺪﻕ ﺫﻟﻚ ﻛﻠﻪ ﻭﻳﻜﺬﺑﻪ "
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা লাওহে মাহফুযে আদম সন্তানদের জন্য (নিম্নোক্ত কারণে) যিনার একটা অংশ লিখে রেখেছেন,যার শাস্তি সে অবশ্যই উপভোগ করবে।চোখের যিনা হচ্ছে বেগানা নারীর দিকে দৃষ্টি দেওয়া।জবানের যিনা হচ্ছে উক্ত মহিলার সাথে কথা বলা।অন্তরের যিনা হচ্ছে মনে মনে যিনার আশা-আখাঙ্কা করা।আর লজ্জাস্থান কখনো যিনাকে বাস্তবায়িত করে আবার কখনো করে না।(সহীহ বুখারী-৫৮৮৯; সহীহ মুসলিম-২৬৫৭;মিরকাত-৮৬;)


মোল্লা আলী ক্বারী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় বলেনঃ
وفيه دلالة على أن التمني إذا استقر في الباطن، وأصر صاحبه عليه، ولم يدفعه يسمى زنا، فيكون معصية، ويترتب عليه عقوبة، ولو لم يعمل فتأمل.
এত্থেকে বুঝা গেলো যদি যিনার আশা-আখাঙ্কা মনের গভীরে স্থান করে নেয়,এবং সে নিয়মিত উক্ত চিন্তাকে মনের ভিতর লালন-পালন করে, বিসর্জন দেয়না, তাহলে এটাও যিনা বলে সাব্যস্ত হবে,এবং গুনাহ হবে। এ জন্য তাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে,যদিও সে তার উক্ত চিন্তাকে বাস্তবায়িত করেনি। (মিরকাত-৮৬ হাদীসের আলোচনা দ্রষ্টব্য) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/510

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আপনি আপনার বোনের সাথে হেদায়েতের নিয়তে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করবেন।
(২) বিবাহ বহির্ভূত নারী পরুষের বিনা জরুরতে যোগাযোগ অবশ্যই হারাম।তাই এত্থেকে বেচে থাকতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...