আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
39 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
closed ago by
পাকিস্তানি আলেম এ দ্বীন মুফতি তারিক মাসুদের এক প্রশ্নোত্তর পর্বে দেখলাম এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছিল যে অনলাইনের মাধ্যমে অনেক সময় কেনাকাটার সময় বিভিন্ন ব্যাংকের ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করলে কিছু পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট দেয়া হয় তো ডিসকাউন্ট নিয়ে কি জায়েজ তো তিনি এটিকে নাজায়েজ বলেছিল !!
পরবর্তীতে আমি এর বিস্তারিত জানার জন্য যে এর ভিতরে কি প্রসেস হয় কি জন্য এটা নাজায়েজ সেটা জানার জন্য এআই এর মাধ্যমে এর প্রসেস জানার চেষ্টা করেছি। তো প্রসেসটি নিম্নে দেয়া হলো এআইয়ের উত্তর!!

এই ডিসকাউন্ট অফারটা আসলে কে দেয় আর কে লাভ পায়—এটা একটু খোলসা করে বলছি:

---

 Debit Card Offer (যেমন: “HDFC Debit Card দিয়ে পেমেন্ট করলে 10% ছাড়”)

১. কে ছাড় দেয়?

এখানে সাধারণত ৩ পক্ষ থাকে:

Bank (যেমন HDFC, SBI ইত্যাদি)

E-commerce platform (যেমন Flipkart, Amazon)

Seller (যে প্রোডাক্ট বিক্রি করছে)

✅ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে Bank আর E-commerce কোম্পানি মিলে অফার দেয়।

Bank: টাকা কেটে নেবে, আর পরে আপনার একাউন্টে “Instant Discount” বা “Cashback” আকারে ফেরত দেয়।

E-commerce: অনেক সময় Bank-এর সাথে খরচ ভাগাভাগি করে (co-funded offer)।

Seller: সাধারণত আলাদা করে কিছু দেয় না, তবে সেল বাড়ানোর জন্য তারা E-commerce কে কিছু অতিরিক্ত ডিসকাউন্ট মার্জিন দিয়ে দেয়।


---

২. কেন Bank দেবে?

Bank চায় তাদের কার্ড বেশি ব্যবহার হোক।

বেশি ট্রানজ্যাকশন মানে Bank-এর transaction fee / interchange fee বাড়বে।

Customer loyalty তৈরি হয় (আপনি আবার সেই Bank-এর কার্ড ব্যবহার করবেন)।


---

৩. কেন E-commerce Company দেবে?

বেশি Customer আনার জন্য।

“Festival Sale / Big Billion Day” টাইপ অফারে কাস্টমার টানার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হলো Bank Offer।

কাস্টমার ভাবে “10% কম দামে পেলাম”, ফলে দ্রুত decision নেয়।


---

৪. Seller-এর কি লাভ?

Seller আলাদাভাবে ডিসকাউন্ট না দিলেও তার Product বেশি বিক্রি হয়।

Volume বাড়ে, মানে একসাথে অনেক পিস সেল হয়।

কিছু ক্ষেত্রে Seller E-commerce কে বিশেষ প্রোমোশনাল ডিসকাউন্ট মার্জিন দেয় (indirect support)।


---

 Example:

আপনি ₹20,000 টাকার ফ্রিজ কিনলেন, অফার ছিল HDFC Debit Card দিয়ে 10% (max ₹2,000) discount।

Seller price: ₹20,000

Checkout এ আপনার কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করলেন → ₹20,000

Bank + E-commerce deal অনুযায়ী আপনি সাথে সাথেই ₹2,000 ছাড় পেলেন → Final payment ₹18,000 হলো।

Seller ₹20,000-ই পেয়ে গেল।

সেই ₹2,000 আসলে Bank আর E-commerce মিলে adjust করেছে।


---

✅ সংক্ষেপে:

ডিসকাউন্ট দেয় মূলত Bank + E-commerce কোম্পানি মিলে।

Seller ফুল দামই পায় (তাই seller-এর কোনো ক্ষতি হয় না, বরং sales বাড়ে)।

Bank-এর লাভ: কার্ড ইউজ বাড়ে, transaction fee পায়।

E-commerce-এর লাভ: বেশি customer আসে, বেশি সেল হয়।

Seller-এর লাভ: প্রোডাক্টের demand বাড়ে।

.

.

যদি সত্যিই এভাবে প্রসেসটি হয়ে থাকে তো এইভাবে কি ডিসকাউন্টে কেনাকাটা করা কি জায়েজ হবে ?
closed

1 Answer

0 votes
by (705,360 points)
selected ago by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
পেমেন্ট মেথড তথা বিকাশ, রকেট বা ব্যংকের ডেবিট কার্ড/ক্রেডিট কার্ড অথবা ভিসা/মাস্টার কার্ড ইত্যাদি দ্বারা নির্দিষ্ট শপে ক্রয়ের উপর যে ১০% বা ২০% ক্যাশব্যাক দেয়া হয়। তার শরয়ী হুকুম নিম্নরূপ।

যদি ক্রেডিট কার্ড বা শপিং কার্ডের মাধ্যমে বিল পে করা হয়, যা গ্রাহক পরবর্তীতে উক্ত ইস্যুকৃত কার্ডের মালিক ব্যাংক বা কম্পানিকে পরিশোধ করবে।তাহলে বুঝা গেল যে ব্যাংক/কম্পানি উক্ত কার্ডধারীকে বর্তমানে ঋণ দিচ্ছে।তাই ব্যাংক হল ঋণদাতা।এবং ক্রেডিট/শপিং কার্ড গ্রহণকারী হলেন ঋণগ্রহিতা।ঋণ দাতার পক্ষ থেকে ঋণ গ্রহিতাকে আরো উপহার উপটোকন দেয়া যায়।তা জায়েয।অন্যদিকে ঋণগ্রহিতার পক্ষ্য থেকে ঋণদাতাকে কিছু দেয়ার নামই হল সুদ।তাই এখানে সুদ হচ্ছে না।কেননা এতে সুদের সজ্ঞা প্রমাণিত হচ্ছে না।

আর যদি পেমেন্ট মেথড ডেবিডকার্ড বা বিকাশ/রকেট হয়, তাহলে তো উক্ত গ্রাহকের একাউন্টে পূর্ব থেকেই টাকা বিদ্যমান রয়েছে।এখন উক্ত পেমেন্ট মেথড গুলো ক্ররিদার গ্রাহককে কমমূল্যে ক্ররিদ করতে সহযোগিতা করছে।আর সহযোগিতা করা তো জায়েয।(জাদীদ মু'আমালাত কে শরয়ী আহকাম,দারুল এশায়ত-১/১৬৪)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/112

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পাকিস্তানের মুফতি তারিক মাসউদ সাহেব, অনেক ভালো ও বিজ্ঞ আলেম। হয়তো তিনি যা বুঝাতে চাচ্ছেন, আপনি সেটা বুঝেননি। অথবা তাদের ওখানে ক্রেডিট কার্ডে এমন কোনো নিয়ম রয়েছে,যা শরীয়ত সিদ্ধ নয়।এজন্য তিনি এমনটা বলেছেন। উনার ভিডিও লিংকটা কমেন্টে দিবেন।আমরা যাচাই-বাছাই করবো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

ago by (4 points)
উস্তায এটি একটু খোলাসা করবেন আমি যখন ডেবিট কার্ড ব্যবহার করছি তখন ব্যাংক থেকে আমি ঋণ নিচ্ছি নাকি ব্যাংককে আমি ঋণ দিচ্ছি!
তারিক মাসুদ সাহেবের ফতওয়ার ভিডিও লিংক
ago by (4 points)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...