আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
12 views
ago in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (18 points)

ওয়েবসাইটে অনেক ঘাটাঘাটির পর প্রশ্ন টা করতেছি, জাস্ট কনফিউশান ক্লিয়ার জন্য। 

 

আকা আকি নিয়ে অনেক প্রশ্ন উত্তর দেখলাম,সেখানে, উত্তরে বলা হয়েছে মাথা ছাড়া ছবি আকলে কোনো সমস্যা নেই।

 

******আবার প্রান নেই এমন বস্তু তে চোখ,মুখ,হাত আকা যাবে,তাই তো?

https://drive.google.com/drive/folders/1qC6XTZ2BWzQxBu9TCZpvA-GKtBTOl7Hg?usp=sharing

আমি ড্রাইভ ফাইলে সব ছবি দিচ্চি অনুগ্রহ করে উত্তর দিবেন।

 

১. Prani shape decor ৩-- একরম প্রানী বুঝায় এমন আকৃতিতে জিনিস বানানো জায়েজ?

২. islamic boi 5---- ইসলামিক / শিক্ষার উদ্যেশ্য এ এমন আর্ট বইয়ে ছাপানো যাবে? এ-আই বা কম্পিউটার দিয়ে বইয়ে এমন আর্ট ছাপানো যাবে কি?

৩. faceless pic 1---- এরকম ফেস ছাড়া, জাস্ট গোল দিয়ে আকা আকি করা যাবে?

৪. animation 6,9,11 --- এরকম গোল মাথায় শুধু চোখ মুখ আকা যাবে?

৫. Animation 2-- এরকম অ্যানিমেশন করা যাবে? গলা ছাড়া৷ গলা নেই কিন্ত। 

 

" ড্রাইভ লিংকে ফাইলের নাম প্রশ্নের নাম দিয়ে লিখা আছে৷ অনুগ্রহ করে ছবি গুলো দেখে উত্তর দিবেন"

জাযাকাল্লাহ খইরন

1 Answer

0 votes
ago by (671,280 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/30362/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
প্রানীর এমন ছবি যেখানে মাথা,চেহারা থাকে,সেটি নিষেধ।
প্রানীর ছবিতে যদি এমন কাজ করা হয়,যাতে সেটি প্রান বিশিষ্ট প্রানীর ছবি মতো মনে না হয়,তাহলে সেটির উপর ছবির বিধান আরোপ হবেনা।
কিন্তু যদি জান বিশিষ্ট প্রানীর বর্ণনা বুঝা যায়,তাহলে তাহলে সেটি হারাম ছবির অন্তর্ভুক্ত হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَقُولُ : " كُلُّ مُصَوِّرٍ فِي النَّارِ ، يُجْعَلُ لَهُ بِكُلِّ صُورَةٍ صَوَّرَهَا نَفْسًا ، فَيُعَذِّبُهُ فِي جَهَنَّمَ " . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ : فَإِنْ كُنْتَ لَا بُدَّ فَاعِلًا فَاصْنَعِ الشَّجَرَ وَمَا لَا رُوحَ فِيهِ . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, প্রত্যেক ছবি প্রস্তুতকারী জাহান্নামী। সে যতগুলো ছবি তৈরি করেছে (কিয়ামতের দিন) সেগুলোর মধ্যে প্রাণ দান করা হবে এবং জাহান্নামের শাস্তি দেয়া হবে। ইবনু ‘আব্বাস  বলেন, যদি তোমাকে একান্তই ছবি তৈরি করতে হয়, তাহলে গাছ-গাছড়া এবং এমন জিনিসের ছবি তৈরি কর যার মধ্যে প্রাণ নেই।
সহীহ : বুখারী ২২২৫, মুসলিম ৫৬৬২, আহমাদ ২৮১০, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ৩০৫৪।

মাথা কর্তিত থাকলে সেই ছবি হারামের হুকুম থেকে বাহির হয়ে যাবে।

যেমনঃ হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ : " ﺍﻟﺼُّﻮﺭَﺓُ ﺍﻟﺮَّﺃْﺱُ، ﻓَﺈِﺫَﺍ ﻗُﻄِﻊَ ﺍﻟﺮَّﺃْﺱُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﺑِﺼُﻮﺭَﺓٍ ."
প্রাণীর মাথা-ই হল মূলত ছবি তথা প্রাণীর মাথাটাই ছবির উল্লেখযোগ্য অংশ।যখন কোনো ছবির অাকৃতি থেকে মাথাকে কেটে ফেলা হবে,তখন সেটা যেন কোনো ছবিই না।(সুনানে বায়হাক্বী-১৪৫৮০)

خلاصۃ الفتاوی  :
"وإن کانت مقطوع الرأس لا بأس به، وکذا لو محی وجه الصورة فهو کقطع الرأس".  (1/58، کتاب الصلوٰۃ، ط: رشیدیہ)
সারমর্মঃ 
যদি ছবি থেকে মাথা কেটে ফেলা হয়,তাহলে কোনো সমস্যা নেই।
একই ভাবে যদি চেহারা মুছে ফেলা হয়,তাহলেও কোনো সমস্যা নেই। এটিও মাথা কেটে দেয়ার মতোই।


فتاوی شامی   :
" أو مقطوعة الرأس أو الوجه)  أو ممحوة عضو لاتعيش بدونه (أو لغير ذي روح لا) يكره؛ لأنها لاتعبد وخبر جبريل مخصوص بغير المهانة كما بسطه ابن الكمال.
(قوله: أو مقطوعة الرأس) أي سواء كان من الأصل أو كان لها رأس ومحي، وسواء كان القطع بخيط خيط على جميع الرأس حتى لم يبق له أثر، أو بطليه بمغرة أو بنحته، أو بغسله لأنها لاتعبد بدون الرأس عادة وأما قطع الرأس عن الجسد بخيط مع بقاء الرأس على حاله فلاينفي الكراهة لأن من الطيور ما هو مطوق فلايتحقق القطع بذلك، وقيد بالرأس لأنه لا اعتبار بإزالة الحاجبين أو العينين لأنها تعبد بدونها وكذا لا اعتبار بقطع اليدين أو الرجلين بحر (قوله: أو ممحوة عضو إلخ) تعميم بعد تخصيص، وهل مثل ذلك ما لو كانت مثقوبة البطن مثلاً. والظاهر أنه لو كان الثقب كبيراً يظهر به نقصها فنعم وإلا فلا؛ كما لو كان الثقب لوضع عصا تمسك بها كمثل صور الخيال التي يلعب بها لأنها تبقى معه صورة تامة تأمل (قوله: أو لغير ذي روح) لقول ابن عباس للسائل: "فإن كنت لا بد فاعلاً فاصنع الشجر وما لا نفس له" رواه الشيخان، ولا فرق في الشجر بين المثمر وغيره خلافاً لمجاهد بحر". (1/ 648،  کتاب الصلوٰۃ، باب مایفسدالصلوٰۃ وما یکرہ فیھا، ط: سعید)
সারমর্মঃ  
ছবি থেকে এমন অঙ্গ কেটে ফেলা,যাহা ছাড়া প্রানী জীবিত থাকতে পারেনা,তাহলে সেই ছবি মাকরুহ হবেনা।
কেননা এমন ছবির ইবাদত করা হয়না।
,
কোনো প্রাণীর ছবিতে যদি এমনভাবে আর্ট করা হয় যে, দেখার পর আর প্রাণীর ছবি বুঝা যায় না, তাহলে সেই অঙ্কনকাজ হারাম থেকে বাহির হয়ে যাবে। কিন্তু যদি দেখার পর সেটাকে প্রাণীর ছবিই মনে হয় বা সেটা প্রাণীর দিকে ইঙ্গিত দেয়, তাহলে সেটা হারামই থাকবে।

কিন্তু যদি সমস্ত চেহারাকে মিটিয়ে দেয়া হয় অথবা মাথাকে কর্তন করে দেয়া হয় কিংবা মাথা এবং শরীরের মধ্যে কর্তন রেখা এটে দেয়া হয়, তাহলে যেহেতু এটা দ্বারা বাস্তবিক কোনো ছবি বুঝা যাবে না বা সেটা কোনো ছবির দিকে ইঙ্গিত করবে না, তাই অবশ্যই সেটার রুখসত থাকবে।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/92238

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ড্রাইভ লিংকে যেসব ছবি রয়েছে, সেখানে শুধুমাত্র ৬ ও ৮ নং ছবির ব্যপারে সমস্যা নেই।

ইহা ছাড়া বাকি ছবি গুলো জায়েজ হবেনা।

প্রান নেই এমন বস্তু তে চোখ,মুখ,হাত আঁকা হলেও তাহা জায়েজ হবেনা।

এমন ছবি যাতে প্রানীর চোখ মুখ চেহারা পরিস্ফুটিত হয়,সেটা কোনোক্রমেই জায়েজ হবেনা। যদি এমন হয় যে মাথা আছে,তবে প্রানীর চোখ মুখ চেহারা পরিস্ফুটিত নয়,চোখ মুখ চেহারা কিছুই নেই,যেমনটি ড্রাইভ লিংকে দেয়া ৬ ও ৮ নং ছবি।

এধরণের ছবি উলামায়ে কেরামগন অনুমোদন দিয়েছেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

ago by (18 points)
তাহলে প্রান নেই এমন বস্তুতে কি দেয়া যাবে? শুধু চোখ বা শুধু মুখ----??

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...