হাদীস শরীফে এসেছে,
রাসুলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেনঃ-
الْوَلَدُ لِلْفَرَاشِ وَلِلْعَاهِرِ الْحَجَرُ وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللَّهِ»
সন্তান বিছানার মালিকের; আর ব্যভিচারীর জন্য রয়েছে পাথর। আর পরকালে তাদের হিসাব আল্লাহর হাতে।
(তিরমিজি ৩০৭৩)
فتاوی ہندیہ:
لَا تَجِبُ الْعِدَّةُ عَلَى الزَّانِيَةِ وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمَا اللَّهُ تَعَالَى كَذَا فِي شَرْحِ الطَّحَاوِيِّ."
( كِتَابُ الطَّلَاقِ، الْبَابُ الثَّالِثَ عَشَرَ فِي الْعِدَّةِ، ١ / ٥٢٦، ط: دار الفكر)
সারমর্মঃ-
যেনা কারী নারীর উপর ইদ্দত নেই।
এটাই ইমাম আবু হানিফা রহঃ ও ইমাম মুহাম্মদ রহঃ এর মত।
بدائع الصنائع في ترتيب الشرائع:
وَلَا عِدَّةَ عَلَى الزَّانِيَةِ حَامِلًا كَانَتْ أَوْ غَيْرَ حَامِلٍ؛ لِأَنَّ الزِّنَا لَا يَتَعَلَّقُ بِهِ ثُبُوتُ النَّسَبِ.
( كتاب الطلاق، فَصْلٌ فِي تَوَابِعِ الطَّلَاقِ، ٣ / ١٩٢، ط: دار الكتب العلمية)
সারমর্মঃ-
যেনা কারী নারীর উপর ইদ্দত নেই।
চাই সে গর্ভবতী হোক,বা গর্ভবতী না হোক।
কেননা যেনার দ্বারা বংশ সাব্যস্ত হয়না।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
বোনটার তালাকের পর যেহেতু ২ হায়েজ পার হয়েছে, ৩ হায়েজ পার হওয়ার পর এটাকে ইদ্দত পালন হয়েছে বলা যাবে।
উল্লেখ্য, তিন তালাকের পর তারা যেহেতু একসাথে থেকেছে,তাই এটিকে যেনা বলা হবে। তবে এর দরুন ইদ্দতকাল অতিবাহিত হওয়ার জন্য নতুন করে আবার ৩ হায়েজ পার করতে হবেনা।
তবে এক্ষেত্রে সেই নারীর অন্যত্রে বিবাহ হলে একবার হায়েজ অতিক্রম করার পূর্বে ২য় স্বামীর সাথে সহবাস করার অনুমতি নেই।
একবার হায়েজ অতিক্রম করার পর ২য় স্বামীর সাথে সহবাস করতে পারবে।
তবে যদি সেই নারীর গর্ভে বাচ্চা থেকে থাকে,সেক্ষেত্রে বাচ্চা প্রসবের আগ পর্যন্ত ২য় স্বামীর সাথে সহবাস করার অনুমতি নেই।