সুরা সাবার ০৩ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ قَالَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا لَا تَاۡتِیۡنَا السَّاعَۃُ ؕ قُلۡ بَلٰی وَ رَبِّیۡ لَتَاۡتِیَنَّکُمۡ ۙ عٰلِمِ الۡغَیۡبِ ۚ لَا یَعۡزُبُ عَنۡهُ مِثۡقَالُ ذَرَّۃٍ فِی السَّمٰوٰتِ وَ لَا فِی الۡاَرۡضِ وَ لَاۤ اَصۡغَرُ مِنۡ ذٰلِکَ وَ لَاۤ اَکۡبَرُ اِلَّا فِیۡ کِتٰبٍ مُّبِیۡنٍ ٭ۙ﴿۳﴾
আর কাফিররা বলে, ‘কিয়ামত আমাদের কাছে আসবে না।’ বল, ‘অবশ্যই, আমার রবের কসম! যিনি গায়েব সম্পর্কে অবগত, তা তোমাদের কাছে আসবেই। আসমানসমূহ ও যমীনে অনু পরিমাণ কিংবা তদপেক্ষা ছোট অথবা বড় কিছুই তাঁর অগোচরে নেই, বরং সবই সুস্পষ্ট কিতাবে রয়েছে,
কুরআন মাজীদের অন্য জায়গায় আছে-
فَمَنْ یَّعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَیْرًا یَّرَهٗ، وَ مَنْ یَّعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا یَّرَهٗ.
যে এক কণা পরিমাণ ভালো কাজ করবে সে তা দেখতে পাবে। আর যে এক কণা পরিমাণ মন্দ কাজ করবে, সে তা দেখতে পাবে। -সূরা যিলযাল (৯৯) : ৭-৮
یٰبُنَیَّ اِنَّهَاۤ اِنْ تَكُ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِّنْ خَرْدَلٍ فَتَكُنْ فِیْ صَخْرَةٍ اَوْ فِی السَّمٰوٰتِ اَوْ فِی الْاَرْضِ یَاْتِ بِهَا اللهُ، اِنَّ اللهَ لَطِیْفٌ خَبِیْرٌ.
অর্থাৎ, প্রিয় পুত্র! শিরক থেকে বেঁচে তাওহীদের উপর থেকো! আর আল্লাহর নাফরমানী থেকে বেঁচে তাঁর ফরমাবরদারীর মধ্যে থেকো। কারণ আল্লাহ সব জানেন, সব বিষয়ে পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন। তোমার কর্ম, ভালো হোক বা মন্দ, যদি একটি সরিষার দানার সমপরিমাণও হয়, এরপর তা যদি থাকে কোনো পাথরের ভিতরে অথবা আসমানসমূহে অথবা ভূমিতে, সেটিও আল্লাহ উপস্থিত করবেন।
সুরা সাবার ২২ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
قُلِ ادْعُوا الَّذِينَ زَعَمْتُمْ مِنْ دُونِ اللَّهِ ۖ لَا يَمْلِكُونَ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ فِي السَّمَاوَاتِ وَلَا فِي الْأَرْضِ وَمَا لَهُمْ فِيهِمَا مِنْ شِرْكٍ وَمَا لَهُ مِنْهُمْ مِنْ ظَهِيرٍ
বলুন, তোমরা তাদেরকে আহবান কর, যাদেরকে উপাস্য মনে করতে আল্লাহ ব্যতীত। তারা নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের অনু পরিমাণ কোন কিছুর মালিক নয়, এতে তাদের কোন অংশও নেই এবং তাদের কেউ আল্লাহর সহায়কও নয়।