আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
14 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
'বিয়ে' তাকদীরে মুবরাম কিন্তু 'কার' সাথে বিয়ে হবে এইটা তাকদীরে মুআল্লাক।
তাকদীরে মুবরাম হলো সেই তাকদীর যা পূর্বে থেকেই লিপিবদ্ধ আছে এবং কোনো অবস্থাতেই খণ্ডনীয় নয় অর্থাৎ দুআর উছিলায় পরিবর্তিত হবে না। তাকদীরে মুআল্লাক হলো যে তাকদীর ঝুলন্ত সিদ্ধান্তের মতো থাকে অর্থাৎ দুআ/চেষ্টার উছিলায় পরিবর্তনীয়!


এবার বলি আসল কথা যা আমি বলতে চাইছিলাম,
অনেকে একটা কথা বলে থাকেন জন্ম মৃত্যু বিয়ে লিপিবদ্ধ আছে এর কোনো খণ্ডন হবে না। হ্যাঁ কথা সত্য তবে এখানে বিয়ে লেখা আছে বলতে এমনটা বোঝানো হয় যে 'জীবনসঙ্গী সুনির্ধারিত' কিন্তু মূলত এখানে ব্যাপারটা একটু ভিন্ন।


কারো 'বিয়ে হবে নাকি হবে না' এটা সুনির্ধারিত কিন্তু জীবনসঙ্গী কে হবে তা সুনির্ধারিত নয় বরং এটা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার ঝুলন্ত সিদ্ধান্ত অর্থাৎ আপনি দুআ এবং উত্তমরূপে খোঁজ খবর নিয়ে প্রচেষ্টার দ্বারা একজন মনের মতো জীবনসঙ্গী পেতেও পারেন ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহর কাছে প্রকৃত তাকওয়াবান, উত্তম আখলাক এবং চক্ষুশীতলকারী জীবনসঙ্গী চান, সাথে এটাও চাইবেন যেনো আপনি তার জন্য চক্ষুশীতলকারিণী হন। যতই সুন্দর হোক দেখতে, তাকওয়া না থাকলে বাকি সবগুলো ধূলোয় মিশে যায়।


বই: বিবাহ_সমাচার

ড. শায়খ আলী তানতাভী


আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
এইটা কতটুকু সঠিক???

1 Answer

0 votes
ago by (671,040 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

কার সাথে কার বিয়ে হবে সেটা পূর্ব থেকেই নির্ধারিত।
আল্লাহ তাআলা কুরআনে ইরশাদ করেছেন,

وَخَلَقْنَاكُمْ أَزْوَاجًا [٧٨:٨

আমি তোমাদেরকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছি, {সূরা নাবা-৮}

সুতরাং বুঝা গেল জীবনসঙ্গী কে হবে? তা আল্লাহ তাআলা জানেন।নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু বান্দা জানে না। তাই বান্দা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে ভাল পাত্রি/পাত্র দেখে বিবাহ করতে।

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি-থেকে বর্ণিত তিনি বলেন- 

ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ اﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ: ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ اﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ -( «ﻛَﺘَﺐَ اﻟﻠَّﻪُ ﻣَﻘَﺎﺩِﻳﺮَ اﻟْﺨَﻼَﺋِﻖِ ﻗَﺒْﻞَ ﺃَﻥْ ﻳَﺨْﻠُﻖَ اﻟﺴَّﻤَﺎﻭَاﺕِ ﻭَاﻷَْﺭْﺽَ ﺑِﺨَﻤْﺴِﻴﻦَ ﺃَﻟْﻒَ ﺳَﻨَﺔٍ)ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ.

আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মানুষের তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করেছেন আসমান-যমীন সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর পূর্বে এবং তিনি যার ভাগ্যে যা লিপিবদ্ধ করেছেন তাই ঘটবে।(ছহীহ মুসলিম, মিশকাত হাদীস নং/৭৯)। 

https://ifatwa.info/25636/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
জন্ম মৃত্যুর মত বিয়ে শাদী ইত্যাদি সবকিছুই নির্ধারিত রয়েছে।তাকদীরে লিপিবদ্ধ রয়েছে।তাকদীরে যার সাথে বিয়ের কথা লিখিত রয়েছে,তার সাথেই বিয়ে হবে।হ্যা তাকদীরে যা লিখা রয়েছে,তা দু'আর মাধ্যমে পরিবর্তনও হয়ে যেতে পারে।

হযরত সালমান ফারসি রাযি থেকে বর্ণিত,

سَلْمَانَ رضي الله عنه ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يَرُدُّ القَضَاءَ إِلَّا الدُّعَاءُ، وَلَا يَزِيدُ فِي العُمْرِ إِلَّا البِرُّ

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তাকদীরকে দু'আ ব্যতীত অন্যকিছু বদলাতে পারে না।আর নেকী ব্যতীত অন্যকিছু হায়াতকে বৃদ্ধি করবে না।(সুনানু তিরমিযি-২১৩৯)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এই হাদীসের ভিত্তিতে বিবাহ পূর্ব নির্ধারিত হওয়া,  দুআর মাধ্যমে পরিবর্তন হওয়ার বিষয় কিছু ইসলামী স্কলারগন বলে থাকেন।

আবার কেউ কেউ বলেন,
★উলামায়ে কেরাম তাকদীরকে দু’ভাগে ভাগ করেন। ১. তাকদীরে মুবরাম ২. তাকদীরে মাআল্লাক।

তাকদীরে মুবরাম হল, যা কখনোই পরিবর্তন হয় না। অনাদী থেকে আল্লাহর কাছে যা লিপিবদ্ধ আছে তাই সংঘটিত হবে।
আর তাকদীরে মুআল্লাক হল, যা ফেরেশেতাদের খাতায় লিখা থাকে। এই প্রকারের তাকদীর দোয়া বা বিভিন্ন কর্মের মাধ্যমে পরিবর্তন হতে পারে। কুরআন হাদিসে তাকদীর পরিবর্তনের ব্যাপারে যা বলা হয়েছে, তা এই প্রকার তাকদীরের ব্যাপারেই।

★কার বিবাহ কার সাথে হবে, সেটা তাকদীরে মুবরাম কিনা,বিষয়টি অস্পষ্ট। 
কুরআন সুন্নাহ বা ফিকহী কোনো কিতাব থেকে এ সংক্রান্ত দলিল খুজে পাইনি।

আল্লাহই এসব বিষয় নির্ধারিত করেছেন,তিনিই বিষয়টি জানেন।

তবে বান্দার কাজ হলো দোয়া ও চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...