জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হারাম কাজ করে এমন কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা ইসলাম অনুমোদন করে না।
পক্ষান্তরে যদি প্রতিষ্ঠানটি এমন কোনো কাজ করে যা মূলগতভাবে হারাম নয় কিন্তু মানুষ এটাকে মন্দ বা হারাম কাজে ব্যবহার করে, এধরণের প্রতিষ্ঠানে
চাকরি করা বৈধ।
জন্ম নিয়ন্ত্রনের সমস্ত ছুরত যেহেতু হারাম নয়,তাই ঢালাওভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণকে হারাম বলা যায়না,এটা নিয়ন্ত্রন কারীর নিয়ত ইত্যাদির উপর ডিপেন্ড করে।
,
যে সকল ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণ বৈধ,সেকল ক্ষেত্রে উনার জন্য চিকিৎসা প্রদান জায়েয ও বৈধ।আর যে সকল ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণের অনুমোদন শরীয়তে নেই।
সর্বদায় খেয়াল রাখতে হবে যে শরীয়ত বহির্ভুত কোনো কাজ যেনো না হয়।
শরীয়তের আওতায় থেকে কথা বলতে হবে,শরীয়ত বহির্ভুত কোনো দিক নির্দেশনা ইত্যাদি দেওয়া যাবেনা।
عَنْ عَبْدِ اللّٰهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «طَلَبُ كَسْبِ الْحَلَالِ فَرِيضَةٌ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ
‘আব্দুল্লাহ ইবনু মাস্‘ঊদ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অন্যান্য ফরয কাজ আদায়ের সাথে হালাল রুযী-রোজগারের ব্যবস্থা গ্রহণ করাও একটি ফরয।
(শু‘আবুল ঈমান ৮৩৬৭, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১১৬৯৫.মিশকাতুল মাসাবিহ ২৭৮১)
আরো জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনাকে যে দীর্ঘঘমেয়াদী পদ্ধতি ইমপ্লান্ট (৩ বছর মেয়াদি) পড়াতে হয়। ইমপ্লান্ট প্রতি নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দেয়া হয়।
এক্ষেত্রে এ টাকা নেয়া হালাল হবে হবে কিনা তাহা ডিপেন্ড করবে যাকে আপনি দীর্ঘঘমেয়াদী পদ্ধতি ইমপ্লান্ট পড়িয়েছেন,তার নিয়তের উপর।
সে যদি বৈধ কোনো নিয়ত করে,সেক্ষেত্রে আপনার গ্রহণ করা টাকা হালাল হবে।
আর যদি সে অবৈধ নিয়ত করে থাকে,বাচ্চা হলে রিযিকের সমস্যা হবে এধরণের নিয়তে উক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে, সেক্ষেত্রে আপনার গ্রহণ করা টাকা হালাল হবেনা।
(০২)
এক নং প্রশ্নের জবাব দ্রষ্টব্য।