আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
9 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
উস্তাজ আমার প্রশ্ন হচ্ছে:-
০১- আমার কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে যদি কেউ অন্য কাউকে সুদ এর ভিত্তিতে ধার দেয় তাহলে কি আমার গুনাহ হবে? আমার বাসার বুয়া কিস্তিতে সমিতির টাকা পরিশোধ করে সেইজন্য মাঝে মধ্যে ধার নেয়। তাকে ধার দেওয়া জায়েয হবে? আমাকে অন্য কারণ দর্শিয়ে টাকা ধার নিয়ে সে যদি সুদের কাজ করে তবে কি আমি গুনাহগার?

০২- উস্তাজ নখ, চুল এই ধরনের জিনিসগুলো কিভাবে ফেল্বো? আমাদের এখানে অনেকে চুল পেঁচিয়ে ছোট করে হাল্কা থুথু ছিটিয়ে ফি সাবিলিল্লাহ বলে বাহিরে ফেলে দেয়। এটা কি ঠিক?

০৩- উস্তাজ শায়েখ আহমাদ মুসা জিব্রিল এর কি আকিদা মানহাজ ঠিক আছে? তার লেকচার গুলো কি শুনা যাবে? তাকে অনেকে খারিজি বা তাকফিরি বলে কেন?

০৪-উস্তাজ নামাজের মধ্যে যদি এমন ভয় হয় যে সতর খুলে যাচ্ছে তখন কি কাপড় টেনে দেওয়া যাবে?<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_250914_021002_598.sdocx-->

1 Answer

0 votes
ago by (669,540 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
জেনে শুনে তাকে এভাবে টাকা ধার দেওয়া জায়েজ হবে না।

(০২)
মহান আল্লাহ মানুষকে সম্মানিত করে সৃষ্টি করেছেন, তাদের অঙ্গগুলোও সম্মানিত। তাই তাদের অঙ্গের সঙ্গেও এমন ব্যবহার করা যাবে না, যা তাদের সম্মান হানি করে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘আর আমি মানব সন্তানকে সম্মানিত করেছি...।’ (সুরা ইসরা, আয়াত : ৭০)

হজরত মিল বিনতে মিশরাহ আল আশআরি থেকে বর্ণিত, তিনি তাঁর পিতা মিশরাহ [যিনি রাসুল (সা.)-এর সাহাবি ছিলেন]-কে দেখেছেন যে তিনি নখ কাটার পর তা দাফন করে ফেলতেন। তিনি বলতেন, তিনি রাসুল (সা.)-কে এমন করতে দেখেছেন। [আত তারিখুল কুবরা (ইমাম বুখারি) : ৮/৪৫]

ইমাম আহমদ (রহ.)-কে এক ব্যক্তি কর্তিত চুল ও নখের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘এগুলো কি দাফন করব নাকি ফেলে দেব?’ তিনি বলেন, ‘দাফন করে ফেলো।’ লোকটি বলল, ‘আপনি এ ব্যাপারে কিছু পেয়েছেন?’ তিনি বলেন, ‘ইবনে ওমর (রা.) এগুলো দাফন করে ফেলতেন।’ (আল মুগনি, ইবনে কুদামা : ১/১১০)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
কর্তৃত নখ, চুল দাফন করা মুস্তাহাব, উত্তম।
মানুষ চলাচল করেনা,এমন স্থানেও ফেলে দেওয়া যাবে।  
এগুলো উত্তম কাজ।
,
এর ব্যাতিক্রম হলে গুনাহ হবে,বিষয়টি এমন নহে।

(০৩)
অতীব জরুরী ও সাধারণ মাস'আলা মাসাঈল আয়ত্বে না থাকার কারণে দৈনন্দিন জীবনে দ্বীন-ইসলাম পালন করতে, যে সমস্ত দ্বীনি ভাই-বোন থমকে দাড়ান,এবং যাদের দ্বীনি ইলম অর্জনের কাছাকাছি কোনো নির্ভরযোগ্য মাধ্যম নেই, মূলত তাদেরকে দিকনির্দেশনা দিতেই আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস .....

দ্বীনের পরিধি অনেক ব্যাপক, সকল বিষয়ে আলোচনা করা বা দিকনির্দেশনা দেওয়া স্বল্প পরিসরের এই ভার্চুয়ালি মাধ্যম দ্বারা আমাদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। চেষ্টা করলেও প্রশ্নকারীর পিপাসা মিটানো সম্ভব হবে না। প্রত্যেক বিষয়ে আমরা শুধুমাত্র সামান্য আলোকপাত করে থাকি।

উপরোক্ত প্রশ্নটির উত্তরের জন্য আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট উলামায় কেরামের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে বলেই আমাদের ধারণা।

(০৪)
এক্ষেত্রে এক হাতের সাহায্যে কাপড় টেনে নিতে পারবেন।
তবে একই রুকনে থাকা একাধিকবার এমনটি করবেননা। প্রবল ধারণা না হলে এমনটি না করারই পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...