আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
35 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ,

১.একজন আলেম ও হাফেজ আছেন যিনি জীনের মাধ্যমে দেখেন যে কাউকে  কুফুরী বা অন্য কিছু করা হয়েছে কি না।তার কাছ থেকে এসব কি জানা যাবে?

২. তিনি আবার পানি পড়া আর তাবিজ দেন, কোরআনের আয়াত দিয়ে।এসব কি জায়েজ?
৩.জীনের সমস্যার ক্ষেত্রে তিনি টাকা নিয়ে চালান না ছাগল দেন।এসব কি জায়েজ? ইসলামে কি বলে?

(ওনার এই সব কিছুই আবার কাজে আসে মানে সমস্যা চলে যায়)

৪.কিছু দিন আগে একজন আন্টি(মেয়েদের তালিম করেন) কে এই নিয়ে প্রশ্ন করায় ওনি বললেন যে এসব কিছু নাকি জায়েজ। আমি যতদুর জানি রাসুল সাঃ তাবিজ পরতে মানা করেছেন বা খুলে দিতেন,কিন্তু আন্টি বলল কুরআনের আয়াতে কোনো সমস্যা নাই আর কোটার মধ্যে রাখা হয় কারণ টয়লেটে খোলা আয়াত নেওয়া যায় না।আর হাদিসটা নাকি গনকের বিভিন্ন ডিজাইনের আঁকা ছবি দিয়ে বানানো তাবিজের কথা বলা হয়েছে। তাছাড়া ওনি বললেন জীনের মাধ্যমে দেখা, চালান দেওয়া,  ছাগল বা খাবার দেওয়া নাকি সমস্যা না।আলেমরা যা করেন তা নাকি জায়েজ।ইসলামে নিষেধ নাকি গণকের কাছে যাওয়া ও তাদের কাজ। এই সম্পর্কে বিস্তারিত বলবেন।

1 Answer

0 votes
by (705,600 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আমর ইবনে শুয়াইব তার সনদে বর্ণনা করেন,
ﻋﻦ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺷُﻌَﻴْﺐٍ ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ، ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ، ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ، ﻗَﺎﻝَ : ( ﺇِﺫَﺍ ﻓَﺰِﻉَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﻮْﻡِ ﻓَﻠْﻴَﻘُﻞْ : ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺎﺕِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺎﺕِ ﻣِﻦْ ﻏَﻀَﺒِﻪِ ﻭَﻋِﻘَﺎﺑِﻪِ ﻭَﺷَﺮِّ ﻋِﺒَﺎﺩِﻩِ ، ﻭَﻣِﻦْ ﻫَﻤَﺰَﺍﺕِ ﺍﻟﺸَّﻴَﺎﻃِﻴﻦِ ﻭَﺃَﻥْ ﻳَﺤْﻀُﺮُﻭﻥِ ﻓَﺈِﻧَّﻬَﺎ ﻟَﻦْ ﺗَﻀُﺮَّﻩُ ) . . ﻓَﻜَﺎﻥَ ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦُ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ، ﻳُﻠَﻘِّﻨُﻬَﺎ ﻣَﻦْ ﺑَﻠَﻎَ ﻣِﻦْ ﻭَﻟَﺪِﻩِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳَﺒْﻠُﻎْ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﻛَﺘَﺒَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﺻَﻚٍّ ﺛُﻢَّ ﻋَﻠَّﻘَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﻋُﻨُﻘِﻪِ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, যখন তোমাদের মধ্যে কেউ ঘুমে ভয় পায়, তখন সে যেন পড়ে-  'আউযু বিকালিমা-তিল্লাহিত-তাম্মাতি মিন গাদাবিহি ওয়া ই'ক্বাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ-শায়াতিনি,ওয়া আইয়াহদুরুন'  এই দু'আ পড়লে শয়তান কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি, তার সাবালক সন্তানাদিকে তা শিক্ষা দিতেন।এবং নাবালক সন্তাদির গলায় উক্ত দু'আ তাবিজ আকারে লিখে ঝুলিয়ে দিতেন।(মিশকাতুল মাসাবিহ-২৪৭৭) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/226

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই। এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে।

(১) জীনের মাধ্যমে অবগত হওয়া যে, কাউকে  কুফুরী বা অন্য কিছু করা হয়েছে কি না? এইসব খবরে সত্য মিথ্যার সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং এইসব হুজুর এবং খবর থেকে দূরে থাকাই সর্বোচ্চ নিরাপদ। এবং জানলেও পরিপূর্ণ ইয়াকিন বিশ্বাস করা যাবে না।

(২)  তাবিজ, কোরআনের আয়াত দিয়ে পানি পড়া।এসব না জায়েয নয়।

(৩) জীনের সমস্যার ক্ষেত্রে টাকা নিয়ে চালান বা ছাগল দেওয়া ।এসব না জায়েয নয়।

(৪) রাসুল সাঃ তামিমা জাতীয় তাবিজ পরিধান করতে নিষেধ করেছেন। গণকের কাছে যেতে নিষেধ করেছেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (2 points)
ছাগল নিয়ে এই ছাগল যে জ্বীনের নামে বলি দেয়া হয় না তারতো কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাহলে এটা জায়েজ?  আরেকটি প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন জ্বীনের শর্ত মানা যাবে না। টাকা না নিয়ে ছাগল নেয়া কি জ্বীনের শর্ত হতে পারে না?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...