আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ,
উস্তায রিয়া নিয়ে আমার বেশ কয়েকটা অবস্থা জানাতে চাই, আশা করি একটু মনোযোগ সহকারে পড়ে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিবেন ইং শা আল্লহ ।
জাওয আমার দ্বীনদারিতা দেখে বিয়ে করেছিলেন, বিয়ের আগে আমলের হালত অনেক ভালো ছিলো কিন্তু বিয়ের পরপরই আমার ইমান আমল অনেক বেশি দুর্বল হয়ে যায়, তো জাওয মনে মনে মনঃক্ষুণ্ন হন আমার আমলের কমতি দেখে । এখন আলহামদুলিল্লাহ রব দয়া করে ইমান আমলে উন্নত করে দিয়েছেন অনেক ।
তো প্রশ্ন হলো:
১) জাওয যখন জিজ্ঞেস করে ❝কি করছি?❞ তখন আমি ধরুন কুরআন পড়ছি । তো উনাকে যদি বলি ❝কুরআন পড়ছি❞ । এটা কি রিয়া হবে? উনি দূরে থাকেন তাই আমার দৈনন্দিন আমল সম্পর্কে জানেননা ।
(এক্ষেত্রে আমি কয়েকবার কুরআন পড়ছি বলেছিলাম, যেন উনার অন্তর প্রশান্ত হয় নেককার জাওযাহ পেয়েছেন বলে । এটা হয়তো রিয়া হয়ে গিয়েছে......?
জাওযের কাছে কৃত আমল শেয়ার করা কি রিয়ার পর্যায়ে পড়বে?
২) উনি সেদিন বাসায় এসেছিলেন, অভিমানের কারণে আমি বলেছিলাম ❝আপনি না আসলেই ভালো হতো, আমার এত সুন্দর আর প্রিয় আমলটা করতে পারলাম নাহ❞ উনি "আমলটা তাহাজ্জুদ কিনা" জিজ্ঞেস করায় আমি "হুম" বলেছিলাম । এটাও রিয়া হবে?
৩) আমার বিয়ের পরবর্তী ইমান আমলের অবস্থা দেখে আমার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ও চিন্তিত ছিলো, আমি তাকেও বলেছিলাম ❝মণি, রব আমাকে আবারো সেই বিয়ের আগের জীবনের মতো করে সাজিয়ে দিয়েছেন, ইমানের স্বাদ অনুভব করাচ্ছেন❞ তারপর তাকে তাহাজ্জুদ, তিলাওয়াত নিয়ে বেশ নাসীহাহ করলাম যেন প্রভাবিত হয় । এতে সে অনুমান করতেই পারে যে আমি এসব আমলে লেগে আছি৷। এটাও রিয়া হবে?
৪) উস্তায আমায় বলুন দয়া করে কি অবস্থায় রিয়া হবে/হবেনা । আমি ভীষণ দোটানায় পড়ে গিয়েছি, এত ইলম অর্জন আছে কিন্তু কিছুই যেন রিয়ার বিরুদ্ধে কাজে লাগাতে পারছিনা । কাউকে নাসীহা করতে গিয়ে কিছু বললেও মনেহয় রিয়া করতেছি, উপরে যা বললাম তা আমার অজান্তে মুখ দিয়ে ছিটকে বের হয়ে যাচ্ছিলো - যেন আমার নিয়ন্ত্রণ নেই.....