আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (24 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ

আমরা সবাই জানি বিয়ের সামর্থ্য না থাকলে রোজা রাখতে বলা হয়েছে। এও জানি নারীর মোহর তার অধিকার। যে ব্যক্তির বাচ্চাকাচ্চা রয়েছে কিন্তু ইনকাম স্বল্পতার জন্য ভরণপোষণ দেওয়া হয় না, যার বেতন কম এবং একজন স্ত্রী ইতোমধ্যে আছে, পাশাপাশি প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা ঋণ তার জন্য মাসনা করা জরুরি নাকি ঋণ পরিশোধ ও সন্তানদের ভরণপোষণ দেওয়া জরুরি?

একজন মাসনা পাত্রী বিয়ের বিষয়ে পাত্রের ইনকাম দেখবে? কেননা এতে সমতার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। ইনকাম ঠিকঠাক না হলে সমতা করা দুষ্কর।

আমার স্বামী গত প্রায় সাতমাস বসা। মাসনার চাকরীর টাকা তার কাছে থাকে। এবং তিনি আমাকে নিয়ে ছোট বিজনেসও করেন। রিসেন্টলি মাসনার জব চলে গেছে। আর আমার ছয়মাসের মধ্যে দুইটা মিসক্যারেজে শরীর দূর্বল তাই বিজনেসে ফোকাস করতে কষ্ট হচ্ছে। এমতাবস্থায় আমি খুব পোলাইটলি মাসনাকে বলি যে, "আপনার চাকরীর জন্য সে জব ছেড়েছে। আপনি যদি শুরু থেকে তাকে আশকারা না দিতেন তাহলে তিনি চাকরি ছাড়তেন না। আমি একা থাকাবস্থায় কখনও তাকে ইনকাম ছাড়া থাকতে দিইনি। বরং বলেছি এটা মনমতো না হলে আরেকটা খুঁজে এটা করুন, উনি তাই করেছেন।"

এমতাবস্থায় মাসনা বলেন আমি নিজেই চাকরি করবো না বলে বিয়ে করেছি। তখন আমি বলি, "তাহলে তো আপনার জিজ্ঞেস করা উচিত ছিল পাত্রের দুই স্ত্রী টানার বিষয়ে আর্থিক সক্ষমতা আছে কিনা। এইযে এখন আমার উপর সবকিছু চাপতেছে, আমার এই শরীর নিয়ে তো আমি পারতেছি না।"

উত্তরে মাসনা অস্বীকার করেন যে কি উচিত ছিল না ছিল তা যেন না বলি। অর্থাৎ আমার স্বামীর আর্থিক সামর্থ্য তার জন্য জানা জরুরী মনে না করেন তিনি।

কিন্তু ওস্তাদ, স্ত্রী একজন হলে অনেক ছাড় দিয়ে চলা যায়। দুজন হলে সঙ্গতভাবেই সমতার কথা আসবে। দুজন হলে ছাড় দিতেও কিছুটা অস্বস্তি হয় কিন্তু আমি দিয়েছি। তবে মাসনা প্রার্থীর জন্য পাত্রের কি কি বিষয় সম্পর্কে জানা উচিত?  তিনি আমার স্বামীর স্বল্প ইনকামে আসার কারণে (তাকদীর) আমাকে যেই তাকলিফ পোহাতে হচ্ছে তা কি ঠিক হচ্ছে আমার সাথে? শুধু আর্থিক চাপ নয়, আমার উপর শারীরিক চাপও যাচ্ছে। দুইবার মিসক্যারেজে শরীর খারাপ। দুই স্ত্রী একইসাথে থাকি। কিন্তু রান্নাবান্না বাসনকোসন পরিষ্কার আমি করি।

ওনার বাবু হয়েছে ১০ দিন, আমি তাকে পুরো কাজ করতে বলছি না। কিন্তু সে কোনো কাজেই হেল্প করে না আমাকে। এই শরীরের উপর প্রেসার হচ্ছে আমার (দুইবার মিসক্যারেজেই ডিএনসি/ওটি করা হয়েছে ছয়মাসের ব্যবধানে)

আমার সাথে কি ঠিক হচ্ছে এগুলো? আমার প্রশ্নগুলোর মধ্যে বেশকিছু হাইড করা হয়েছে। এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পর হাইড করা হলে মুনাসিব হয়। আমি ওনাদের নিয়ে কাউকে কিছু জানাতে চাচ্ছি না। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ

1 Answer

0 votes
by (702,840 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
দ্বীনের পরিধি অনেক ব্যাপক, সকল বিষয়ে আলোচনা করা বা দিকনির্দেশনা দেওয়া স্বল্প পরিসরের এই ভার্চুয়ালি মাধ্যম দ্বারা আমাদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। চেষ্টা করলেও প্রশ্নকারীর পিপাসা মিটানো সম্ভব হবে না। প্রত্যেক বিষয়ে আমরা শুধুমাত্র সামান্য আলোকপাত করে থাকি।
উপরোক্ত প্রশ্নটির ব্যাপারে উলামায় কেরামের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। মতবিরোধপূর্ন প্রশ্নগুলো উত্তর দেওয়ার জন্য স্থান, কাল, পাত্র অনেক কিছুই জানার প্রয়োজন হয়। যেটা অনলাইনে জানা সম্ভব হয় না।
তাই এই প্রশ্নগুলোর উত্তরের জন্য আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট উলামায় কেরামের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে বলেই আমাদের ধারণা।
তাছাড়া ইলম অর্জনের জন্য সফর করা অত্যান্ত  জরুরী। এবং কষ্ট করে ইলম অর্জন করাই আমাদের  আকাবির আসলাফদের রীতি ও নীতি। এদিকেই কুরআনের এই আয়াত ইঙ্গিত দিচ্ছে,
ۚفَلَوْلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَائِفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ
তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ দান করে স্ব-জাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে।(সূরা তাওবাহ-১২২)

সুতরাং আপনাকে বলবো, আপনি বিস্তারিত জানতে স্ব-শরীরে কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করবেন।
প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।আল্লাহ তা'আলা আপনার ইলম অর্জনের স্পৃহাকে আরোও বাড়িয়ে দিক, আমীন!!
প্রত্যেকটা বিষয়ের সাথে নিম্নের হাদীসকে লক্ষ্য রাখবেন।
হাসান ইবনে আলী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে।
ﻭﻋﻦ ﺍﻟﺤَﺴَﻦِ ﺑﻦ ﻋَﻠﻲٍّ ﺭﺿﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﺣَﻔِﻈْﺖُ ﻣِﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﷺ : « ﺩَﻉْ ﻣَﺎ ﻳَﺮِﻳﺒُﻚَ ﺇِﻟﻰ ﻣَﺎ ﻻ ﻳﺮِﻳﺒُﻚ » ﺭﻭﺍﻩُ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﻭﻗﺎﻝ : ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ ﺻﺤﻴﺢٌ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি।তিনি বলেন,সন্দেহ যুক্ত জিনিষকে পরিহার করে সন্দেহমুক্ত জিনিষকে গ্রহণ করো।(সুনানু তিরমিযি-২৪৪২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/36


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...