আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
21 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ।

৩ দিন আগে আমি একটি ১.৫  মাস বয়সী বিড়াল ছানা রাস্তায় কুড়িয়ে পাই।বিড়াল ছানাটির ডান চোখ ইনফেকশন হয়ে পুরোপুরি নষ্ট ছিল। যার জন্য ডাক্তার আমাদের বিড়াল ছানাটির চোখের সার্জারি করার পরামর্শ দেন এবং বলেন সার্জারির আগে ১০ ঘণ্টা বিড়ালকে কোনো খবর ও পানি খেতে না দিতে।ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আজকে আমরা বিড়ালটি সার্জারি করাই।সার্জারির কয়েক ঘণ্টা পর বিড়ালটি মারা যায়। যার জন্য আমি খুবই  অনুশোচনা বোধ করছি।

এখন আমার প্রশ্ন হলো "যেহেতু আমার তত্ত্বাবধানে থাকা অবস্থায় বিড়ালটি মৃত্যু হয়েছে এবং বিড়ালটিকে আমি ১০ ঘণ্টা না খাইয়ে রেখেছিলাম ,এর জন্য কি আমি গুনাহগার হবো বা এর জন্য কি আমার আল্লাহর  নিকট ক্ষমা চাওয়া উচিত নিকা?"

আশা করছি ইন শা আল্লাহ্ প্রশ্নের উত্তরটি খুব তাড়াতাড়ি পাবো

মা - আসসালাম।

1 Answer

0 votes
by (705,360 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
عن ابن عمر رضي الله عنهما قال : قال النبي صلى الله عليه وسلم : ( دخلتِ امرأةٌ النارَ في هِرَّة حبَسَتْها، لا هي أطعَمَتْها ولا هي ترَكَتْها تأكُلُ مِن خَشَاش الأرض حتى ماتَتْ )
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক নারী একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। সে তাকে খাবারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমীনের পোকা মাকড় খেতে পারত। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রেও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।(সহীহ বোখারী-৩৩১৮,সহীহ মুসলিম-২২৪২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4980

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পোষাকে প্রাণীকে বন্দী করে রেখে খাবার দাবার থেকে বঞ্চিত রাখার বিষয়টা মূলত অবহেলা এবং প্রাণীকে অযথা কষ্ট দেওয়ার উপর প্রয়োগযোগ্য। আপনি যেহেতু চিকিৎসার উদ্দেশ্যে খাবার দাবার থেকে বঞ্চিত রাখছেন, এবং চিকিৎসা করাতে গিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে মৃত্যু বরণ করছে, তাই আপনার উপর কোনো দোষ বর্তাবে না। প্রশ্নের বিবরণমতে আপনার কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...