ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অসম্মান বা কাউকে নিচু করে অপমানজনক কথা বলা নাজায়েয। এটি ফাসেকী তথা গোনাহের কাজ। সুতরাং কোনো দ্বীনদ্বার বা আলেমকে গালি দেয়া সেতো আরো জঘন্য কাজ,তাতো আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
কাউকে কটাক্ষ করার দু’টি কারণ হতে পারে। যথা-
১-ব্যক্তিগত কোন শত্রুতার কারণে।
২-দ্বীনদার হবার কারণে।
প্রথম প্রকারের ক্ষেত্রে কুফরী হবে না। কিন্তু যদি কোনো ব্যক্তিকে তার দ্বীনদারিত্বর কারণে অপমান করা হয়,কটাক্ষ করা হয়, তাহলে এটি কুফরী। তার ঈমান নবায়ন করতে হবে বলে অনেক ফুক্বাহায়ে কেরাম ফাতওয়া প্রদান করেছেন।ঐ ব্যক্তি তওবা না করলে ঈমানের সাথে মৃত্যু হবে কি না? এব্যাপারে ঘোর সন্দেহ আছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/3631
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) কেই যদি মাদরাসা সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করে, এই মন্তব্য যদি ইলমে ওহী তথা কোরআন ও হাদীসকে অপমান এবং কটাক্ষ করার নিয়তে হয়, তাহলে তার ইমান থাকবে না। তবে যদি মাদরাসা শিক্ষার উন্নতি অন্তরে নিয়ে গঠণমূলক সমালোচনা করা হয়, তাহলে এতেকরে কোনো সমস্যা হবে না।
(২) অঙ্গতাবশত, বিসমিল্লাহ বলে কেউ যদি জুয়া খেলে তাহলে তার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।