আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (15 points)
edited by
আমি একজন নওমুসলিমা। ২ বছর হতে চলল মুসলিম হয়েছি। তো স্বপ্নে দেখলাম আমি আমার মামার বাড়িতে বাড়ির পিছনের বারান্দায় নামাজ পরছি।  আমার পাশে কেউ একজন বসে ছিল। খুব সম্ভবত আমার একটা ফ্রেন্ড,,, যে আমার এই বিষয়টা জানে। তবে আমি সরাসরি তার মুখ দেখি নি ওইরকম ভাবে।  তারপর হঠাৎ কেউ এলো আমার ফ্রেন্ড টা দরজা খুলতে গেল। আমি ভয় পাচ্ছিলাম যে মানুষ দেখে ফেলবে নামাজে আছি।আমি জানি স্বপ্নে যে আমার অন্য কিছু ফ্রন্ড আসতে চলেছে।যারা আমার এই বিষয়টা জানে না।  নামাজ ছেড়ে দিতে হবে এমন অবস্থা।কিন্তুু আমি নামাজ টা৷ ছাড়ি নি। পড়তে থাকি। তারপর আমার সেই ফ্রেন্ডগুলা আসলো। এর মধ্যে ১ জন মেয়ে, ২ জন ছেলে। মুসলিম হওয়ার পর ছেলে দের সাথে কোনো যোগাযোগ নেই। তো যে মেয়ে ফ্রেন্ডটি এসেছে, সে আমাকে দেখে কাছে আসছে। তার জিজ্ঞেস করছে " কে এটা" ওই মেয়েটা কে যে আগে আমার পাশে বসে ছিল সবাই আসার আগে। ও কিছু বলেনি।আমি ওই মুহুর্তে সেজদায় ছিলাম তাই মুখ দেখে নি। মুখ উঠাতেই অবাক হয়ে গেল। আর খুশিতে হাসতে ছিল।  আমি ওর হাসি দেখে নামাজে ঠোট চেপে হাসি আটয়িয়ে নামাজ পরছি। তারপর উঠলাম।উঠে ঘরে গেলাম ওর সাথে বারান্দা থেকে। তারপর ও নিজেই বলল ২ জন ছেলের মধ্যে একজন মুসলিম হতে চায়,,ওরা ২ জন ই হিন্দু। একজন প্রতীক আর একজন প্রনয়।  তো আমার ওই মেয়ে ফ্রেন্ড টা বলল প্রনয় ও মুসলিম হতে চায়। আমি প্রতীক এর দিকে তাকিয়ে বুঝলাম ওই এ বিষয়ে দুর্বল।আর আমায় এই অবস্থায় দেখেও ওরা স্বাভাবিক ছিল,,মনে হলো খুশিই হয়েছে। তারপর আসসের নামাজ এর ওয়াক্ত হলো।  ওরা বলল চল একসাথে পরি। বাস্তবে ওরা ননমাহরাম জানি,,, তবে ওখানে কিছু বলি নি। আমি ওজু করে আলাদা সেই বারান্দায় দাড়ালাম নামাজে। আমার ওই মেয়ে ফ্রেন্ড আর ২ ছেলে এক রুমেই দাড়িয়েছে নামাজে। আমি কেন জানি নামাজ টা কমপ্লিট করতে পারি নি। একটু পর আবার ওজু করতে গেলাম। আমার মাঝে মাঝে এমন হয় যে আমি ভুলে যাই কতবার হাত ধুলাম,পা ধুইলাম।তখনও এমন একটা কিছু হয়েছে। তারপর ও আমি ওজু কনটিউ করে ভাবতেছি যে কোনো সাইট / চেট জিপিটিতে সোর্স সহ জিজ্ঞেস করবো ওজু হয়েছে কিনা। আমি বাস্তবে জিজ্ঞেস করি,চেট জিপিটিতে যখন আমার ইনস্টন্ট উত্তর দরকার হয়। তারপর এ অবস্থায় প্রতীক এলো পাশে চলে গেল, লাগলো ওইও ওজু করতে আসছে। এতটুকুই,,,,, ছিল হয়তো।

আর হুজুর আমার দুইটা মামাত্তো ভাই আছে।  ওরা বাচ্চা একজম ১১/১২ বছর অন্য জন ৭/৮ বছরের,,আমি বুঝতে পেরেছি ছোট জন মুসলিম হতে চায়,,যদিও ওই অনেক কিছু বুঝে না।আর বড় জন ও মনে হলো ইচ্ছা আছে এমন। ওদের জন্য আমি কি করতে পারি?
হুজুর এ স্বপ্নের ব্যাখ্যা কি?  অনুগ্রহ করে জানাবেন। আসসালামু আলাইকুম।

1 Answer

0 votes
by (705,360 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
خير لنا و شر علي أعدائنا والحمدلله رب العالمين
(ভালো আমাদের জন্য,খারাপ আমাদের শত্রুদের জন্য,সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা'আলার।)
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَال: (الرُّؤْيَا ثَلاثٌ : فَبُشْرَى مِنَ اللَّهِ ، وَحَدِيثُ النَّفْسِ ، وَتَخْوِيفٌ مِنَ الشَّيْطَانِ فَإِنْ رَأَى أَحَدُكُمْ رُؤْيَا تُعْجِبُهُ فَلْيَقُصَّ إِنْ شَاءَ وَإِنْ رَأَى شَيْئًا يَكْرَهُهُ فَلا يَقُصَّهُ عَلَى أَحَدٍ وَلْيَقُمْ يُصَلِّي ) 
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ স্বপ্ন তিনি প্রকার। (১) আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ, (২) বান্দার মনের খেয়াল এবং (৩)শয়তানের পক্ষ থেকে ভীতি প্রদর্শনমূলক কিছু। অতএব তোমাদের কেউ পছন্দনীয় কিছু স্বপ্নে দেখলে তা ইচ্ছা করলে অপরের কাছে ব্যক্ত করতে পারে। আর সে অপছন্দনীয় কিছু স্বপ্নে দেখলে যেন তা ব্যক্ত না করে এবং উঠে নামায পড়ে।( সহীহ বুখারী-৭০১৭) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/734


আপনার প্রতি নসিহা হল,আপনি ফরয ওয়াজিব বিধানকে গুরুত্বসহকারে পালন করবেন।সামর্থ্যানুযায়ী গরীব-মিসকিনকে কিছু দান করবেন। আর নিম্নোক্ত দুআ পড়বেন। "আল্লাহুম্মা ইন্না নাজআলুকা ফি নুহুরিহিম,ওয়া নাউযুবিকা মিন শুরুরিহিম।" ঘরোয়াভাবে নিজে নিজে রুকইয়াহ করবেন। https://www.ifatwa.info/3469

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বপ্নটা কল্যাণকর। আল্লাহ আপনার সকল সমস্যার সমাধান করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...