আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
11 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (39 points)
১।রাসুলুল্লাহ সাঃ কে নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালো বাসতে হবে সেটা ইংশাআল্লাহ করি। নফসের কারনে নাজায়েজ কাজ করলে , নফল ইবাদত না করলে এবং সুন্নাত আমল না করে জায়েজ কাজ করলে আল্লাহ পাক এবং রাসুল সাঃ উনাদের মহব্বতে সমস্যা হবে কি না?

২।হারাম আর নাজায়েজ এর মধ্যে পার্থক্য আছে, তেমনি কি গোনাহ আর নাজায়েজ মধ্যে পার্থক্য আছে নাকি একই?

৩।আমি মালেয়শিয়াতে কাজ করতাম স্টুডেন্ট ভিসায় লোকজন যায় এরকম অফিসে। আমাদের অফিস আরেকটা মালেয়শিয়ানের  অফিসের মাধ্যমে কাজ করতাম তারা কলেজের সাথে সরাসরি যোগাযোগ ছিলো।মালেয়শিয়ানের অফিস একজন বাঙালি পরিচালনা করতো তার সাথে সম্পর্ক ভালো ছিলো সে  একদিন বসিয়ে দিয়ে বাহিরে যায় তখন আমি একটা কলেজের প্যাডে ঐখানে প্রিন্ট করছি নাকি আমার এখানে প্রিন্ট করছি মনে নাই। ঐ প্যাডের কাজ ছিলো  ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টের ভিসার কাজ চলার সময় কলেজ থেকে স্টুডেন্টদের জন্য একটা ডকুমেন্ট দেয় পুলিশ ধরলে ছেড়ে দেয়।ঐপ্যাডে প্রিন্ট করার বা  ব্যাবহার করার দায়িত্ব বাঙালি ভাইয়ের  ছিলো। এখন কি বাঙালি ভাইয়ের কাছে মাফ চাইতে হবে?

1 Answer

0 votes
ago by (668,220 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০২)
গুনাহ মানে হলো আল্লাহর আদেশ অমান্য করা বা নিষিদ্ধ কাজ করা।

এটি আল্লাহর কাছে অপরাধ।

গুনাহ কাজ হতে পারে হারাম, মাকরূহ, এমনকি কখনও ছোটখাটো বিধি লঙ্ঘন।
যেমন, মিথ্যা বলা, চুরি করা, নামাজ না পড়া, সুদ খাওয়া।

★নাজায়েজ মানে শরীয়ত অনুযায়ী যেটা বৈধ নয়, অর্থাৎ জায়েজ নয়।

সাধারণত নাজায়েজ শব্দটি ব্যবহার হয় কোনো সম্পর্ক বা কোনো কাজের বৈধতা বোঝাতে।

নাজায়েজ জিনিস করলে তা সাধারণত গোনাহের মধ্যে পড়ে।

(০৩)
হ্যাঁ, তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।

(০১)
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...