আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
21 views
ago in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (2 points)
এই লেখাটা আমি এক জায়গায় পেয়েছি, এই লেখাটা অনুযায়ী মিলাদুন্নবী পালন করা যাবে কি? এই বিষয় আমি বিস্তারিত জানতে চাই,
রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে মুহাম্মদ সাঃ জন্মগ্রহণ করেছেন,একে উপলক্ষ করে কিছু মানুষ আনন্দ প্রকাশ করে।
প্রশ্ন হল: তিনি এই দিনে ইন্তেকাল করেছেন, হিসাব অনুযায়ী অবশ্যই এই দিনে শোক পালন করা দরকার কিন্তু তারা (সুন্নিরা) এই দিনে কোন শোক পালন করে না?

উত্তর:
২) নবীর (সা.) জীবিত থাকা ও মৃত্যুর কল্যাণ

আরবি ইবারত ও বাংলা অনুবাদ:
حياتي خير لكم تحدثون ويحدث لكم فإذا أنا مت كانت وفاتي خيرًا لكم تعرض على أعمالكم فإذا رأيت خيرًا حمدت الله وإن رأيت شرًّا استغفرت لكم
বাংলা অর্থ: “আমার জীবন তোমাদের জন্য কল্যাণ—তোমরা আমার সম্পর্কে বর্ণনা করবে আমাকে সম্পর্কে শুনবে। আর যখন আমি মৃত (হবে), তখন আমার মৃত্যু তোমাদের জন্য কল্যাণকর: তোমাদের আমলগুলো আমার কাছে উপস্থাপিত হবে; যদি আমি সেখানে কল্য (ভালো) দেখি, আল্লাহকে ধন্যবাদ জানাব, আর যদি মন্দ কিছু দেখি, তাহলে তোমাদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইব।”
এই বক্তব্যটি নির্দেশ করে, নবীর (সা.) জীবিত থাকা ও মৃত্যুর পরেও উম্মাহর কাজে তাঁর ভূমিকা অব্যাহত থাকে।
➡️ রেফারেন্স:

মুসনাদ আল-বায্‌যার, হাদিস নং 6811

মুজামুল আওসাত (তাবরানি), হাদিস নং 4939

হায়সামি, মাজমাউয্‌যাওয়ায়েদ (৯/২৪) বলেছেন: رجاله رجال الصحيح অর্থাৎ রাবিগণ সহিহ হাদিসের রাবিদের অন্তর্ভুক্ত।

ব্যাখ্যা: উপরিউক্ত হাদিস থেকে জানা গেল নবী করীম সাঃ এর জীবিত থাকাটা আমাদের জন্য যেভাবে কল্যাণকর ঠিক তেমনি তার মৃত্যু বরণ করাটাও আমাদের জন্য কল্যাণকর।
★★যদি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর ইন্তেকাল আমাদের জন্য কল্যাণকর না হতো,তাহলে অবশ্যই আমরা সুখ পালন করতাম।
✓কল্যাণকর বিষয় নিয়ে শোক পালন করা পাগলামি ছাড়া আর কিছু নয়।
প্রশ্ন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম তার জন্মদিন পালন করেছেন কিনা?
অবশ্যই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্মদিন পালন করেছেন এ সম্বন্ধে নিম্নে হাদিস বর্ণনা করা হলো:

★★হাদিসের মূলপাঠ

عَنْ أَبِي قَتَادَةَ الأَنْصَارِيِّ رضي الله عنه أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ سُئِلَ عَنْ صَوْمِ يَوْمِ الاِثْنَيْنِ، فَقَالَ:

«فِيهِ وُلِدْتُ، وَفِيهِ أُنْزِلَ عَلَيَّ»

 অনুবাদ

আবু কাতাদা আনসারী (রাযি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:
রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে সোমবারে রোযা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন—

 “এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এই দিনেই আমার উপর কুরআন নাযিল করা হয়েছে।”

---

 রেফারেন্স

সহিহ মুসলিম, কিতাবুস্ সিয়াম, হাদিস নং 1162

মুসনাদ আহমাদ, হাদিস নং 22574

 অর্থাৎ, সোমবারের রোযা রাখার মূল কারণ—

1. এ দিনে নবী করীম ﷺ জন্মগ্রহণ করেছেন।

2. এ দিনেই প্রথম ওহী (কুরআন) নাযিল হয়েছে।

বিশ্লেষণ: উপরোক্তার হাদিস থেকে এ বিষয়ে অবগত হওয়া গেল যে,রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম তার জন্মদিন পালন করেছেন রোজা রাখার মাধ্যমে. তাহলে
★ একটি প্রশ্ন উঠে যে,আপনারা জুলুস (রেলি)করার মাধ্যমে মিলাদুন্নবী কেন পালন করেন?
উত্তর: এ সম্পর্কে আল্লাহতালা কুরআনে বলেন: قل بفضل الله وبرحمته فبذلك فليفرح هو خير مما يجمعون সূরা ইউনুস ৫৭ নং আয়াত।
অনুবাদ: আপনি বলুন!আল্লাহর রহমত এবং তারই দয়া লাভ করার পর তাদের উচিত তারা যেন আনন্দ প্রকাশ করে। সূরা ইউনুস আয়াত নং ৫৭.
উপরোক্ত আয়াত থেকে জানা গেল যে, রহমত লাভ করার পর আনন্দ প্রকাশ করা আল্লাহ তাআলার আদেশ, কেননা আল্লাহর পক্ষ থেকে সবচেয়ে বড় রহমত হল:হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা কুরআনে পাক এরশাদ করেন:  وما ارسلناك الا رحمه للعالمين
তাহলে স্পষ্ট বোঝা গেল যে, আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম হচ্ছে আল্লাহর পক্ষ থেকে সবচেয়ে বড় নেয়ামত এবং রহমত।
প্রশ্ন: হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আল্লাহতালার পক্ষ থেকে রহমত এজন্য আপনারা মিলাদুন্নবী পালন করেন, এতটুকু ক্লিয়ার হলাম, কিন্তু মাহফিল কিংবা রেলি কেন করেন?
উত্তর: ঘরে বসে খুশি উদযাপন করা যায় না. কিংবা নেয়ামতের কথা গোপন রেখে খুশি উদযাপন করার বিধান ইসলামে নেই! খুশির কথা সবাইকে জানাতে হয়। তাই আমরা রেলি করার মাধ্যমে মুসলিম উম্মাকে খুশির বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।
দলিল: নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মক্কা শরীফ থেকে হিজরত করে মদিনায় গিয়েছিলেন তখন সেখানকার জনগণ নবীজির আগমনে খুশি হয়ে সারিবদ্ধ হয়ে পাঠ করেছিলেন: طلع البدر علينا من ثنيات وداعي وجب الشكر علينا ما دعا لله داعي.

১.নেয়ামতের শুকরিয়া করা

 কুরআন

সূরা ইবরাহীম 14:7
لَئِن شَكَرْتُمْ لَأَزِيدَنَّكُمْ وَلَئِن كَفَرْتُمْ إِنَّ عَذَابِي لَشَدِيدٌ
 “তোমরা যদি শুকরিয়া কর, আমি অবশ্যই তোমাদের আরও দেব। আর যদি অকৃতজ্ঞ হও, তবে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি কঠিন।”

সূরা লুকমান 31:12
وَمَن يَشْكُرْ فَإِنَّمَا يَشْكُرُ لِنَفْسِهِ
 “যে শুকরিয়া করে, সে আসলে নিজের জন্যই শুকরিয়া করে।”

আরও বলেছেন:
“মুমিনের অবস্থা আশ্চর্যজনক। সব অবস্থাই তার জন্য কল্যাণকর। নেয়ামত পেলে শুকরিয়া করে—এটা তার জন্য কল্যাণকর; কষ্ট পেলে সবর করে—এটাও তার জন্য কল্যাণকর।”
(সহিহ মুসলিম, হাদিস: 2999)

--- ২. নেয়ামত চলে গেলে সবর করা ও শোক না করা।

 কুরআন

সূরা হাদীদ 57:23
لِكَيْلَا تَأْسَوْا عَلَى مَا فَاتَكُمْ وَلَا تَفْرَحُوا بِمَا آتَاكُمْ
 “যাতে তোমরা হারানো জিনিস নিয়ে দুঃখিত না হও এবং যা আল্লাহ দিয়েছেন তা নিয়ে অহংকার না কর।”

সূরা বাকারা 2:155-156
وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ • الَّذِينَ إِذَا أَصَابَتْهُم مُّصِيبَةٌ قَالُوا إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ
 “সবরকারীদের সুসংবাদ দাও। যারা বিপদে পড়লে বলে: নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর এবং আমরা তাঁর কাছেই প্রত্যাবর্তনকারী।”

✅ ফলাফল:

নেয়ামত এলে শুকরিয়া করা ফরজের নিকটবর্তী এক ওয়াজিব আমল।

নেয়ামত চলে গেলে বিলাপ/হাহাকার করা হারাম; বরং সবর করা ও আল্লাহর কাছে সওয়াব আশা করা ঈমানের নিদর্শন।

এতগুলো দলিল দেওয়ার পরও যদি আপনার কোন ডাউট থাকে,সেক্ষেত্রে আল্লাহর কাছে আপনার নিজের জন্য হেদায়েতের দোয়া করবেন।

1 Answer

0 votes
ago by (667,830 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/14917/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
ঈদ অর্থ আনন্দ।মিলাদ অর্থ জন্ম।ঈদে মীলাদুন্নবী অর্থ নবী সাঃ এর জন্ম উপলক্ষ্যে ঈদ উৎসব।
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর জন্মদিনকে উপলক্ষ্য করে কোনো প্রকার উৎসব বা অনুষ্টানের আয়োজন করা  না রাসূলুল্লাহ সাঃ এর জমানায় প্রচলিত ছিলো,না সাহাবা ও তাবেঈন বা তাদের পরবর্তী যুগে প্রচলিত।বরং ইসলামি স্বর্ণযুগের অনেক পর বাদশা মুজাফফর উদ্দীন খৃষ্টানদের বড়দিনের আদলে তাদের অনুসরণ করে মুসলমানদের জন্য ঈদে মীলাদুন্নবীর প্রচলন করার অপচেষ্টা করেন।কিন্তু ইরাকের তৎকালিন জনগণ বাদশার ভন্ডামিকে খুবই শক্তভাষায় প্রত্যাখ্যান করেন।

যা ইসলামের প্রাথমিক যুগে নেই,সেগুলোর প্রচলন বিদআত।

রাসুল সাঃ বলেন-

وَإِيّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ، فَإِنّ كُلّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ، وَكُلّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ.

আর সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় থেকে দূরে থাকবে। কারণ, সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় বিদআত। আর সকল বিদআত গোমরাহী ও ভ্রষ্টতা।’ (দ্র. মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৭১৪২, ১৭১৪৫)

আরেক হাদীসে আছে-
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত
عن أمِّ المؤمنين أم عبدالله عائشةَ رضي الله عنها قالت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ((من أحدث في أمرنا هذا ما ليس منه فهو رَدٌّ))؛ [رواه البخاري ومسلم]، 

‘যে আমাদের এই বিষয়ে (অর্থাৎ দ্বীন ও শরীয়তে) এমন কিছু উদ্ভাবন করবে, যা তার অংশ নয়, তা প্রত্যাখাত।’ -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৭১৮; সহীহ বুখারী, হাদীস ২৬৯৭

★ঈদ ই মিলাদুন্নবি এটি নব আবিষ্কৃত,এটি ইসলামের স্বর্ণযুগে ছিলোনা।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাহাবীগণ তাঁকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসতেন, বেশি সম্মান করতেন, তাঁর অধিকার সম্পর্কে পরবর্তীদের চেয়ে বেশি ওয়াকিবহাল ছিলেন। সুতরাং তাঁদের নিকট যা কিছু দ্বীনের অংশ ছিল না; সেটা তাঁদের পরেও দ্বীন হিসেবে সাব্যস্ত হবে না।

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) এ ভিত্তি দিয়ে ঐ সমস্ত ব্যক্তিদের বিপক্ষে দলিল পেশ করেছেন যারা মসজিদে গোল হয়ে বসে সম্মিলিতভাবে পাথর টুকরা দিয়ে গুণে গুণে যিকির করা শুরু করেছিল: ঐ সত্তার কসম, যাঁর হাতে রয়েছে আমার প্রাণ; তোমরা কি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রজন্মের চেয়ে উত্তম কোন প্রজন্মের মধ্যে আছ? নাকি তোমরা পথভ্রষ্টতার দরজা উন্মোচন করছ!! তারা বলল: আবু আব্দুর রহমান, আমাদের উদ্দেশ্য নেকির কাজ করা। তিনি বললেন: কত লোক এমন আছে যে ভাল কাজ করতে চায় কিন্তু সঠিক দিশা পায় না।[সুনানে দারেমী ২১০]

আবু দাউদ (১১৩৪) আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদিনায় এলেন সে সময় মদিনাবাসীরা বিশেষ দুটি দিনে খেলাধুলা করত। (তা দেখে) তিনি বললেন: “এ দুটি দিনের বিশেষত্ব কি?” তারা বলল: আমরা জাহেলী যুগেও এ দুটি দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি বললেন: “আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে এ দুই দিনের পরিবর্তে আরও ভাল দুটি দিন দিয়েছেন- ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতর।”

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয় সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি আমাদের বিষয়ের মধ্যে নতুন কিছু চালু করে যা এতে নেই সেটা প্রত্যাখ্যাত।”[সহিহ বুখারী (২৬৯৭) ও সহিহ মুসলিম (১৭১৮)]

সুতরাং ঈদ-এ-মিলাদুন্নাবী উপলক্ষে মসজিদে দোয়া, মাহফিল,মিলাদ, সবশেষে তবারক দেওয়া।  এগুলো বিদআত ও পরিত্যাজ্য।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...