আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
34 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
বিবাহিত জীবন কিছু ঘটনার জন্য সতর্কতা স্বরুপ বিয়ে নবায়ন করতে চেয়েছিলাম। এসব ঘটনার পরে  আমার হাসবেন্ড আর আমি মাদরাসায় গেসিলাম পুনরায় বিয়ে করার উদ্দেশ্য নিয়ে।তো আমি মাদরাসার ভিতর ঢুকি নাই।আমি ভাবসি যে ইযাব কবুলের সময় আমার হাসবেন্ড দুই সাক্ষী নিয়ে বাইরে আসবে আর আমি তাদের সামনে ইজাব-কবুল করবো।
কিন্তু মাদরাসার ভিতরে হুজুর আমার হাসবেন্ড কে জিজ্ঞেস করসেন যে পুনরায় বিয়ের ব্যাপারে আমার কাছ থেকে কি অনুমতি নিয়ে আসছেন কিনা।তখন তিনি বলসেন যে আমার অনুমতি নিসেন.এখানে হুজুর আমার পক্ষ থেকে আমার হাসবেন্ড কে উকিল হিসেবে ধরে নিসেন।যদি ও আমি আমার হাসবেন্ড কে হুজুর সাহেব দের আমার সামনে নিয়ে এসে ইজাব কবুলের জন্য পাঠাইসিলাম।আমি আমার হাসবেন্ড কে আমার উকিল হওয়ার জন্য মৌখিক ভাবে কিছু বলিনি।শুধু বলসি বিয়ে নবায়ন এর জন্য হুজুরের সাথে কথা বলতে।(( (( তিনি আমার উকিল হওয়ার জন্য আমার অনুমতি নিয়ে যান নি তবে তার একথা বলার কারণ ছিলো যে আমি তো বিয়ের ব্যাপারে সম্মত বলেই তাকে হুজুর নিয়ে আসার জন্য পাঠাইসি)))।তখন হুজুর দুই জন সাক্ষীর সামনে ইজাব কবুলের মাধ্যমে বিয়ে নবায়ন করসেন মাদ্রাসার ভিতরেই।ওই সময় বড় হুজুর ছিলেন, আর দুই জন সাক্ষী ছিলেন আর আমার হাসবেন্ড ছিলেন। আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না।এরপর হাসবেন্ড বাইরে এসে একথা বললে তখন আমি বলি যে তুমি তো আমার সম্মতি নিয়ে যাও নি।তখন তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করসেন তুমি তো এখানে বিয়ে করতেই আসছো, সেজন্য আমি ভাবসি তোমার সম্মতি আছে।
এরপর আমি তার সামনে বলসি যে হ্যাঁ আমার সম্মতি আছে।এরপর তার সাথে সংসার জীবন আগের মত শুরু করি।

এক্ষেত্রে বিয়ের ব্যাপারে আমার নিয়ত ছিলো আমরা পুনরায় বিয়ের নিয়তেই মাদ্রাসায় গেসিলাম। কিন্তু আমি ভাবসি যে উনারা আমার কাছে এসে শুনবেন। আমি আর হাসবেন্ড তাদের সামনে ইযাব কবুলের মাধ্যমে বিয়ে নবায়ন করা হবে।
উপরোক্ত হিসাবে কি আমাদের পুনরায়  বিয়ে সহীহ হইসে??

1 Answer

0 votes
by (677,040 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ اَنۡ تَضِلَّ اِحۡدٰىہُمَا فَتُذَکِّرَ اِحۡدٰىہُمَا الۡاُخۡرٰی

আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুলে গেলে তাদের একজন অপরজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
(সুরা বাকারা ২৮২)

হাদিস শরিফে এসেছে, 

لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ

‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,    
আপনি তো তখনও বিবাহে সম্মতি দিয়েছেন,এখনও আপনি সম্মত আছেন,সুতরাং প্রশ্নের বিবরন মতে উক্ত বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...