بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
ইমরান বিন হুসাইন (রদ্বি, ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন,
لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَطَيَّرَ، أَوْ تُطُيِّرَ لَهُ أَوْ تَكَهَّنَ، أَوْ تُكُهِّنَ لَهُ أَوْ سَحَرَ، أَوْ سُحِرَ لَهُ-
, ‘‘সে ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয়, যে ব্যক্তি (কোন বস্ত্ত, ব্যক্তি কর্ম বা কালকে) অশুভ লক্ষণ বলে মানে অথবা যার জন্য অশুভ লক্ষণ দেখা (পরীক্ষা) করা হয়, যে ব্যক্তি (ভাগ্য) গণনা করে অথবা যার জন্য (ভাগ্য) গণনা করা হয়। আর যে ব্যক্তি যাদু করে অথবা যার জন্য (বা আদেশে) যাদু করা হয়।’’ (ত্বাবারানী ১৪৭৭০, সহীহুল জামে’ ৫৪৩৫ ,সিলসিলা ছহীহা ২১৯৫)
এগুলোতে বিশ্বাস করা শিরক। এভাবে শুভ অশুভ নির্ণয়ের বিধান প্রসঙ্গে রসূলুল্লাহ (স) বলেন,
اَلطِّيَرَةُ شِرْكٌ
‘কুলক্ষণে বিশ্বাস করা শিরক’।[আবুদাঊদ, তিরমিযী; মিশকাত, ৪৫৮৪]
আব্দুল্লাহ বিন আমর বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স) একদা বললেন, কুলক্ষণ যে ব্যক্তিকে কোন কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখে, নিশ্চয়ই সে শিরক করে। ছাহাবীগণ আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! উহার কাফফারা কি হবে? তিনি বললেন, ঐ ব্যক্তি বলবে-
اَللَّهُمَّ لاَ خَيْرَ إِلاَّ خَيْرُكَ وَلاَ طَيْرَ إِلاَّ طَيْرُكَ وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ
‘হে আল্লাহ! আপনার কল্যাণ ছাড়া কোন কল্যাণ নেই। আপনার সৃষ্ট কুলক্ষণ ছাড়া কোন কুলক্ষণ নেই। আর আপনি ছাড়া কোন মা‘বূদও নেই’ [আহমাদ ৭০৪৫, সিলসিলা ছহীহা ১০৬৫]
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কাউকে ভাগ্যবতী বলে বিশ্বাস করা, কাউকে অভাগা বলে বিশ্বাস করা এগুলো যৌক্তিক নয়। এহেন বিশ্বাস খুবই মারাত্মক,ঈমানের জন্য ক্ষতিকর।
তাই দ্রুত তওবা করে এহেন বিশ্বাস থেকে ফিরে আসতে হবে।
শরীয়তের দৃষ্টিকোণ হতে ভাগ্যবতী বলতে আসলে কিছু নেই।
আল্লাহ তা’আলা সকল মাখলুকের তাকদীর আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বৎসর পূর্বে লিখেছেন। সেখানে যাহা লেখা আছে,তাহাই হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ سَرْحٍ حَدَّثَنَا ابْنُ، وَهْبٍ أَخْبَرَنِي أَبُو هَانِئٍ الْخَوْلاَنِيُّ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو، بْنِ الْعَاصِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " كَتَبَ اللَّهُ مَقَادِيرَ الْخَلاَئِقِ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ بِخَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ -
আবূ তাহির, আহমাদ ইবনু আমর ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনু সারহ (রহঃ) ...... ‘আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা সকল মাখলুকের তাকদীর আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বৎসর পূর্বে লিখেছেন। (মুসলিম শরীফ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৫০৭, ইসলামিক সেন্টার ৬৫৫৮)
বিবাহের দ্বারা যেহেতু সংসারে বারাকাহ আসে, তাই প্রশ্নে উল্লেখিত কথা বলার দরুন কোনো সমস্যা হবেনা।