আসসামুলাইকুম, আমি একজন মেডিকেল শিক্ষার্থী। আমার রুমমেট হিন্দু,ও পূজা করেনা কিন্তু ওর কাছে মূর্তি বা মূর্তির ছবি আছে।আমি ওকে নিষেধ করলে ও এসব কিছু রুমে রাখবেনা।এখন আমি কি ওকে এগুলো রুমে রাখতে নিষেধ করতে পারবো? মানে এতে তো অন্য জনের ধর্ম পালনে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।আবার ও যদি এগুলো ঢেকে রাখে বা আমি যদি আমার জায়গা পর্দা দিয়ে আলাদা করি ,তাহলে কী নামাজ হবে?অথবা ও যদি কিছুই ওর ধর্মের পালন না করে তাহলে পর্দা দিয়ে থাকা যাবে?ও যদি রুমে মনেমনে ওদের ঝপ করে তাহলে সেক্ষেত্রে কী ওর সাথে থাকা যাবে...?আমি ২ বছর ধর্মের দিক থেকে থাকা ঠিক কিনা এটা না জেনে থেকে গেছি ,এতদিন থাকার ফলে আমার ওর সাথে একটা এডজাস্টমেন্ট হয়ে গেছে...
সামনে নতুন হোস্টেলে উঠাবে ,তাই রুমমেট পরিবর্তন করা যাবে,এক্ষেত্রে আমার রুমে আরো একজন বৌদ্ধ বা হিন্দু ধর্মের মানে অন্য ধর্মের মোট ২/৩ জন আসার সম্ভাবনা আছে। আর না আসলে আমি আমার বর্তমান ১জন হিন্দু রুমমেটের সাথে পরবর্তীতে থাকতে পারবো কী ? আমিও রুম চেন্জ করে মুসলিমদের সাথে যেতে পারবো চেষ্টা করলে ,কিন্তু রুম পরিবর্তন করে মুসলিমদের সাথে গেলে নতুন রুমমেটদের(ওরাও আমারই ক্লাসমেট ও আগে থেকে চিনি ও বাইরে থেকে এদের সাথে সম্পর্ক ভালো কিন্ত রুমে গেলে সম্পর্ক খরাপ হওয়ার ভয় আছে) সাথে এডজাস্ট করতে পারব কি না ,এই ব্যাপারে ভয়ে আছি। বা এমন যদি হয় হিন্দু রুমমেট কে বাধ দিয়ে মুসলিমদের সাথে যাই যাদের সাথে আমি সচরাচর উঠাবসা করিনা বা আমার বৈশিষ্ট্য ওদের সাথে মিলে না এবং আমি মানষিকভাবে যন্ত্রনায় থাকবো.....তাহলে এই সমস্ত উল্লেখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করে আমার কি করা উচিত ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী???আমি অনেক চিন্তিত, দয়া করে বিষদভাবে বিশ্লেষণ করে জানাবেন...
(উল্লেখ্য, আমি নামাজ ও ধর্মীয় দিকগুলো নিয়মিত পালন করিনা।আমার ঈমান যথেষ্ট দৃঢ় না,আমি হিন্দু/মুসলিম যাদের সাথেই থাকি ,আমার ঈমান দৃঢ় করতে চাই,নামাজ,কুরআন নিয়মিত পড়তে চাই)