আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসামুলাইকুম, আমি একজন মেডিকেল শিক্ষার্থী। আমার রুমমেট হিন্দু,ও পূজা করেনা কিন্তু ওর কাছে মূর্তি বা মূর্তির ছবি আছে।আমি ওকে নিষেধ করলে ও এসব কিছু রুমে রাখবেনা।এখন আমি কি ওকে এগুলো রুমে রাখতে নিষেধ করতে পারবো? মানে এতে তো অন্য জনের ধর্ম পালনে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।আবার ও যদি এগুলো ঢেকে রাখে বা আমি যদি আমার জায়গা পর্দা দিয়ে আলাদা করি ,তাহলে কী নামাজ হবে?অথবা ও যদি কিছুই ওর ধর্মের পালন না করে তাহলে পর্দা দিয়ে থাকা যাবে?ও যদি রুমে মনেমনে ওদের ঝপ করে তাহলে সেক্ষেত্রে কী ওর সাথে থাকা যাবে...?আমি ২ বছর ধর্মের দিক থেকে থাকা ঠিক কিনা এটা না জেনে থেকে গেছি ,এতদিন থাকার ফলে আমার ওর সাথে একটা এডজাস্টমেন্ট হয়ে গেছে...

সামনে নতুন হোস্টেলে উঠাবে ,তাই রুমমেট পরিবর্তন করা যাবে,এক্ষেত্রে আমার রুমে আরো একজন  বৌদ্ধ বা হিন্দু ধর্মের মানে অন্য ধর্মের মোট ২/৩ জন আসার সম্ভাবনা আছে। আর না আসলে আমি আমার বর্তমান ১জন হিন্দু রুমমেটের সাথে পরবর্তীতে থাকতে পারবো কী ? আমিও রুম চেন্জ করে মুসলিমদের সাথে যেতে পারবো চেষ্টা করলে ,কিন্তু রুম পরিবর্তন করে মুসলিমদের সাথে গেলে নতুন রুমমেটদের(ওরাও আমারই ক্লাসমেট ও আগে থেকে চিনি ও বাইরে থেকে এদের সাথে সম্পর্ক ভালো কিন্ত রুমে গেলে সম্পর্ক খরাপ হওয়ার ভয় আছে) সাথে এডজাস্ট করতে পারব কি না ,এই ব্যাপারে ভয়ে আছি। বা এমন যদি হয় হিন্দু রুমমেট কে বাধ দিয়ে মুসলিমদের সাথে যাই যাদের সাথে আমি সচরাচর উঠাবসা করিনা বা আমার বৈশিষ্ট্য ওদের সাথে মিলে না এবং আমি মানষিকভাবে যন্ত্রনায় থাকবো.....তাহলে এই সমস্ত উল্লেখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করে আমার কি করা উচিত ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী???আমি অনেক চিন্তিত, দয়া করে বিষদভাবে বিশ্লেষণ করে জানাবেন...

(উল্লেখ্য, আমি নামাজ ও ধর্মীয় দিকগুলো নিয়মিত পালন করিনা।আমার ঈমান যথেষ্ট দৃঢ় না,আমি হিন্দু/মুসলিম যাদের  সাথেই থাকি ,আমার ঈমান দৃঢ় করতে চাই,নামাজ,কুরআন নিয়মিত পড়তে চাই)

1 Answer

0 votes
by (677,700 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ دَاوُدَ بْنِ سُفْيَانَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ مُوسَى أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سَعْدِ بْنِ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، حَدَّثَنِي خُبَيْبُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ سُلَيْمَانَ بْنِ سَمُرَةَ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، أَمَّا بَعْدُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ جَامَعَ الْمُشْرِكَ وَسَكَنَ مَعَهُ فَإِنَّهُ مِثْلُهُ صحيح

সামুরাহ ইবনু জুনদুব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কেউ কোনো মুশরিকের সাহচর্যে থাকলে এবং তাদের সাথে বসবাস করলে সে তাদেরই মতো।
(আবু দাউদ ২৭৭৮ ইফাঃ)

وَعَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَرِيَّةً إِلَى خَثْعَمَ فَاعْتَصَمَ نَاسٌ مِنْهُمْ بِالسُّجُودِ فَأَسْرَعَ فِيهِمُ الْقَتْلَ فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَمَرَ لَهُمْ بِنِصْفِ الْعَقْلِ وَقَالَ: «أَنَا بَرِيءٌ مِنْ كُلِّ مُسْلِمٍ مُقِيمٍ بَيْنَ أَظْهُرِ الْمُشْرِكِينَ» قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ لِمَ؟ قَالَ: «لَا تَتَرَاءَى نَارَاهُمَا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ

জারীর ইবনু ’আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খস্’আম সম্প্রদায়ের মুকাবিলায় একটি ক্ষুদ্র বাহিনী পাঠালেন। অতঃপর উক্ত সম্প্রদায়ের কিছু সংখ্যক লোক আত্মরক্ষার জন্য সাজদারত হলো, কিন্তু দ্রুতবেগে তাদেরকে হত্যা করা হলো। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এ সংবাদ পৌঁছল। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মৃত ব্যক্তির উত্তারাধিকারীদেরকে অর্ধেক দিয়াত (রক্তপণ) পরিশোধ করার জন্য হুকুম দিয়ে বললেন, যে সকল মুসলিমরা মুশরিকদের মাঝে বসবাস করে, আমার ওপর তাদের কোনো দায়-দায়িত্ব নেই। সাহাবীগণ জানতে চাইলেন, হে আল্লাহর রসূল, এরূপ কেন? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, কেননা তাদের উচিত ছিল অনতিদূরে অবস্থান করা, যাতে একে অপরের আগুন পর্যন্ত দৃষ্টিপাত না হয়।
(আবূ দাঊদ ২৬৪৫, তিরমিযী ১৬০৪,মিশকাত ৩৫৪৭)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
আপনি তাকে মূর্তির বিষয়ে নিষেধ করতে পারবেননা। এই অধিকার আপনার নেই।
সে যদি এগুলো ঢেকে রাখে বা আপনি যদি তার উপর কাপড় দেন,ঘরে যদি তাহা আর দেখা না যায়,সেক্ষেত্রে আপনার নামাজ হবে।

অন্যথায় সেই ঘরে নামাজ পড়া মাকরুহে তাহরিমি হবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
মুসলিম অমুসলিম এক রুমে থাকাকে কখনো শরীয়ত অনুমোদন দেয়না।
এটা পুরোপুরি নাজায়েজ।     

হ্যাঁ, অপারগতা বশত অমুসলিম পাশের রুমে থাকলে কোনো সমস্যা নেই যদি তার সাথে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক না থাকে,এবং নিজের ঈমান- আকিদা সুদৃঢ় রাখার পূর্ণ ইয়াক্বিন-বিশ্বাস থাকে।

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি উক্ত রুমে থাকতে পারবেননা।
নিজের ঈমান- আকিদা সুদৃঢ় রাখার পূর্ণ ইয়াক্বিন-বিশ্বাস থাকলে তিনি পাশের রুমে থাকতে পারবেন।

★আপনার রুমে একজনও যেনো অমুসলিম থাকতে না পারে।
,
অন্যথায় উক্ত মেস/হোস্টেল পরিবর্তন করা প্রয়োজন।    
এতে মানষিকভাবে যন্ত্রনায় পড়তে হোক বা অন্য কিছু হোক,তারপরেও শরীয়তের বিধান মেনে চলতে হবে।

আমাদের সব কিছুর আগে শরীয়তের বিধিনিষেধ কে প্রাধান্য দিয়ে চলতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...