মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
(অনুবাদ)
“তারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মিসকীন, ইয়াতীম ও বন্দীকে খাদ্য দান করে।”
(সূরা আল-ইনসান (৭৬:৮)
তাফসির: ইবনে কাসীর বলেন—এটি আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের বৈশিষ্ট্য। (তাফসির ইবনে কাসীর)
“অথবা কোনো ক্ষুধার্তকে খাদ্য প্রদান করা কঠিন দিনে।”
(সূরা আল-বালাদ (৯০:১৩-১৬):
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
“যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের দুনিয়ার কষ্ট দূর করবে, আল্লাহ তার কিয়ামতের কষ্ট দূর করবেন।”
(ক্ষুধা থেকে মুক্তি দেওয়া এটার অন্তর্ভুক্ত।)
(সহিহ মুসলিম (হাদিস: ২৫৮১):
“হে আদম সন্তান! আমি ক্ষুধার্ত ছিলাম, তুমি আমাকে খাওয়াওনি...”
আল্লাহ কিয়ামতে বলবেন, বান্দা বলবে, আমি কীভাবে আপনাকে খাওয়াব? আল্লাহ বলবেন:
“তুমি কি জান না, আমার অমুক বান্দা ক্ষুধার্ত ছিল, তুমি যদি তাকে খাওয়াতে, তাহলে আমাকে তার কাছে পেতে।”
(তিরমিযী (হাদিস: ১৮৫৫):
“হে আবু জর! যখন তুমি কোনো ঝোল রান্না করো, তখন তার পানি বাড়িয়ে দাও এবং তোমার প্রতিবেশীকে দাও।”
(বুখারি ও মুসলিমে রিওয়ায়াত (সহিহ বুখারি: ৫০৬০):
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
“যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের ক্ষুধা মেটাবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের ফল খাওয়াবেন।”
(এ হাদিসে ফজিলতের ইঙ্গিত রয়েছে।)
(সহিহ বুখারি (হাদিস: ২৮৮৪):
“যদি কেউ ক্ষুধায় মৃত্যুর মুখে থাকে এবং অন্য কারো কাছে খাবার থাকে, তবে তার জন্য দেওয়া ওয়াজিব।”
(আল-মাবসুত (সারাখসি), খণ্ড ২৪, পৃষ্ঠা ৩৬)
“যদি ক্ষুধায় মৃত্যু আশঙ্কা থাকে, তবে খাবার দেওয়া ফরজ। অন্যথায় এটা সদকার অন্তর্ভুক্ত।”
(আল-ইখতিয়ার লি তা’লিল আল-মুখতার (ফিকহে হানাফি), খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ১৫৮)
সুতরাং এটা নফল আমল, অর্থাৎ মুস্তাহাব ও খুব ফজিলতময়।
তবে যদি কেউ চরম প্রয়োজনে ক্ষুধার্ত থাকে (প্রাণের ঝুঁকি) সেক্ষেত্রে হুকুম ভিন্ন হবে।
যদি কোনো মানুষ ক্ষুধার কারণে মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকে এবং আপনি খাবার দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন, তাহলে তাকে খাওয়ানো ওয়াজিব হয়ে যাবে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো সাধারণভাবে নফল (মুস্তাহাব) আমল।
কিন্তু যদি তার জীবন ঝুঁকির মধ্যে থাকে, তাহলে সেটা ওয়াজিব।