আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
10 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (38 points)
১।ক্ষুদার্ত কে খাবার খাওয়ানো কি সুন্নাতে মুয়াক্কাদা নাকি নফল?
২।ফকির ভিক্ষা চাইলে খুব কমই হয় যে ফিরত দেই কিছু হলেও দেওয়ার চেস্টা করি। কেউ খাবার খাইতে চাইলে চেস্টা করি খাওয়ানোর জন্য বাড়িতে থাকলে যারা চাইছে সবাইকে দেওয়া হয় থাকলে আমাদের পরিবার নিষেধ করেনা তবে বাহিরে হইলে চেষ্টা করি অথবা কিছু টাকা দান করে দেই। আবার কেউ যদি ভিক্ষা  চায় এ নিয়তে দিলে হবে যে সেতো ক্ষুধার্ত খাবারের জন্য টাকা তোলো কোরআন হাদিস অনুযায়ী আমল করা হবে কি  ?

1 Answer

0 votes
ago by (666,210 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 
(অনুবাদ)

“তারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মিসকীন, ইয়াতীম ও বন্দীকে খাদ্য দান করে।”
(সূরা আল-ইনসান (৭৬:৮)

তাফসির: ইবনে কাসীর বলেন—এটি আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের বৈশিষ্ট্য। (তাফসির ইবনে কাসীর)

“অথবা কোনো ক্ষুধার্তকে খাদ্য প্রদান করা কঠিন দিনে।”
(সূরা আল-বালাদ (৯০:১৩-১৬):

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
“যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের দুনিয়ার কষ্ট দূর করবে, আল্লাহ তার কিয়ামতের কষ্ট দূর করবেন।”
(ক্ষুধা থেকে মুক্তি দেওয়া এটার অন্তর্ভুক্ত।)
(সহিহ মুসলিম (হাদিস: ২৫৮১):

“হে আদম সন্তান! আমি ক্ষুধার্ত ছিলাম, তুমি আমাকে খাওয়াওনি...”
আল্লাহ কিয়ামতে বলবেন, বান্দা বলবে, আমি কীভাবে আপনাকে খাওয়াব? আল্লাহ বলবেন:
“তুমি কি জান না, আমার অমুক বান্দা ক্ষুধার্ত ছিল, তুমি যদি তাকে খাওয়াতে, তাহলে আমাকে তার কাছে পেতে।”
(তিরমিযী (হাদিস: ১৮৫৫):

“হে আবু জর! যখন তুমি কোনো ঝোল রান্না করো, তখন তার পানি বাড়িয়ে দাও এবং তোমার প্রতিবেশীকে দাও।”
(বুখারি ও মুসলিমে রিওয়ায়াত (সহিহ বুখারি: ৫০৬০):

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
“যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের ক্ষুধা মেটাবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের ফল খাওয়াবেন।”
(এ হাদিসে ফজিলতের ইঙ্গিত রয়েছে।)
(সহিহ বুখারি (হাদিস: ২৮৮৪):

“যদি কেউ ক্ষুধায় মৃত্যুর মুখে থাকে এবং অন্য কারো কাছে খাবার থাকে, তবে তার জন্য দেওয়া ওয়াজিব।”
(আল-মাবসুত (সারাখসি), খণ্ড ২৪, পৃষ্ঠা ৩৬)

“যদি ক্ষুধায় মৃত্যু আশঙ্কা থাকে, তবে খাবার দেওয়া ফরজ। অন্যথায় এটা সদকার অন্তর্ভুক্ত।”
(আল-ইখতিয়ার লি তা’লিল আল-মুখতার (ফিকহে হানাফি), খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ১৫৮)

সুতরাং এটা নফল আমল, অর্থাৎ মুস্তাহাব ও খুব ফজিলতময়।

তবে যদি কেউ চরম প্রয়োজনে ক্ষুধার্ত থাকে (প্রাণের ঝুঁকি) সেক্ষেত্রে হুকুম ভিন্ন হবে।

যদি কোনো মানুষ ক্ষুধার কারণে মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকে এবং আপনি খাবার দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন, তাহলে তাকে খাওয়ানো ওয়াজিব হয়ে যাবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো সাধারণভাবে নফল (মুস্তাহাব) আমল।
কিন্তু যদি তার জীবন ঝুঁকির মধ্যে থাকে, তাহলে সেটা ওয়াজিব।

(০২)
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার আমল ঠিক আছে। সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...