আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
18 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম, আমাদের বাসার ভাড়াটিয়া মহিলার আচরণ বেশ সন্দেহজনক, তার বিয়ের অনেক বছর হয়েছে কিন্তু বাচ্চা হচ্ছে না, এতদিন ডাক্তারি চিকিৎসা করিয়েছে কিন্তু আমি যতদূর জানি ডাক্তারের পরামর্শ ঠিকমত না মানার কারণে তার বাচ্চা কনসিভ হওয়ার পরও নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে কিছু দিন যাবত তার আচরণ সন্দেহজনক। এখন সমস্যা হলো আমাদের বাসায় মেহেদী গাছ আছে, মেহেদী গাছটি আগে যত সুন্দর ছিলো এখন অতটাও নেই কিছু টা কমে গেছে, মেহেদী গাছের মাধ্যমে বা মেহেদী গাছ দিয়ে কি কোন জাদু বা এমন কোন তদবির বা কিছু করা যায়? এক আত্মীয়ের কাছে শুনেছিলাম বাসায় মেহেদী গাছ রাখতে হয়না, আমরা এসব জিনিসপত্র বিশ্বাস করিনা আর ভালো মন্দ সবকিছুর মালিক একমাত্র আল্লাহ সেজন্য এসব কথাতে কানও দেইনি। এখন এই মহিলার আচরণে সবকিছু কেমন যেন লাগছে, আর মেহেদী গাছের পাতাও ব্যবহার করতে পারছিনা কারণ যদি কোন জাদু করে রাখে তাতে সমস্যা হওয়ার ভয়ে। সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করবেন প্লিজ।

1 Answer

0 votes
ago by (665,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْ زَيْنَبَ امْرَأَةِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ رَأَى فِي عُنُقِي خَيْطًا فَقَالَ: مَا هَذَا؟ فَقُلْتُ: خَيْطٌ رُقِيَ لِي فِيهِ قَالَتْ: فَأَخَذَهُ فَقَطَعَهُ ثُمَّ قَالَ: أَنْتُمْ آلَ عَبْدَ اللَّهِ لَأَغْنِيَاءٌ عَنِ الشِّرْكِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُول: «إِنَّ الرُّقَى وَالتَّمَائِمَ وَالتِّوَلَةَ شِرْكٌ» فَقُلْتُ: لِمَ تَقُولُ هَكَذَا؟ لَقَدْ كَانَتْ عَيْنِي تُقْذَفُ وَكُنْتُ أَخْتَلِفُ إِلَى فُلَانٍ الْيَهُودِيِّ فَإِذَا رَقَاهَا سَكَنَتْ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: إِنَّمَا ذَلِكِ عَمَلُ الشَّيْطَانِ كَانَ يَنْخَسُهَا بِيَدِهِ فَإِذَا رُقِيَ كُفَّ عَنْهَا إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيكِ أَنْ تَقُولِي كَمَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «أَذْهِبِ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِي لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءٌ لَا يُغَادِرُ سقما» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ)-এর স্ত্রী যায়নাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। (আমার স্বামী) ’আবদুল্লাহ আমার গলায় একখানা তাগা দেখে জিজ্ঞেস করলেন : এটা কী? বললামঃ এটা একটি তাগা, আমার জন্য তাতে মন্ত্র পড়া হয়েছে। যায়নাব বলেনঃ এটা শুনে তিনি তাগাটি টেনে ছিঁড়ে ফেললেন। অতঃপর বললেনঃ তোমরা ’আবদুল্লাহর পরিবারবর্গ! তোমরা শির্কের মুখাপেক্ষী নও, (এতে কলূষিত হবে কেন?) আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ ঝাড়ফুঁক, তা’বীয ও জাদুটোনা শির্কী কাজ। (যায়নাব বলেনঃ) তখন আমি বললামঃ আপনি কেন এরূপ কথা বলছেন? একবার আমার চোখে ব্যথা হচ্ছিল, যেন চোখটি বের হয়ে পড়বে। তখন আমি অমুক ইয়াহূদীর কাছে যাওয়া-আসা করতাম। যখন সে ইয়াহূদী তাতে মন্ত্র পড়ল, তখনই তার ব্যথা চলে গেল।

এ কথা শুনে ’আবদুল্লাহ বললেনঃ এটা তো শয়তানেরই কাজ। সে নিজের হাতের দ্বারা তাতে আঘাত করছিল, আর যখন মন্ত্র পড়া হয়, তখন সে বিরত হয়ে যায়। বস্তুতঃ (এ জাতীয় রোগ) তোমার পক্ষ এরূপ বলাই যথেষ্ট ছিল, যেভাবে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ’’আযহিবিল বা’সা রব্বান্ না-স, ওয়াশফি আনতাশ্ শা-ফী লা- শাফা-আ ইল্লা- শিফা-উকা শিফা-উন লা- ইউগা-দিরু সাকামা-’’ (হে মানুষের রব! আপনি বিপদ দূর করে দিন এবং রোগ হতে নিরাময় দান করুন। আপনিই নিরাময়কারী। আপনার নিরাময় প্রদান ব্যতীত আরোগ্য লাভ করা সম্ভব নয়। এমন নিরাময় দান করুন, যেন কোন রোগই অবশিষ্ট না থাকে।)।
আবূ দাঊদ ৩৮৮৩, ইবনু মাজাহ ৩৫৩০, ‘বায়হাক্বী’র কুবরা ২০০৮৮, সহীহ ইবনু হিব্বান ৬০৯০, মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা ৫২০৮, আহমাদ ৩৬১৫, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ৩৩১, গয়াতুল মারাম ২৯৯।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
কিছু অঞ্চলে বিশ্বাস করা হয় মেহেদীর পাতার পানি বা ডাল দিয়ে “নজর লাগা” কাটানো যায়।

কিছু লোক জাদু-টোনা বা তদবিরের জন্য মেহেদী গাছের পাতা ব্যবহার করে, যেমন – তাবিজে রাখা, নির্দিষ্ট মন্ত্র পড়ে পানিতে ফোটানো ইত্যাদি।

বিয়ের আগে মেহেদী দেওয়ার প্রথা শুভ লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়, যা মূলত সৌন্দর্য ও আনন্দের প্রতীক।

ইসলামি দৃষ্টিকোণে মেহেদী একটি ঔষধি গাছ, যা চুল, নখ, হাত-পা সাজাতে ব্যবহৃত হয়। এতে কোনো অলৌকিক ক্ষমতা নেই।

ইসলাম অনুসারে কোনো বস্তুতে স্বতঃসিদ্ধ ক্ষমতা আছে – এমন বিশ্বাস করা শিরক বা কুসংস্কার।

জাদু বা তদবির করার জন্য গাছপালা, তাবিজ, মন্ত্র ইত্যাদি ব্যবহার করা অধিকাংশ ইসলামী স্কলারদের মতে হারাম।

প্রশ্নে নিয়ে উল্লেখিত ছুরতে আপনি আপনাদের মেহেদী গাছের পাতা ব্যবহার করতে পারবেন, আশা করি কোন সমস্যা হবেনা, ইনশাআল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...