আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
আমি অবিবাহিত। হলে থাকি। এখানের কয়েকজন বোনের জ্বিন, জাদু এসবের সমস্যা আছে। যখনি তাদের কোন অ্যাবনরমালিটিস দেখতে পায় তার রুমমেটরা আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। আমি স্বাভাবিকভাবে মারসুস উস্তাযের শয়তানের সাথে যুদ্ধ বইটার রুকইয়াহ আমলগুলো ফলো করে তাদের রুকইয়াহ করে থাকি। মাঝে মাঝে তাদের বিহেভিয়ার ভয়ংকর পর্যায়ে চলে যায়। কিন্তু আমি সাহস রাখি। কখনো সরাসরি আমলগুলো রোগীর কানে পৌঁছাতে না পারলে উচ্চ আওয়াজে ইউটিউব প্লেলিস্ট থেকে রুকইয়াহ রেকর্ড ছেড়ে রাখি।

গত ২ দিন আগে তেমনি এক বোনের গা থেকে তার রুমমেটরা প্রচন্ডরকম আগরবাতি বা অদ্ভুত কোন গন্ধ পাচ্ছিলো। তিনি আগে থেকে জ্বীনের আছড়গ্রস্থ সেটা সবাই জানতো। তাই তারা আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। আমি স্বাভাবিকভাবে মারসুস উস্তাযেী তিব্বে নববীর ১-৬ রুকইয়াহ জোরে জোরে তিলাওয়াত করলাম। তারপর সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করছিলাম। সে বলে উঠলো থামো এসব শুনতে পারছিনা। অতঃপর সে বসা অবস্থায়-ই অজ্ঞান হয়ে গেলো। জ্ঞান ফেরার পরে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেলো। আমি কিছুটা ভয় পেয়েছি উস্তায।
প্রশ্ন:
১। সিহর, জ্বীনগ্রস্থদের কমন সমস্যা দেখি তারা ফরজ, ওয়াজিব আমলের প্রতি গাফেল তারা নিজেরা ঠিকঠাক আমল না করলে আমি কি তাদেরকে রুকইয়াহ দিয়ে প্রটেক্ট করতে পারবো?

২। এভাবে রুকইয়াহ করানোর কারনে কি আমার কোন ক্ষতির সম্ভাবনা আছে? আমার নিজের প্রটেকশন শিল্ড যদি কখনো দুর্বল হয়ে যায় তখন? যেমন কোন একদিন যদি আমি সকাল সন্ধ্যার আমল না করতে পারি?

কারন যখন আমি হায়েজ অবস্থায় থাকি স্বাভাবিকভাবে আমলের পরিমানটা কমে যায়। সকাল-সন্ধ্যার আমলটা শুধু ধরে রাখি আলহামদুলিল্লাহ্।

৩। রুকইয়াহ গোসলের পানি রেডি করার পরে, সেই পানি ভাগ করে একাধিক ব্যাক্তিকে গোসল দেয়া যাবে? নাকি সবার জন্য আলাদা আলাদা পানি রেডি করতে হবে?

৪। আমার ভয় পাওয়া নিয়ে একটু সাহস দিন উস্তায, মিন ফাদ্বলিক। আমি নিজে রুকইয়াহ করতে, এবং মানুষকে করাতে পছন্দ করি। ইদানীং কি হয়েছে জানিনা। মনটা ভয়ে চুপসে যাচ্ছে।

1 Answer

0 votes
by (674,970 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

তাবিজে কুরআনের আয়াত, আল্লাহর নাম, দুআয়ে মাসুরা বা শিরকমুক্ত অর্থবোধক থাকলে তা  জায়িজ।  কেননা এসব তাবিজের ক্ষেত্রে মুয়াসসার বিজজাত তথা আরোগ্যের ক্ষমতা আল্লাহ তাআলাকেই মনে করা হয়। 
.
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُعَلِّمُهُمْ مِنَ الْفَزَعِ كَلِمَاتٍ: «أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ» وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يُعَلِّمُهُنَّ مَنْ عَقَلَ مِنْ بَنِيهِ، وَمَنْ لَمْ يَعْقِلْ كَتَبَهُ فَأَعْلَقَهُ عَلَيْهِ

আমর ইবনে শুআইব তাঁর পিতা ও তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে,রাসূল (সঃ) ইরশাদ করেন,তোমাদের কেউ যখন ঘুম অবস্থায় ঘাবড়িয়ে উঠে,সে যেন  أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ দো’আটি পাঠ করে। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর তাঁর উপযুক্ত সন্তানদের তা শিক্ষা দিতেন এবং ছোটদের গলায় তা লিখে লটকিয়ে দিতেন।{সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৮৯৫}

এ হাদীস স্পষ্টভাষায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আস রাঃ তাঁর অবুঝ সন্তানদের জন্য তাবীজ লিখে তা লটকিয়ে দিতেন।

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، قَالَ كُنَّا نَرْقِي فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَرَى فِي ذَلِكَ فَقَالَ " اعْرِضُوا عَلَىَّ رُقَاكُمْ لاَ بَأْسَ بِالرُّقَى مَا لَمْ يَكُنْ فِيهِ شِرْكٌ " .

আবূ তাহির (রহঃ) ..... আওফ ইবনু মালিক আশজা'ঈ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা জাহিলী (মূর্খতার) যুগে (বিভিন্ন) মন্ত্র দিয়ে ঝাড়ফুঁক করতাম। এজন্যে আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আবেদন করলাম- হে আল্লাহর রসূল! এক্ষেত্রে আপনার মতামত কি? তিনি বললেন, তোমাদের মন্ত্রগুলো আমার নিকট উপস্থাপন করো, ঝাড়ফুঁকে কোন দোষ নেই- যদি তাতে কোন শিরক (জাতীয় কথা) না থাকে। (মুসলিম ৫৬২৫ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৫৪৪, ইসলামিক সেন্টার ৫৫৬৯)

আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রহঃ উল্লেখ করেন-

إنما تكره العوذة إذا كانت بغير لسان العرب ، ولا يدرى ما هو ولعله يدخله سحر أو كفر أو غير ذلك ، وأما ما كان من القرآن أو شيء من الدعوات فلا بأس به

নিশ্চয় নিষিদ্ধ তাবীজ হল যা আরবী ছাড়া অন্য ভাষায় লিখা হয়, বুঝা যায় না তাতে কি আছে? অথবা যাতে জাদু, কুফরী ইত্যাদি কথা থাকে। আর যেসব তাবীজে কুরআন বা দুআ সম্বলিত হয় তা ব্যবহারে কোন সমস্যা নেই। {ফাতওয়ায়ে শামী- এইচ এম সায়ীদ ৬/৩৬৩}

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
হ্যাঁ, পারবেন।

(০২)
কেউ কেউ বলেন এতে আপনার ক্ষতি হতে পারে। তবে যদি আপনি কুরআন সুন্নাহর আমল নিয়মিত করতে পারেন,সকাল সন্ধ্যা ও ঘুমানোর আগে শরীর বন্ধ করার আমল করতে পারেন,ইনশাআল্লাহ আপনার ক্ষতি হবেনা।

(০৩)
প্রয়োজনে সেই পানি ভাগ করে একাধিক ব্যাক্তিকে গোসল দেয়া যাবে।

(০৪)
২ নং প্রশ্নের জবাব দ্রষ্টব্য। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
জাযাকাল্লাহু খইরন উস্তায

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...