আমি অবিবাহিত। হলে থাকি। এখানের কয়েকজন বোনের জ্বিন, জাদু এসবের সমস্যা আছে। যখনি তাদের কোন অ্যাবনরমালিটিস দেখতে পায় তার রুমমেটরা আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। আমি স্বাভাবিকভাবে মারসুস উস্তাযের শয়তানের সাথে যুদ্ধ বইটার রুকইয়াহ আমলগুলো ফলো করে তাদের রুকইয়াহ করে থাকি। মাঝে মাঝে তাদের বিহেভিয়ার ভয়ংকর পর্যায়ে চলে যায়। কিন্তু আমি সাহস রাখি। কখনো সরাসরি আমলগুলো রোগীর কানে পৌঁছাতে না পারলে উচ্চ আওয়াজে ইউটিউব প্লেলিস্ট থেকে রুকইয়াহ রেকর্ড ছেড়ে রাখি।
গত ২ দিন আগে তেমনি এক বোনের গা থেকে তার রুমমেটরা প্রচন্ডরকম আগরবাতি বা অদ্ভুত কোন গন্ধ পাচ্ছিলো। তিনি আগে থেকে জ্বীনের আছড়গ্রস্থ সেটা সবাই জানতো। তাই তারা আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। আমি স্বাভাবিকভাবে মারসুস উস্তাযেী তিব্বে নববীর ১-৬ রুকইয়াহ জোরে জোরে তিলাওয়াত করলাম। তারপর সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করছিলাম। সে বলে উঠলো থামো এসব শুনতে পারছিনা। অতঃপর সে বসা অবস্থায়-ই অজ্ঞান হয়ে গেলো। জ্ঞান ফেরার পরে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেলো। আমি কিছুটা ভয় পেয়েছি উস্তায।
প্রশ্ন:
১। সিহর, জ্বীনগ্রস্থদের কমন সমস্যা দেখি তারা ফরজ, ওয়াজিব আমলের প্রতি গাফেল তারা নিজেরা ঠিকঠাক আমল না করলে আমি কি তাদেরকে রুকইয়াহ দিয়ে প্রটেক্ট করতে পারবো?
২। এভাবে রুকইয়াহ করানোর কারনে কি আমার কোন ক্ষতির সম্ভাবনা আছে? আমার নিজের প্রটেকশন শিল্ড যদি কখনো দুর্বল হয়ে যায় তখন? যেমন কোন একদিন যদি আমি সকাল সন্ধ্যার আমল না করতে পারি?
কারন যখন আমি হায়েজ অবস্থায় থাকি স্বাভাবিকভাবে আমলের পরিমানটা কমে যায়। সকাল-সন্ধ্যার আমলটা শুধু ধরে রাখি আলহামদুলিল্লাহ্।
৩। রুকইয়াহ গোসলের পানি রেডি করার পরে, সেই পানি ভাগ করে একাধিক ব্যাক্তিকে গোসল দেয়া যাবে? নাকি সবার জন্য আলাদা আলাদা পানি রেডি করতে হবে?
৪। আমার ভয় পাওয়া নিয়ে একটু সাহস দিন উস্তায, মিন ফাদ্বলিক। আমি নিজে রুকইয়াহ করতে, এবং মানুষকে করাতে পছন্দ করি। ইদানীং কি হয়েছে জানিনা। মনটা ভয়ে চুপসে যাচ্ছে।