১. উক্তি: “তোমার রব যদি তোমাকে ইস্তেগফার করার কথা মনে করিয়ে দেন, তবে জেনে নাও তিনি তোমাকে ক্ষমা করতে চান” -আলি ইবনে আবি তালিব (রা.)
এই উক্তিটি আলি (রা.) থেকে সহিহ সূত্রে বর্ণিত হিসেবে পাইনি। হাদিসের কিতাবগুলোতে এর কোনো সনদ পাইনি। তবে অর্থের দিক থেকে এটি কুরআন ও সহিহ হাদিসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেমন,
“নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারীকে ভালোবাসেন।” (সূরা বাকারা: ২২২)
“আমার বান্দা যখন আমাকে স্মরণ করে, আমি তাকে স্মরণ করি।” (সহিহ বুখারি, মুসলিম)
অর্থাৎ, যদি তোমার মনে ইস্তিগফারের তাওফিক আসে, তা আল্লাহর রহমতের নিদর্শন।
২. তাহাজ্জুদের ফজিলত সম্পর্কিত উক্তি (শাইখ আতিক উল্লাহ হাফি-এর লেখা)
“তাহাজ্জুদ পড়লে আমি উর্ধজগতে আলোকিত ব্যক্তিত্ব হয়ে যাবো, ফেরেশতারা অনুপস্থিত দেখে আল্লাহর কাছে জিজ্ঞেস করবে” — এই কথাটি কোনো হাদিসে খুজে পাইনি।
তাহাজ্জুদের প্রকৃত ফজিলত কুরআন ও সহিহ হাদিসে আছে, যেমন—
“রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ পড়, এটি তোমার জন্য নফল। আশা করা যায় তোমার রব তোমাকে প্রশংসনীয় স্থানে দাঁড় করাবেন।” (সূরা ইসরা: ৭৯)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَعَنْ أَبِي عَبْدِ اللهِ الأَغَرِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَنْزِلُ رَبُّنَا تَبَارَكَ وَتَعَالَى كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى سَمَاءِ الدُّنْيَا حِينَ يَبْقَى ثُلُثُ اللَّيْلِ الآخِرُ، فَيَقُولُ : مَنْ يَدْعُونِي فَأَسْتَجِيبَ لَهُ، مَنْ يَسْأَلُنِي فَأُعْطِيَهُ، مَنْ يَسْتَغْفِرُنِي فَأَغْفِرَ لَهُ " .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমাদের মহা মহীয়ান রবব প্রতি রাতের এক তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকতে দুনিয়ার নিকটবর্তী আকাশে অবতরণ করে বলেন, আছে কেউ আমাকে ডাকবে, আমি তার ডাকে সাড়া দিবো? আছে কেউ আমার কাছে চাইবে, আমি তাকে দান করবো? আছে কি কেউ আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আমি তাকে ক্ষমা করে দিবো।
(বুখারী (অধ্যায় : তাহাজ্জুদ, অনুঃ রাতের শেষ ভাগে ও সলাতে দু‘আ করা, হাঃ ১১৪৫), মুসলিম (অধ্যায় : মুসাফিরের সলাত, অনুঃ রাতের শেষাংশে দু‘আ যিকিরে উৎসাহ দান)
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
“ফরজের পর শ্রেষ্ঠ সালাত হলো রাতের সালাত।” (সহিহ মুসলিম ১১৬৩)
অতএব, তাহাজ্জুদ অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
৩. হযরত মূসা (আঃ) ও বন্ধ্যা নারীর ঘটনা
এই কাহিনী কোনো সহিহ কিতাব (কুরআন, সহিহ হাদিস) বা বিশ্বস্ত তাফসিরে নেই। এটি ইসরাইলিয়াত (ইহুদি-খ্রিষ্টান বর্ণনা) ধরনের গল্প, যার সনদ নেই।
হ্যাঁ দোয়া ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে — এটা সহিহ হাদিসে আছে:
“দোয়া হলো তাকদিরকে পরিবর্তন করার মাধ্যম।” (তিরমিজি, হাসান)
কিন্তু মূসা (আঃ)-এর এই নির্দিষ্ট ঘটনার কোনো সহিহ দলিল খুজে পাইনি।
ঈসরায়েলী রেওয়ায়াত এর বিধান জানুনঃ-