ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ভাবি-দেবর ও ভাবি-ননদ জামাই এর জন্য প্রচলিত সামাজিকতার নামে বিনা প্রয়োজনে দেখাসাক্ষাৎ করা ও কথাবার্তা বলা কখনো জায়েয হবে না।হ্যা পর্দার আড়াল থেকে খাবার দাবার প্রস্তুত করে পাঠিয়ে দেয়া যাবে।স্ত্রী যদি খাবার ইত্যাদি পর্দার আড়াল থেকে পাঠিয়ে দেয়,তাহলে স্বামীর উপর যে সিলাহ রেহমি ওয়াজিব ছিলো,সেটার আংশিক আদায় হবে।বাকী অর্ধেক সামর্থ্যানুযায়ী স্বামী নিজেই আদায় করবে।
যদি একই ঘরে যৌথভাবে একাধিক ভাই স্ব পরিবারে বসবাস করেন। পৃথক ঘর করার সামর্থ্য তাদের না থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় জরুরতের ভিত্তিতে ফুকাহায়ে কেরাম কিছু শর্তসাপেক্ষে পর্দা বিধানে কিছুটা শীতিলতা নিয়ে আসেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/2674
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি পরিস্থিতি সহায় না হয়, তাহলে মুখকে কাপড় দ্বারা আবৃত করে ভাসুর বা দেবরের সাথে কথা বলতে পারবেন। বিভিন্ন অজুহাতে তাদের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে।আল্লাহ আমাদের সবার জন্য দ্বীন পালনকে সহজ করে দিক। আমীন।
(১) আপনার স্বামীর উপর ওয়াজিব যে, তিনি আপনাকে আলাদা রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। যদিও উনার মা-বাবা কষ্ট পায় না কেন?
(২) পর্দা রক্ষার নিমিত্তে স্বামী যদি পৃথক বাড়ীতে রাখতে রাজী না হয়, তাহলে এক্ষেত্রে স্বামীর কথা না শুনে আপনি বাবার বাড়ি থাকতে পারবেন। কেননা আল্লাহর অবাধ্যতায় কাউকেই অনুসরণ করা যাবে না।