আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
49 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (24 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১.আমার বাসুর অবিবাহিত।শশুড়বাড়িতে বাসুরের সামনে পড়ে যায় হুটহাট।আর উনাকে বুঝালে বুঝেনা সামনে চলে আসে হালকা মানসিক সমস্যা আছে উনার।এমনিতে সবকিছু বুঝে।এক্ষেত্রে আমার পর্দা রক্ষার্থে আমার স্বামীর কি উচিত নয় আমাকে আলাদা রাখা যদিও উনার মা-বাবা কষ্ট পায়।

২.আর স্বামী যদি রাজি নাহয় আলাদা রাখতে স্বামীর কথা না শুনে আমি কি বাবার বাড়ি থাকতে পারবো?

1 Answer

0 votes
by (705,360 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ভাবি-দেবর ও ভাবি-ননদ জামাই এর জন্য প্রচলিত সামাজিকতার নামে বিনা প্রয়োজনে দেখাসাক্ষাৎ করা ও কথাবার্তা বলা কখনো জায়েয হবে না।হ্যা পর্দার আড়াল থেকে খাবার দাবার প্রস্তুত করে পাঠিয়ে দেয়া যাবে।স্ত্রী যদি খাবার ইত্যাদি পর্দার আড়াল থেকে পাঠিয়ে দেয়,তাহলে স্বামীর উপর যে সিলাহ রেহমি ওয়াজিব ছিলো,সেটার আংশিক আদায় হবে।বাকী অর্ধেক সামর্থ্যানুযায়ী স্বামী নিজেই আদায় করবে।


যদি একই ঘরে যৌথভাবে একাধিক ভাই স্ব পরিবারে  বসবাস করেন। পৃথক ঘর করার সামর্থ্য তাদের না থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় জরুরতের ভিত্তিতে ফুকাহায়ে কেরাম কিছু শর্তসাপেক্ষে পর্দা বিধানে কিছুটা শীতিলতা নিয়ে আসেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2674


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি পরিস্থিতি সহায় না হয়, তাহলে মুখকে কাপড় দ্বারা আবৃত করে ভাসুর বা দেবরের সাথে কথা বলতে পারবেন।  বিভিন্ন অজুহাতে তাদের থেকে দূরে থাকার  চেষ্টা করতে হবে।আল্লাহ আমাদের সবার জন্য দ্বীন পালনকে সহজ করে দিক। আমীন। 
(১) আপনার স্বামীর উপর ওয়াজিব যে, তিনি আপনাকে আলাদা রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। যদিও উনার মা-বাবা কষ্ট পায় না কেন?

(২) পর্দা রক্ষার নিমিত্তে স্বামী যদি পৃথক বাড়ীতে রাখতে  রাজী না হয়, তাহলে এক্ষেত্রে স্বামীর কথা না শুনে আপনি বাবার বাড়ি থাকতে পারবেন। কেননা আল্লাহর অবাধ্যতায় কাউকেই অনুসরণ করা যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...