আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (63 points)
প্রথমেই বলে নিই আমি ওয়াসওয়াসা ও জ্বিনের বদনজরে আক্রান্ত। জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিস্থিতিতিতে আমি পরিবার, আত্মীয়স্বজন সহ অনেকের সাথেই চরম দুর্ব্যবহার করেছি। গালাগাল, হাতাহাতিও করেছি। যখন এগুলো করেছি তখন আমি এগুলো করতে চাইনি। আমার মনে হত কেউ আমাকে উশকে দিচ্ছে আর আমাকে নিয়ন্ত্রণ করছে। আমার হিতাহিত জ্ঞান থাকত না। আমার মধ্যে আমি থাকতাম না। আমার মনে হত কেউ আমাকে দিয়ে এগুলো করাচ্ছে।


আমি কুফরি ও করেছি, আল্লাহ কে নিয়ে গালিগালাজ ও করেছি। আমি একটা পর্যায় আল্লাহর নাম শুনতেই পারতাম না। আল্লাহর নাম শুনলেই গালি চলে আসত। আমি বেশ কয়েকবার রুকইয়া করেছি। এবং জ্বীনের সমস্যার কথা জানতে পারি।
অথচ আমি খুব শান্ত স্বভাবের ছেলে। নামাজ কালাম পড়তাম। দ্বীন মেনে চলার যথাসাধ্য চেস্টা করতাম। রুকইয়া করার পর আমি স্বপ্নে দেখতে পেতাম জ্বীন আমাকে বলছে তোকে আরো ভাল করে ধরব। তারপর আমি আস্তে আস্তে সবার সাথেই দুর্ব্যবহার করতে থাকলাম।


আমি মাকে গালি দিয়েছি। কস্ট দিয়েছি, মারতে গিয়েছি। চরম খারাপ ব্যাবহার করেছি। অবশ্য সজ্ঞানে করিনাই।
আমি পরে আমার ভুল বুঝতে পেরে মার কাছে কান্নাকাটি করে নত হয়ে ক্ষমা চাই। এক পর্যায়ে আমার মা নিজ মুখে বলে আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিসি। আল্লাহ ও যেন তোমাকে ক্ষমা করর দেন। এরপর আমি মার সাথে আর খারাপ ব্যাবহার করিনি। যথাসম্ভব সেবা করার চেস্টা করি।


আমি যাদের সাথে দুর্ব্যাবহার করেছি সাধ্যমত ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি। আল্লাহর কাছেও ক্ষমা চেয়েছি।
আমি দুই দুটা বিড়াল এর বাচ্চাও মেরে ফেলেছি। তখন ও সজ্ঞানে ছিলাম না। একবার একটা বিড়ালের বাচ্চা নিয়ে এসেছিলাম পালার জন্য। এক পর্যায়ে বিড়াল টা সম্ভবত ভগ পেয়ে আমাকে কামড় দেয়। যদিও ভয় পাওয়ার মত কিছু করিনি আমি।আমার তখন রাগ উঠে যায়। আর আমি কয়েকটা পাড়া দিই। কিন্তু বিড়াল মরে যাক এটা উদ্দেশ্য ছিল না। আর মারা যাবে এটাও আমি বুঝিনাই। কিন্তু বিড়াল টা মারা গেল।


আবার একটা বিড়াল এর মুখে আংগুল ঢুকিয়ে দিয়ে মুখের ভিতর আংগুল নাড়াচ্ছিলাম। খেলার ছলেই করছিলাম। কিন্তু এই বিড়াল টাও মারা যায়। হত্যা উদ্দেশ্য ছিল না।
আবার একটা বিড়াল কে বেধে রেখেছিলাম। সেইফ জায়গাতেই রেখেছিলাম। কিন্তু বাইরে থেকে কিভাবে যেন কুকুর এসে সেই বিড়াল টাকে মেরে ফেলে।
বিড়ালের এই ঘটনাগুলোর সময় ও আমি সজ্ঞানে থাকতাম না বলা যায়। কেউ উত্তেজিত করত এবিং জ্বীনের সমস্যা ছিল।


বর্তমানে আমার বয়স ৩১ বছর। কোনমতে ১২ হাজার টাকা বেতনের একটা চাকরি করি। সারাদিন টেনশন আর বুক ধিড়ফড় করে। আতংকে থাকি। বিবাহিত আমি। বউ বাচ্চা নেয়ার কথা বলছে কিন্তু সাহস পাচ্ছিনা। আব্বু ব্যাংকে চাকরি করত। রিটায়ারমেন্টের টাকা থেকে সঞ্চয়পত্র আর ২ রুম ভাড়া আর আমার ইনকাম দিয়ে কোনমতে চলি। সারাক্ষণ মৃত্যু ভয়,  জাহান্নামের ভয়ে তটস্থ থাকি। খালি মনে হয় কেউ আমার মাথা হাতুড়ি দিয়ে ভেঙ্গে দিচ্ছে। আমি বাসা থেকে একদম ই বের হতে পারিনা। বাইরে মিশতে পারিনা। দুশ্চিন্তা আর আতংকে জীবনটা শেষ। বউ ও ছেড়ে যাবার কথা বলে। মারাত্মক মুসিবতে আছি।


বুঝতে পারছিনা এগুলো আমার কর্মফল কিনা।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে:
১। আমি যে এত অপরাধ করেছি, এরকম অপরাধ আল্লাহ ক্ষমা করেন কিনা?
২। কুরান হাদিসে কি এমন কোন প্রমাণ বা ঘটনা আছে যেখানে আমার থেকেও বড় অপরাধীকে আল্লাহ নি:শর্ত ক্ষমা করেছেন কোনরূপ শাস্তি না দিয়েই?

৩। আমি তো সজ্ঞানে অপরাধ করতাম না। যেহেতু আমার জ্বীনের সমস্যা আছে তাই আমার অপরাধ বিচারের ক্ষেত্রে জ্বীন কেও বিবেচনায় আনা হিবে কিনা?

৪। আমার মা যেহেতু মুখে বলেছেন আমাকে ক্ষমা করেছেন আর আল্লাহ যেন আমাকে ক্ষমা করেন, এক্ষেত্রে আমি আমার মার সাথে খারাপ ব্যাবহারের কারণে আল্লাহর কাছে ক্ষমা পাব কিনা।
৫। বিড়াল এর ঘটনায় আমি কিভাবে আল্লাহর কাছে শাস্তি মাফ করিয়ে ক্ষমা পেতে পারি।


৬। সর্বোপরি, আমার অবস্থা পরিবর্তন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি আর আল্লাহ আমাকে শাস্তি থেকে রেহাই দিবেন কিভাবে এটা করতে পারি?

1 Answer

0 votes
by (705,360 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু-সাঈদ খুদরী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,তিনি বলেন,
ﻭﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪ ﺍﻟﺨﺪﺭﻱ - ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ - ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ - ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - : " ﻛﺎﻥ ﻓﻲ ﺑﻨﻲ ﺇﺳﺮﺍﺋﻴﻞ ﺭﺟﻞ ﻗﺘﻞ ﺗﺴﻌﺔ ﻭﺗﺴﻌﻴﻦ ﺇﻧﺴﺎﻧﺎ ، ﺛﻢ ﺧﺮﺝ ﻳﺴﺄﻝ ، ﻓﺄﺗﻰ ﺭﺍﻫﺒﺎ ، ﻓﺴﺄﻟﻪ ، ﻓﻘﺎﻝ : ﺃﻟﻪ ﺗﻮﺑﺔ ؟ ﻗﺎﻝ : ﻻ ; ﻓﻘﺘﻠﻪ ، ﻭﺟﻌﻞ ﻳﺴﺄﻝ ، ﻓﻘﺎﻝ ﻟﻪ ﺭﺟﻞ : ﺍﺋﺖ ﻗﺮﻳﺔ ﻛﺬﺍ ﻭﻛﺬﺍ ، ﻓﺄﺩﺭﻛﻪ ﺍﻟﻤﻮﺕ ﻓﻨﺎﺀ ﺑﺼﺪﺭﻩ ﻧﺤﻮﻫﺎ ، ﻓﺎﺧﺘﺼﻤﺖ ﻓﻴﻪ ﻣﻼﺋﻜﺔ ﺍﻟﺮﺣﻤﺔ ﻭﻣﻼﺋﻜﺔ ﺍﻟﻌﺬﺍﺏ ، ﻓﺄﻭﺣﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﺇﻟﻰ ﻫﺬﻩ ﺃﻥ ﺗﻘﺮﺑﻲ ، ﻭﺇﻟﻰ ﻫﺬﻩ ﺃﻥ ﺗﺒﺎﻋﺪﻱ ، ﻓﻘﺎﻝ : ﻗﻴﺴﻮﺍ ﻣﺎ ﺑﻴﻨﻬﻤﺎ ﻓﻮﺟﺪ ﺇﻟﻰ ﻫﺬﻩ ﺃﻗﺮﺏ ﺑﺸﺒﺮ ﻓﻐﻔﺮ ﻟﻪ " ﻣﺘﻔﻖ ﻋﻠﻴﻪ -
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, বনি ইসরাঈল গোত্রে একজন ব্যক্তি ছিল,যে নিরানব্বই জনকে হত্যা করেছিল।অতঃপর যখন হেদায়তের নিকটবর্তী হল,তখন সে একজন পাদ্রীর নিকট এসে জিজ্ঞেস করল তার তাওবাহ কি কবুল হবে?ঐ পাদ্রী উত্তরে বলল,না, তোমার তাওবাহ কবুল হবে না। তখন সে ঐ পাদ্রীকেও হত্যা করে ফেলল।অতঃপর সে তার তাওবাহর কবুল হওয়া না হওয়া সম্পর্কে লোকদেরকে জিজ্ঞেস করতে লাগল।তখন এক ব্যক্তি তাকে বলল, তুমি অমুক গ্রামে যাও সেখানে হয়তো কোনো সমাধান পেতে পারেন। সে ঐ গ্রামের দিকেই যেতে লাগল,তার বুক সেই গ্রামের দিকে থাকাবস্থায় রাস্তায় মধ্যখানে সে মূত্যুমূখে পতিত হল।সে সময় জান কবজের ব্যাপারে রহমতের ফিরিস্তা এবং আযাবের ফিরিস্তিাদের মধ্য ঝগড়া বেধে গেলো।তখনই আল্লাহ তা'আলা তার উদ্দিষ্ট ঐ গ্রামকে নিকটবর্তী হওয়ার নির্দেশ প্রদাণ করলেন।এবং ছেড়ে আসা গ্রামকে দূরবর্তী হওয়ার নির্দেশ প্রদাণ করলেন। তারপর আল্লাহ তা'আলা ফিরিস্তাদেরকে জায়গা পরিমাপন করার নির্দেশ দিলেন।জায়গা পরিমাপণ করে দেখা গেল যে, উদ্দিষ্ট গ্রাম ছেড়ে আসা গ্রাম থেকে অর্ধহাত কম।অতঃপর সেই ব্যক্তিকে মাফ করে দেয়া হল।(এবং রহমতের ফিরিস্তা তার জান কবয করল)
(মিশকাত-২৩২৭)

দেখুন, আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়ে গেলে বান্দার হক পর্যন্ত মাফ করে দিতে পারেন।কেননা যাকে হত্যা করা হয়েছে তার বেঁচে থাকার হক্বকে ধংস করা হয়েছিলো।সুতরাং এটাও একটা বান্দার হক।
কিন্তু এর পরও আল্লাহ তা'আলা মাফ করে দিয়েছেন।এবং হক নষ্ট হয়ে যাওয়া উক্ত বান্দাদিগকে এমন পুরুস্কার দান করবেন যে, তারা আর তাদের হক সম্পর্কে কোনো প্রকার অভিযোগ দায়ের করবে না। বান্দার হক সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/641

তাওবাহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1048

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) প্রশ্নের বিবরণমতে এরকম অপরাধকেও আল্লাহ ক্ষমা করে দিতে পারেন।
(২) ইতিপূর্বে হাদীস থেকে আমরা বর্ণনা করেছি।
(৩) যেহেতু আপনি সজ্ঞানে অপরাধ করতেন না।তাই এতেকরে আপনার জন্য ক্ষমার বিষয়টি অত্যন্ত সহজ।
(৪) যেহেতু আপনার মা মুখে বলেছেন যে, আপনাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন, এখন আল্লাহর কাছে চান, আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন।
(৫) যেহেতু বিড়ালকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল না, তাই আপনার কোনো গোনাহ হবে না। তারপরও আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন।
(৬) সর্বোপরি, আপনি ফরয সহ ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু-সাঈদ খুদরী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,তিনি বলেন,
ﻭﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪ ﺍﻟﺨﺪﺭﻱ - ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ - ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ - ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - : " ﻛﺎﻥ ﻓﻲ ﺑﻨﻲ ﺇﺳﺮﺍﺋﻴﻞ ﺭﺟﻞ ﻗﺘﻞ ﺗﺴﻌﺔ ﻭﺗﺴﻌﻴﻦ ﺇﻧﺴﺎﻧﺎ ، ﺛﻢ ﺧﺮﺝ ﻳﺴﺄﻝ ، ﻓﺄﺗﻰ ﺭﺍﻫﺒﺎ ، ﻓﺴﺄﻟﻪ ، ﻓﻘﺎﻝ : ﺃﻟﻪ ﺗﻮﺑﺔ ؟ ﻗﺎﻝ : ﻻ ; ﻓﻘﺘﻠﻪ ، ﻭﺟﻌﻞ ﻳﺴﺄﻝ ، ﻓﻘﺎﻝ ﻟﻪ ﺭﺟﻞ : ﺍﺋﺖ ﻗﺮﻳﺔ ﻛﺬﺍ ﻭﻛﺬﺍ ، ﻓﺄﺩﺭﻛﻪ ﺍﻟﻤﻮﺕ ﻓﻨﺎﺀ ﺑﺼﺪﺭﻩ ﻧﺤﻮﻫﺎ ، ﻓﺎﺧﺘﺼﻤﺖ ﻓﻴﻪ ﻣﻼﺋﻜﺔ ﺍﻟﺮﺣﻤﺔ ﻭﻣﻼﺋﻜﺔ ﺍﻟﻌﺬﺍﺏ ، ﻓﺄﻭﺣﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﺇﻟﻰ ﻫﺬﻩ ﺃﻥ ﺗﻘﺮﺑﻲ ، ﻭﺇﻟﻰ ﻫﺬﻩ ﺃﻥ ﺗﺒﺎﻋﺪﻱ ، ﻓﻘﺎﻝ : ﻗﻴﺴﻮﺍ ﻣﺎ ﺑﻴﻨﻬﻤﺎ ﻓﻮﺟﺪ ﺇﻟﻰ ﻫﺬﻩ ﺃﻗﺮﺏ ﺑﺸﺒﺮ ﻓﻐﻔﺮ ﻟﻪ " ﻣﺘﻔﻖ ﻋﻠﻴﻪ -
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, বনি ইসরাঈল গোত্রে একজন ব্যক্তি ছিল,যে নিরানব্বই জনকে হত্যা করেছিল।অতঃপর যখন হেদায়তের নিকটবর্তী হল,তখন সে একজন পাদ্রীর নিকট এসে জিজ্ঞেস করল তার তাওবাহ কি কবুল হবে?ঐ পাদ্রী উত্তরে বলল,না, তোমার তাওবাহ কবুল হবে না। তখন সে ঐ পাদ্রীকেও হত্যা করে ফেলল।অতঃপর সে তার তাওবাহর কবুল হওয়া না হওয়া সম্পর্কে লোকদেরকে জিজ্ঞেস করতে লাগল।তখন এক ব্যক্তি তাকে বলল, তুমি অমুক গ্রামে যাও সেখানে হয়তো কোনো সমাধান পেতে পারেন। সে ঐ গ্রামের দিকেই যেতে লাগল,তার বুক সেই গ্রামের দিকে থাকাবস্থায় রাস্তায় মধ্যখানে সে মূত্যুমূখে পতিত হল।সে সময় জান কবজের ব্যাপারে রহমতের ফিরিস্তা এবং আযাবের ফিরিস্তিাদের মধ্য ঝগড়া বেধে গেলো।তখনই আল্লাহ তা'আলা তার উদ্দিষ্ট ঐ গ্রামকে নিকটবর্তী হওয়ার নির্দেশ প্রদাণ করলেন।এবং ছেড়ে আসা গ্রামকে দূরবর্তী হওয়ার নির্দেশ প্রদাণ করলেন। তারপর আল্লাহ তা'আলা ফিরিস্তাদেরকে জায়গা পরিমাপন করার নির্দেশ দিলেন।জায়গা পরিমাপণ করে দেখা গেল যে, উদ্দিষ্ট গ্রাম ছেড়ে আসা গ্রাম থেকে অর্ধহাত কম।অতঃপর সেই ব্যক্তিকে মাফ করে দেয়া হল।(এবং রহমতের ফিরিস্তা তার জান কবয করল)
(মিশকাত-২৩২৭)

দেখুন, আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়ে গেলে বান্দার হক পর্যন্ত মাফ করে দিতে পারেন।কেননা যাকে হত্যা করা হয়েছে তার বেঁচে থাকার হক্বকে ধংস করা হয়েছিলো।সুতরাং এটাও একটা বান্দার হক।
কিন্তু এর পরও আল্লাহ তা'আলা মাফ করে দিয়েছেন।এবং হক নষ্ট হয়ে যাওয়া উক্ত বান্দাদিগকে এমন পুরুস্কার দান করবেন যে, তারা আর তাদের হক সম্পর্কে কোনো প্রকার অভিযোগ দায়ের করবে না। বান্দার হক সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/641

তাওবাহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1048

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) প্রশ্নের বিবরণমতে এরকম অপরাধকেও আল্লাহ ক্ষমা করে দিতে পারেন।
(২) ইতিপূর্বে হাদীস থেকে আমরা বর্ণনা করেছি।
(৩) যেহেতু আপনি সজ্ঞানে অপরাধ করতেন না।তাই এতেকরে আপনার জন্য ক্ষমার বিষয়টি অত্যন্ত সহজ।
(৪) যেহেতু আপনার মা মুখে বলেছেন যে, আপনাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন, এখন আল্লাহর কাছে চান, আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন।
(৫) যেহেতু বিড়ালকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল না, তাই আপনার কোনো গোনাহ হবে না। তারপরও আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন।
(৬) সর্বোপরি, আপনি ফরয সহ সকল প্রকার নফল ইবাদত করবেন। তাবলীগে ৪মাস সময় লাগাবেন।আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে ক্ষমা চাইবেন।


 প্রকার নফল ইবাদত করবেন। তাবলীগে ৪মাস সময় লাগাবেন।আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে ক্ষমা চাইবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...