★প্রাণী লালন-পালন কয়েকটি শর্তে ভিত্তিতে জায়েয।
(১)প্রাণীকে নিয়মিত খাবার দাবার প্রদান করতে হবে।
হযরত ইবনে উমর থেকে বর্ণিত,
عن ابن عمر رضي الله عنهما قال : قال النبي صلى الله عليه وسلم : ( دخلتِ امرأةٌ النارَ في هِرَّة حبَسَتْها، لا هي أطعَمَتْها ولا هي ترَكَتْها تأكُلُ مِن خَشَاش الأرض حتى ماتَتْ )
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক নারী একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। সে তাকে খাবারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমীনের পোকা মাকড় খেতে পারত। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রেও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।(সহীহ বোখারী-৩৩১৮,সহীহ মুসলিম-২২৪২)
(২)প্রাণীকে কোনো প্রকার কষ্ট দেয়া যাবে না।
عن جابر بن عبد الله رضي الله عنهما قال : ( نَهَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَن الضَّرْبِ في الوَجْهِ ، وَعَن الوَسْمِ في الوَجْهِ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ মুখে প্রহার করা এবং মুখে ট্যাটু অঙ্কন করা যাবে না।(সহীহ মুসলিম-২১১৬)
বিস্তারিত জানুনঃ
★পশু-পাখির প্রতি নম্রতা প্রদর্শন ইবাদতের পর্যায়ভুক্ত। পশু-পাখিকে কষ্ট দেয়া গুনাহের কাজ।
,
রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন : “আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক বিষয়ে তোমাদের ওপর ‘ইহসান’ অত্যাবশ্যক করেছেন। অতএব তোমরা যখন হত্যা করবে, দয়ার্দ্রতার সাথে হত্যা করবে; আর যখন যবেহ করবে তখন দয়ার সাথে যবেহ করবে। তোমাদের সবাই যেন ছুরি ধারালো করে নেয় এবং তার যবেহকৃত জন্তুকে কষ্টে না ফেলে” (সহিহ মুসলিম : ১৯৫৫)।
আরো জানুনঃ
★অন্যের সম্পদে তার সন্তুষ্টি চিত্তে অনুমতি ব্যাতিত হস্তক্ষেপ করা জায়েজ নয়।
وَعَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى
আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
(সহীহ : আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২,মিশকাতুল মাসাবিহ ২৯৪৬।)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে পাশের বাড়ির বিড়ালকে আপনি কোনো শাস্তি দিতে পারবেননা,মালিকের অনুমতি ব্যাতিত তাকে অন্য কোথাও রেখে আসতেও পারবেননা।
যেহেতু প্রাণি পোষার যে কয়টি শর্ত রয়েছে,তার মধ্যে অন্যতম হলো ""প্রাণীকে কোনো প্রকার কষ্ট দেয়া যাবে না""
সুতরাং আপনার জন্য উচিত যে ঐ বিড়ালের মালিকের অনুমতি নিয়ে তাকে অন্য কোথাও রেখে আসা,বা অন্য কোনো সমঝোতায় আসা।
যদি কোনো কিছুতেই সমাধান না হয়,তাহলে আপনার বিড়াল যেহেতু আপনার বাসায় থাকার কারনেই এসব যন্ত্রণার মুখোমুখি হচ্ছে,তাই বিড়াল পোষার শর্ত পালন না হওয়ার কারনে আপনার বিড়ালকেই অন্যত্রে রেখে আসা উচিত।