আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
55 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ।

আমি এক জায়গায় দেখেছি যে কুরআন শিখার শুরুতে ধরেন মাদ্দ নিয়ে শিখলাম। তো ডিরেক্ট কুরআন শরীফ খুলে সেখান থেকে শুধু মাদ্দের লাইন গুলো বা শব্দগুলো প্র‍্যাক্টিস করতে। এরপর আরেকটা টপিক শিখলে, আগের টার সাথে নতুন টপিক মিলিয়ে আবার প্র‍্যাক্টিস করতে। এভাবে করে ধীরে ধীরে পড়লে সওয়াব বেশি + কুরআনও পড়া হবে।

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে এভাবে শুধু যদি একটা বিষয়ের উপর ফোকাস করে পড়ি, তাহলে কি অর্থ বিকৃতির সম্ভাবনা থাকবে না? আমার গুনাহ হবে না? আমি কী এভাবে পড়তে পারবো?
আর কায়দা পড়তে হলেও কি অযু করে বসতে হবে? মাসিক চলাকালীন সময়ে কী পড়া যাবে?

1 Answer

0 votes
by (83,970 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/69837/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

দ্বীনের পথে চলতে যতটুকু ইলমের প্রয়োজন,ততটুকু পরিমাণ ইলম অর্জন করা ফরজ।

ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেন,

مِنْ فَرَائِضِ الْإِسْلَامِ تَعَلُّمُهُ مَا يَحْتَاجُ إلَيْهِ الْعَبْدُ فِي إقَامَةِ دِينِهِ وَإِخْلَاصِ عَمَلِهِ لِلَّهِ تَعَالَى وَمُعَاشَرَةِ عِبَادِهِ.

প্রত্যেক মুসলমানের উপর ইসলামের ফরয বিধানসমূহ থেকে একটি ফরয  হচ্ছে, দ্বীন প্রতিষ্টা তথা এখলাছের সাথে দ্বীনের উপর আমল করতে প্রয়োজনীয় সব জ্ঞানার্জন করা এবং মানুষের সাথে সদাচরণের জ্ঞান অর্জন করা (ফরয)।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1893

.

যেকোনো ভাবেই হোক ফরয সমপরিমাণ ইলম অর্জন করতে হবে। সর্বোত্তম মাধ্যম হল, সরাসরি উস্তাদের নিকট উপস্থিত হয়ে কুরআন শিক্ষা গ্রহণ করা। যদি সরাসরি উস্তাদের নিকট উপস্থিত হওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে তখন ইউটিউবের মাধ্যমে কুরআন শিখার চেষ্টা করতে হবে। ইউটিউবে ভিডিও দেখতে গিয়ে যদি কখনো কোনো হারাম এ্যড চলে আসে, তাহলে সাথে সাথে চোখকে ফিরিয়ে নিতে হবে এবং অতিদ্রুত স্কিপ করতে হবে। এই এ্যাড আসার কারণে কুরআন শিখাকে পরিত্যাগ করা যাবে না। কেননা জরুরত অনেক জিনিষে শেষ পর্যন্ত রুখসত নিয়ে আসে।

 ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ

(প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে বৈধ করে দেয়)

এটা একাটা নীতিসিদ্ধ মৌলিক ফিকহী ক্বায়দা/ধারা যা কোরআন এবং হাদিসের থেকে চয়ন করা হয়েছে।

সুতরাং আপনার বর্ণিত কোর্সের দ্বারা কুরআন শিখতে বাধা নেই।

.

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

.

জ্বী হ্যাঁ, এভাবেও পড়া যাবে। তবে যার কাছে পড়বেন তার কাছ থেকে আরো ভালো করে শিখে নিবেন যে, কিভাবে পড়লে অর্থ বিকৃত হবে না। আবার প্যাক্টিসও করা যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...