ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আসওয়াদ (রহ.) হতে বর্ণিত যে,
عَبْدُ اللهِ بْنُ رَجَاءٍ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ عَنِ الْحَكَمِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ الأَسْوَدِ أَنَّ عَائِشَةَ أَرَادَتْ أَنْ تَشْتَرِيَ بَرِيرَةَ فَأَبٰى مَوَالِيهَا إِلاَّ أَنْ يَشْتَرِطُوا الْوَلاَءَ فَذَكَرَتْ ذ‘لِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ اشْتَرِيهَا وَأَعْتِقِيهَا فَإِنَّمَا الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَقَ وَأُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِلَحْمٍ فَقِيلَ إِنَّ هٰذَا مَا تُصُدِّقَ بِه„ عَلٰى بَرِيرَةَ فَقَالَ هُوَ لَهَا صَدَقَةٌ وَلَنَا هَدِيَّةٌ
حَدَّثَنَا آدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ وَزَادَ فَخُيِّرَتْ مِنْ زَوْجِهَا.
’আয়িশাহ (রাঃ) বারীরাকে কিনতে চাইলেন। কিন্তু তার মালিকগণ ওলী’র অভিভাবকত্বের অধিকার) শর্ত ব্যতীত বিক্রয় করতে অসম্মতি জানাল। তিনি বিষয়টি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে জানালেন। তিনি বললেনঃ তুমি তাকে কিনে নাও এবং মুক্ত করে দাও। কেননা, ওলী’র অধিকারী হল সে, যে আযাদ করে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট কিছু গোশ্ত আনা হল এবং বলা হল এ মাংস বারীরাহকে সাদাকা করা হয়েছে। তিনি বললেনঃ সেটা তার জন্য সাদাকা আর আমাদের জন্য হাদিয়া। [৪৫৬] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৯৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৯১)
আদম বর্ণনা করেন, শু’বাহ আমাদের কাছে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাতে আরও বলা হয়েছে, স্বামীর সঙ্গে থাকা বা না থাকার ব্যাপারে তাকে এখতিয়ার দেয়া হয়েছিল।(সহীহ বুখারী-৫২৮৪)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কেউ আপনাকে কিছু হাদিয়া দেওয়ার পর আপনি সেই বস্তুটির মালিক হয়ে যাবেন। অতঃপর সেই বস্তুটি আপনি অন্য যে কাউকে হাদিয়া দিতে পারবেন বা সদকায়ে জারিয়া করতে পারবেন। এই হাদিয়া প্রদান বা সদকাহ করার সওয়াব আপনি পাবেন। যিনি আপনাকে হাদিয়া দিচ্ছেন, তিনি তো আপনাকে হাদিয়া প্রদানের সওয়াব পাবেন, আপনি যাকে হাদিয়া দিবেন বা সদকাহ করবেন এর সওয়াব আপনি পাবেন। উনাকেও আল্লাহ দিতে পারেন তবে আপনার সওয়াব থেকে কমতি হবে না।বরং আপনি পরিপূর্ণ সওয়াবটুকুই পাবেন।