আমার চেনা একজন হুজুর আছে, ওনার কাছ থেকে অনেকবার তদবির করেছি এবং এখনও মাঝেমধ্যে তার সাথে এসব বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে কিছুদিন আগেও।
বিষয়টি এমন ধরেন, "ক" ব্যক্তির নাম, ক ব্যক্তির মা-বাবার নাম, ঠিকানা এগুলো হুজুরকে জানালে তিনি আমাদের হাজিরা মিলিয়ে দেয় ২০০/- দিয়ে, এবং জানায়েছিল যে ক ব্যক্তির আসর এর দোষ আছে, মুখদোষ/বদনজর। তারপর তদবির করতে বললে দোয়া এবং তেল, চাল এর দাড়া কিছু জিনিস খেতে বা রাখতে বলেন। যেমন এই হুজুর এরই দেওয়া ছোট ৪টি বোতল এ চাল ভরে আমাদের ৪ কোনায় লাগানো। এরকম কয়েকবার ওনার থেকে পরিবারের কয়েকজন এর কয়েকবার তদবির বা এটাকে যাই সংায়িত করা হয়, করা হয়েছে এবং বলতে গেলে লাভজনক ফলাফল পেয়েছি। এই হুজুর আবার একটি মাদ্রাসার শিক্ষকও।
আমি এখন জানতে চাচ্ছি, এই যে ঘরের মধ্যে বোতল দিয়ে ঘর বন করা, বালিশের তুলার ভেতরে কাগজে দোয়া লিখে রাখা এবং হুজুরের হাজিরা মিলানো, দোষ আছে তা বের করা। এগুলো কি শরিয়তবিধি? এগুলো কি আসলেই কার্যকর?
নাকি এগুলোর মধ্যে দিয়ে গুনাগের ভাগিদার হয়েছি, এগুলো কি নাজায়েজ? হাজিরা মিলিয়ে দোষ থাকলে তদবির করা...
এভাবে আমাদের বিশাস এর দিকটি এমন ছিলো যে, আল্লাহ এর কালাম দিয়েই তদবির করেছে, আরবি দোয়া এর মাধ্যমে, আর যেগুল জাফরান এ লিখে দিয়েছিল পানিতে ধুয়ে খেয়েছি সেগুলো তো জায়েজ ছিলো। এমন কোনো বিশ্বাস ছিল না যে সেই কাগজ বা হুজুরের মধে শক্তি ছিল, হয়তো জিন দারা করা হয়েছে কিন্তু এখন মনে হচ্ছে বিষয়টি শিউর হতে হবে। এরকম করা জায়েজ কিনা সামনেও কি করা যাবে কিনা।