আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
12 views
ago in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
আমার চেনা একজন হুজুর আছে, ওনার কাছ থেকে অনেকবার তদবির করেছি এবং এখনও মাঝেমধ্যে তার সাথে এসব বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে কিছুদিন আগেও।

বিষয়টি এমন ধরেন, "ক" ব্যক্তির নাম, ক ব্যক্তির মা-বাবার নাম, ঠিকানা এগুলো হুজুরকে জানালে তিনি আমাদের হাজিরা মিলিয়ে দেয় ২০০/- দিয়ে, এবং জানায়েছিল যে ক ব্যক্তির আসর এর দোষ আছে, মুখদোষ/বদনজর। তারপর তদবির করতে বললে দোয়া এবং তেল, চাল এর দাড়া কিছু জিনিস খেতে বা রাখতে বলেন। যেমন এই হুজুর এরই দেওয়া ছোট ৪টি বোতল এ চাল ভরে আমাদের ৪ কোনায় লাগানো। এরকম কয়েকবার ওনার থেকে পরিবারের কয়েকজন এর কয়েকবার তদবির বা এটাকে যাই সংায়িত করা হয়, করা হয়েছে এবং বলতে গেলে লাভজনক ফলাফল পেয়েছি। এই হুজুর আবার একটি মাদ্রাসার শিক্ষকও।


আমি এখন জানতে চাচ্ছি, এই যে ঘরের মধ্যে বোতল দিয়ে ঘর বন করা, বালিশের তুলার ভেতরে কাগজে দোয়া লিখে রাখা এবং হুজুরের হাজিরা মিলানো, দোষ আছে তা বের করা। এগুলো কি শরিয়তবিধি? এগুলো কি আসলেই কার্যকর?

নাকি এগুলোর মধ্যে দিয়ে গুনাগের ভাগিদার হয়েছি, এগুলো কি নাজায়েজ? হাজিরা মিলিয়ে দোষ থাকলে তদবির করা...

এভাবে আমাদের বিশাস এর দিকটি এমন ছিলো যে, আল্লাহ এর কালাম দিয়েই তদবির করেছে, আরবি দোয়া এর মাধ্যমে, আর যেগুল জাফরান এ লিখে দিয়েছিল পানিতে ধুয়ে খেয়েছি সেগুলো তো জায়েজ ছিলো। এমন কোনো বিশ্বাস ছিল না যে সেই কাগজ বা হুজুরের মধে শক্তি ছিল, হয়তো জিন দারা করা হয়েছে কিন্তু এখন মনে হচ্ছে বিষয়টি শিউর হতে হবে। এরকম করা জায়েজ কিনা সামনেও কি করা যাবে কিনা।

1 Answer

0 votes
ago by (698,160 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আমর ইবনে শুয়াইব তার সনদে বর্ণনা করেন,
ﻋﻦ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺷُﻌَﻴْﺐٍ ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ، ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ، ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ، ﻗَﺎﻝَ : ( ﺇِﺫَﺍ ﻓَﺰِﻉَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﻮْﻡِ ﻓَﻠْﻴَﻘُﻞْ : ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺎﺕِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺎﺕِ ﻣِﻦْ ﻏَﻀَﺒِﻪِ ﻭَﻋِﻘَﺎﺑِﻪِ ﻭَﺷَﺮِّ ﻋِﺒَﺎﺩِﻩِ ، ﻭَﻣِﻦْ ﻫَﻤَﺰَﺍﺕِ ﺍﻟﺸَّﻴَﺎﻃِﻴﻦِ ﻭَﺃَﻥْ ﻳَﺤْﻀُﺮُﻭﻥِ ﻓَﺈِﻧَّﻬَﺎ ﻟَﻦْ ﺗَﻀُﺮَّﻩُ ) . . ﻓَﻜَﺎﻥَ ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦُ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ، ﻳُﻠَﻘِّﻨُﻬَﺎ ﻣَﻦْ ﺑَﻠَﻎَ ﻣِﻦْ ﻭَﻟَﺪِﻩِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳَﺒْﻠُﻎْ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﻛَﺘَﺒَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﺻَﻚٍّ ﺛُﻢَّ ﻋَﻠَّﻘَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﻋُﻨُﻘِﻪِ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, যখন তোমাদের মধ্যে কেউ ঘুমে ভয় পায়, তখন সে যেন পড়ে-  'আউযু বিকালিমা-তিল্লাহিত-তাম্মাতি মিন গাদাবিহি ওয়া ই'ক্বাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ-শায়াতিনি,ওয়া আইয়াহদুরুন'  এই দু'আ পড়লে শয়তান কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি, তার সাবালক সন্তানাদিকে তা শিক্ষা দিতেন।এবং নাবালক সন্তাদির গলায় উক্ত দু'আ তাবিজ আকারে লিখে ঝুলিয়ে দিতেন।(মিশকাতুল মাসাবিহ-২৪৭৭) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/226


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই। এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে। প্রশ্নে বর্ণিত পদ্ধতির আলোকে তাবিজ ব্যবহার করার সুযোগ বা রুখসত থাকবে। কেননা এতে হারাম কোনো পদ্ধতিকে ব্যবহার করা হচ্ছে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...