আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (61 points)
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। ফটো এডিটে মুখ বসিয়ে দেওয়া যায়।কেউ হিন্দুদের মত শাড়ি পরে লাল সাদা কাশবনে দাড়িয়ে আছে এমন ছবিতে নিজের মুখ লাগিয়ে যদি ফটো এডিট করে সুন্দর লাগে কিনা দেখার জন্য অন্য কোন উদ্দেশ্য না শুধু কেমন লাগে দেখার জন্য আর যখন করেছিল তখন মাথায় ছিল না এত কিছু মানে এসবের কারনে ঈমানে সমস্যা হবে কিনা একদম জানা ছিল না। হিন্দু মনে করা না এমনিতে করলে  আর এসবের কারণে ঈমানে কোন সমস্যা হবে কিনা না জেনে করে তাহলে কি ঈমান চলে যাবে?
by (61 points)
হিন্দুদের মত কোন মুকুট সিদুর এসব না শুধু লাল সাদা শাড়ি আর কাশবনে দাড়িয়ে থাকা এমন ছবিতে এডিট করা তাও অন্য কোন উদ্দেশ্য না।নিজের ছবি নিজে দেখেছে, বোনরা দেখেছে আর স্বামী। 

1 Answer

0 votes
by (80,850 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/87113/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَقُولُ : " كُلُّ مُصَوِّرٍ فِي النَّارِ ، يُجْعَلُ لَهُ بِكُلِّ صُورَةٍ صَوَّرَهَا نَفْسًا ، فَيُعَذِّبُهُ فِي جَهَنَّمَ " . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ : فَإِنْ كُنْتَ لَا بُدَّ فَاعِلًا فَاصْنَعِ الشَّجَرَ وَمَا لَا رُوحَ فِيهِ . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, প্রত্যেক ছবি প্রস্তুতকারী জাহান্নামী সে যতগুলো ছবি তৈরি করেছে (কিয়ামতের দিন) সেগুলোর মধ্যে প্রাণ দান করা হবে এবং জাহান্নামের শাস্তি দেয়া হবে। ইবনু ‘আব্বাস  বলেন, যদি তোমাকে একান্তই ছবি তৈরি করতে হয়, তাহলে গাছ-গাছড়া এবং এমন জিনিসের ছবি তৈরি কর যার মধ্যে প্রাণ নেই। সহীহ : বুখারী ২২২৫, মুসলিম ৫৬৬২, আহমাদ ২৮১০, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ৩০৫৪।

,

قال حدثنا الاعمش عن مسلم قال كنا مع مسروق فى دار يسار بن نمير فراى فى صفته تماثيل فقال سمعت عبد الله قال سمعت النبى ﷺ يقول ان اشد الناس عذابا عند الله المصورون

আ’মাশ তিনি  মুসলিম হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি মাসরুকের  সঙ্গে ইয়াসার ইবনে নুমাইরের ঘরে ছিলাম, তিন ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলেন, অতঃপর বললেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ্  রাযি.-এর নিকট শুনেছি, রাসূলুল্লাহ বলেছেন, ‘নিশ্চয় মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তাআলা কঠিন শাস্তি দেবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে।’ (বুখারী ২/৮৮০)

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

,

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঈমান চলে যাবে না বা ঈমানের কোনো ক্ষতি হবে না ইনশাআল্লাহ।

তবে বর্তমানে যত্রতত্র ডিজিটাল ছবির যেই মহামারি শুরু হয়েছে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে, খাহেশ পূরনার্থে, কিংবা যেখানে ছবি না হলেও চলে এমন ক্ষেত্রেও ছবির অযাচিত ব্যবহার কিছুতেই ঠিক হতে পারে না। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...