আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
77 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
edited by

ওস্তাদ.

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। উপর্যুক্ত বিষয় এবং এই ওয়েব সাইটের অন্যান্য ফাতওয়ার আলোকে আমার কিছু প্রশ্ন নিম্নরূপ:

১। https://ifatwa.info/122622/ 

২। https://www.ifatwa.info/28210/ 

৩। https://ifatwa.info/11744/  

০১। উক্ত লিংক গুলোর বর্ণনা ও মাসআলা অনুযায়ী যদি কেউ বিবাহের পূর্বে তালাক কfর্যকর হওয়ার শর্ত কোনো মহিলার প্রতি বিবাহের নিসবত করা অথবা মুয়াল্লাক তালাক দেয় তাহলে তা কার্যকর হবে এবং তালাক পতিত হবে। একই ভাবে তালাক না হওয়ার শর্ত দেওয়া কি বৈধ্য নয়?

০২। আমাদের দেশে এমন কিছু কথা বা শব্দ প্রচলিত যা মানুষ হর-হামেশো বলে ফেলে, হোক ইচ্ছাকৃত অথবা রাগের বসে  কিংবা স্ত্রীকে ভয় দেখাতে কিংবা পরিস্থিতি সামাল দিতে। যেমন:  https://ifatwa.info/124051/  এখানে প্রশ্নকারী উল্লেখ করেছেন যে “ স্বামী ১ বার রাগ করে তার স্ত্রীকে বলেন তোমাকে ছেড়ে দিছি, মুক্তি দিয়ে দিছি, তুমি আজ থেকে স্বাধীন, তুমি অন্যত্র বিয়ে করে ফেলো এসব বলেছে, কিন্তু তালাকের নিয়্যাত ছিলো না। স্বামী স্ত্রীকে ভয় দেখানোর জন্য এবং তার নিজের পরিবারকে শান্ত করার জন্য এইগুলা বলেন।
তারপর তার পরিবার তাকে যতোবার জিজ্ঞেস করেছে সে একই কথা বলে উনাদের শান্ত রেখেছেন, এবং পরিস্থিতির মোকাবেলা করেছেন। কারণ উনার পরিবার আর কোনো শাস্তি চায়না একমাত্র তালাক ছাড়া আর খুব ঝামেলা হচ্ছিলো উনার স্ত্রীকে নিয়ে।
 “

 

০১। আমার প্রথম প্রশ্ন: এখন যদি কোনো স্বামী বিবাহের সময় ভবিষ্যতে তালাক কার্যকর হওয়ার জন্য কাউকে স্বাক্ষী রেখে কিংবা একাকি স্ত্রীকে লিখিত শর্তদেয় যেমন: শর্ত ১। হায়েজ, নেফাস, স্বামীর ওরসজাত ও স্ত্রীর গর্ভের শিশুর বয়স ৩ বছরের কম হলে এবং স্ত্রী গর্ভবতী অবস্থায় কোনো ক্রমেই তালাক কার্যকর হবে না (তালাকের সময়ে গর্ভাবস্থা প্রকাশিত হওয়া আবশ্যক)  শর্ত ২। আমার এবং তার(স্ত্রী) ততক্ষণ পর্যন্ত তালাক কার্যকর হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রী এবং উভয় পক্ষের অভিভাবকদের উপস্থিতি ও সম্মতিতে স্বতঃস্ফুর্তভাবে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে লক্ষ্য করে উচ্চস্বরে কেবল সরাসরি “তালাক” শব্দটি উচ্চারিত না হবে। শর্ত ৩ । স্ত্রী যদি স্বামী ব্যতিত কারো সাথে প্রকাশ্য পরকীয়া বা ব্যাভিচার বা অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় (স্বাক্ষী থাকা আবশ্যক নয়) সেক্ষেত্রে ১ম শর্ত অগ্রহণযোগ্য গণ্য হবে এবং ২য় শর্তে উল্লিখিত স্ত্রীর সম্মতি ছাড়া  অন্যান্য শর্তে স্বামী কর্তৃক “তালাক” শব্দে তালাক দিলে তা এক তালাক হিসেবে গন্য ও কার্যকর হবে। শর্ত ৪। যত তালাকই দেয়া হোক না কেন তা এক তালাক হিসেবেই গণ্য হবে। শর্ত ৫। অভিভাবক হিসেবে আইনানুগ অভিভাবকের অনুপস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি যথেষ্ট্য হবে।  এক্ষেত্রে শর্ত পূরণ না করলে কি তালাক কার্যকর হবে? ইসলাম কি বলে? 

 

০২। আমার ২য় প্রশ্ন: “শরীয়তে বাধা নেই এমন বিষয়ে স্ত্রী যদি স্বামীর আনুগত্য না করে কিংবা শরীয়তের বিধান পরিপন্থি কর্মকান্ড ত্যাগ না করে সেক্ষেত্রে তিন মাসে একরাত্রি যাপন ব্যতিত শাস্তি স্বরূপ স্ত্রীর অন্য কোনো হক আদায়ে স্বামী বাধ্য থাকবে না। (যেমন: স্বামীর হক আদায়ে গড়িমসি করলে, সর্বদা সন্দেহ আর অপবাদ দিলে, অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করলে, স্বামী কর্তৃক তার বাব-মা ভাই-বোন আত্বীয় পরিজনদের সাহায্য সহোযোগিতা ও সহমর্মিতার দরুন স্বামীকে তার আপন মা-বোন নিয়ে বাজে মন্তব্য করলে, স্বামীর গায়ে হাত তোললে, উচ্চাভিলাশী হলে, গুয়ার্তুমি করলে, স্বামী কর্তৃক ন্যায্যতার ভিত্তিতে একাধিক বিবাহ করলে তাকে মামলা দিয়ে হয়রানি করলে, স্বামীর অর্থ আত্মসাত বা তার আমানতের খেয়ানত করলে, গোপনীয়তা প্রকাশ করলে ইত্যাদি।)”   এইরূপ শর্ত কি যায়েয হবে?

 

আমি ভাবছি বিবাহের পূর্বে  এইসকল শর্ত যুক্ত করবো কি না..!  এইজন্যই প্রশ্ন করা।

1 Answer

0 votes
by (705,360 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হারূন আল-আবদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، قَالَ كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَنَا " إِنَّ النَّاسَ لَكُمْ تَبَعٌ وَإِنَّهُمْ سَيَأْتُونَكُمْ مِنْ أَقْطَارِ الأَرْضِ يَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ فَإِذَا جَاءُوكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا "
তিনি বলেন, আমরা আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) -এর কাছে এলেই তিনি বলতেনঃ তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওসিয়ত অনুযায়ী স্বাগতম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলতেনঃ লোকেরা অবশ্যই তোমাদের অনুগামী। অচিরেই পৃথিবীর দিকদিগন্ত থেকে লোকেরা তোমাদের নিকট দ্বীনি ইলম অর্জনের জন্য আসবে। তারা যখন তোমাদের নিকট আসবে,তখন তোমরা তাদেরকে ভালো ও উত্তম উপদেশ দিবে।(সুনানু তিরমিযি-২৪৯,তিরমিযী ২৬৫০-৫১, মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৪৭।)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) তালাক না হওয়ার শর্তে বিবাহ গ্রহণযোগ্য হবে না।
(২) “ স্বামী ১ বার রাগ করে তার স্ত্রীকে বলেন তোমাকে ছেড়ে দিছি, মুক্তি দিয়ে দিছি, তুমি আজ থেকে স্বাধীন, তুমি অন্যত্র বিয়ে করে ফেলো এসব বলেছে, কিন্তু তালাকের নিয়্যাত ছিলো না।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে তালাকের নিয়ত না থাকলে তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...