ওস্তাদ.
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। উপর্যুক্ত বিষয় এবং এই ওয়েব সাইটের অন্যান্য ফাতওয়ার আলোকে আমার কিছু প্রশ্ন নিম্নরূপ:
১। https://ifatwa.info/122622/
২। https://www.ifatwa.info/28210/
৩। https://ifatwa.info/11744/
০১। উক্ত লিংক গুলোর বর্ণনা ও মাসআলা অনুযায়ী যদি কেউ বিবাহের পূর্বে তালাক কfর্যকর হওয়ার শর্ত কোনো মহিলার প্রতি বিবাহের নিসবত করা অথবা মুয়াল্লাক তালাক দেয় তাহলে তা কার্যকর হবে এবং তালাক পতিত হবে। একই ভাবে তালাক না হওয়ার শর্ত দেওয়া কি বৈধ্য নয়?
০২। আমাদের দেশে এমন কিছু কথা বা শব্দ প্রচলিত যা মানুষ হর-হামেশো বলে ফেলে, হোক ইচ্ছাকৃত অথবা রাগের বসে কিংবা স্ত্রীকে ভয় দেখাতে কিংবা পরিস্থিতি সামাল দিতে। যেমন: https://ifatwa.info/124051/ এখানে প্রশ্নকারী উল্লেখ করেছেন যে “ স্বামী ১ বার রাগ করে তার স্ত্রীকে বলেন তোমাকে ছেড়ে দিছি, মুক্তি দিয়ে দিছি, তুমি আজ থেকে স্বাধীন, তুমি অন্যত্র বিয়ে করে ফেলো এসব বলেছে, কিন্তু তালাকের নিয়্যাত ছিলো না। স্বামী স্ত্রীকে ভয় দেখানোর জন্য এবং তার নিজের পরিবারকে শান্ত করার জন্য এইগুলা বলেন।
তারপর তার পরিবার তাকে যতোবার জিজ্ঞেস করেছে সে একই কথা বলে উনাদের শান্ত রেখেছেন, এবং পরিস্থিতির মোকাবেলা করেছেন। কারণ উনার পরিবার আর কোনো শাস্তি চায়না একমাত্র তালাক ছাড়া আর খুব ঝামেলা হচ্ছিলো উনার স্ত্রীকে নিয়ে। “
০১। আমার প্রথম প্রশ্ন: এখন যদি কোনো স্বামী বিবাহের সময় ভবিষ্যতে তালাক কার্যকর হওয়ার জন্য কাউকে স্বাক্ষী রেখে কিংবা একাকি স্ত্রীকে লিখিত শর্তদেয় যেমন: “শর্ত ১। হায়েজ, নেফাস, স্বামীর ওরসজাত ও স্ত্রীর গর্ভের শিশুর বয়স ৩ বছরের কম হলে এবং স্ত্রী গর্ভবতী অবস্থায় কোনো ক্রমেই তালাক কার্যকর হবে না (তালাকের সময়ে গর্ভাবস্থা প্রকাশিত হওয়া আবশ্যক) শর্ত ২। আমার এবং তার(স্ত্রী) ততক্ষণ পর্যন্ত তালাক কার্যকর হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রী এবং উভয় পক্ষের অভিভাবকদের উপস্থিতি ও সম্মতিতে স্বতঃস্ফুর্তভাবে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে লক্ষ্য করে উচ্চস্বরে কেবল সরাসরি “তালাক” শব্দটি উচ্চারিত না হবে। শর্ত ৩ । স্ত্রী যদি স্বামী ব্যতিত কারো সাথে প্রকাশ্য পরকীয়া বা ব্যাভিচার বা অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় (স্বাক্ষী থাকা আবশ্যক নয়) সেক্ষেত্রে ১ম শর্ত অগ্রহণযোগ্য গণ্য হবে এবং ২য় শর্তে উল্লিখিত স্ত্রীর সম্মতি ছাড়া অন্যান্য শর্তে স্বামী কর্তৃক “তালাক” শব্দে তালাক দিলে তা এক তালাক হিসেবে গন্য ও কার্যকর হবে। শর্ত ৪। যত তালাকই দেয়া হোক না কেন তা এক তালাক হিসেবেই গণ্য হবে। শর্ত ৫। অভিভাবক হিসেবে আইনানুগ অভিভাবকের অনুপস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি যথেষ্ট্য হবে।” এক্ষেত্রে শর্ত পূরণ না করলে কি তালাক কার্যকর হবে? ইসলাম কি বলে?
০২। আমার ২য় প্রশ্ন: “শরীয়তে বাধা নেই এমন বিষয়ে স্ত্রী যদি স্বামীর আনুগত্য না করে কিংবা শরীয়তের বিধান পরিপন্থি কর্মকান্ড ত্যাগ না করে সেক্ষেত্রে তিন মাসে একরাত্রি যাপন ব্যতিত শাস্তি স্বরূপ স্ত্রীর অন্য কোনো হক আদায়ে স্বামী বাধ্য থাকবে না। (যেমন: স্বামীর হক আদায়ে গড়িমসি করলে, সর্বদা সন্দেহ আর অপবাদ দিলে, অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করলে, স্বামী কর্তৃক তার বাব-মা ভাই-বোন আত্বীয় পরিজনদের সাহায্য সহোযোগিতা ও সহমর্মিতার দরুন স্বামীকে তার আপন মা-বোন নিয়ে বাজে মন্তব্য করলে, স্বামীর গায়ে হাত তোললে, উচ্চাভিলাশী হলে, গুয়ার্তুমি করলে, স্বামী কর্তৃক ন্যায্যতার ভিত্তিতে একাধিক বিবাহ করলে তাকে মামলা দিয়ে হয়রানি করলে, স্বামীর অর্থ আত্মসাত বা তার আমানতের খেয়ানত করলে, গোপনীয়তা প্রকাশ করলে ইত্যাদি।)” এইরূপ শর্ত কি যায়েয হবে?
আমি ভাবছি বিবাহের পূর্বে এইসকল শর্ত যুক্ত করবো কি না..! এইজন্যই প্রশ্ন করা।