জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
রাসুলুল্লাহ ﷺ-এর প্রতি ভালোবাসা ঈমানের অংশ।
সহিহ হাদিসে এসেছে:
" রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না আমি তার নিকট পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি এবং সমগ্র মানবজাতির চেয়ে অধিক প্রিয় হব।"
(বুখারি, মুসলিম)
অর্থাৎ, রাসুল ﷺ-কে সর্বাধিক ভালোবাসা ঈমানের শর্ত।
★“প্রিয়তম” শব্দের অর্থ
“প্রিয়তম” মানে সবচেয়ে প্রিয়। যখন কেউ রাসুল ﷺ-কে এই নামে ডাকবে বা উল্লেখ করবে, তখন বোঝাবে যে তিনি আমার কাছে সর্বাধিক প্রিয়, যা হাদিস অনুযায়ী সুন্নতসঙ্গত।
সাহাবারা রাসুল ﷺ-এর জন্য প্রাণ উৎসর্গ করতেন এবং প্রকাশ্যে বলতেন যে তিনি তাদের কাছে সর্বাধিক প্রিয়।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
রাসুলুল্লাহ ﷺ-কে “প্রিয়তম”, “সবচেয়ে প্রিয়”, বা অনুরূপ শব্দ বলা যাবে।
তবে স্থান কাল পাত্র লক্ষ্য করে অনেক উলামায়ে কেরামগন এভাবে রাসুলুল্লাহ সাঃ কে সম্বোধন করা হতে নিষেধ করেছেন।
(০২)
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। আর শরয়ী এ শর্তাবলী পরিপূর্ণভাবে টেলিফোনে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই টেলিফোন বা মোবাইলে বিবাহ করা জায়েজ নয়। {ফাতওয়ায় উসমানী-২/৩০৪,৩০৫}
মোবাইলে বা টেলিফোনে বিবাহ করার পদ্ধতি হল-উভয় পক্ষ থেকে এক পক্ষ অপরপক্ষ যেখানে থাকে সেখানের কোন ব্যক্তিকে ওকীল বানাবে। তারপর সে অকীল দু’জন সাক্ষীর সামনে বিবাহ করিয়ে দিবে। তাহলে বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে। এছাড়া সরাসরি মোবাইলে বা টেলিফোনে প্রস্তাব ও কবুল করার দ্বারা বিবাহ সহীহ হবে না।
আরো জানুনঃ-
(০৩)
অনেকে যে একাধিক বিয়ে করে এটাও তাকদিরে লিখিত, যে তিনি কয়টা বিয়ে করবেন।
আবার অনেকের তালাক হয় এটাও তাকদিরে লিখিত যে তার তালাক হবে।
কোনোটিই তাকদিরের ফায়সালার বাইরে নয়।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি-থেকে বর্ণিত তিনি বলেন-
ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ اﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ: ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ اﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ -( «ﻛَﺘَﺐَ اﻟﻠَّﻪُ ﻣَﻘَﺎﺩِﻳﺮَ اﻟْﺨَﻼَﺋِﻖِ ﻗَﺒْﻞَ ﺃَﻥْ ﻳَﺨْﻠُﻖَ اﻟﺴَّﻤَﺎﻭَاﺕِ ﻭَاﻷَْﺭْﺽَ ﺑِﺨَﻤْﺴِﻴﻦَ ﺃَﻟْﻒَ ﺳَﻨَﺔٍ)ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ.
আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মানুষের তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করেছেন আসমান-যমীন সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর পূর্বে এবং তিনি যার ভাগ্যে যা লিপিবদ্ধ করেছেন তাই ঘটবে।(ছহীহ মুসলিম, মিশকাত হাদীস নং/৭৯)।
আরো জানুনঃ-
(০৪)
বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামদের মতে প্রচলিত সব ব্যাংকে চাকরির বিধান একই।
ব্যাংকে চাকরির বিধান জানুনঃ-
তবে স্বামীর ইনকাম হারাম হলেও স্ত্রী যেহেতু নিজের ভরনপোষণ এবং প্রয়োজনীয় খরচাদী স্বামী হতে নিতে পারে, তাই প্রশ্ন উল্লেখিত বিবাহে আপনার বাবা-মা যদি আপনার উপর চাপ প্রয়োগ করে, সেক্ষেত্রে আপনি উক্ত বিবাহে রাজি হতে পারেন।
(০৫)
★নিজেকে হারিয়ে ফেলা / পথ না পাওয়া
এর অর্থ হতে পারে:
জীবনে দ্বিধা বা অনিশ্চয়তা রয়েছে।
ধর্মীয় দিক থেকে দুর্বলতা বা সঠিক পথের বিষয়ে সংশয়।
কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে বিভ্রান্তি বা দিকনির্দেশনার অভাব।
★হাঁটছেন কিন্তু পথ পাচ্ছেন না।
এটি ইঙ্গিত করে ক্লান্তি, দুশ্চিন্তা বা দীর্ঘদিনের সমস্যা, যা সমাধান হচ্ছে না।
কিছু ব্যাখ্যা অনুসারে, তওবা ও ইস্তিগফারের অভাব থাকলে মানুষ আধ্যাত্মিকভাবে পথ হারিয়ে ফেলে।
★অপরিচিত মানুষের সাথে দেখা হওয়া।
অচেনা লোক স্বপ্নে দেখার মানে:
নতুন অভিজ্ঞতা বা জীবনে অজানা বিষয় আসতে চলেছে।
যদি তারা সদাচারী মনে হয়, তবে ভালো সংকেত; আর যদি অশুভ মনে হয়, তবে সতর্কবার্তা।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনার স্বপ্নটি সম্ভবত নিজের মনের কল্পনা প্রসূত বা সতর্কতামূলক হতে পারে, কারণ এটি বিভ্রান্তি ও অস্থিরতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
আপনি হয়তো কোনো বিষয়ে দিকনির্দেশনা খুঁজছেন—হোক তা জীবনের সিদ্ধান্ত, দ্বীনের চর্চা, বা ব্যক্তিগত সংকট।
হয়তো আপনার ইমানি অবস্থা বা আমল দুর্বল, এজন্য আল্লাহ আপনাকে স্মরণ করাচ্ছেন সঠিক পথে ফেরার জন্য।
★আপনার প্রতি পরামর্শঃ-
*ইস্তিগফার ও তওবা বাড়ান।
*দোয়া করুন: "رَبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ"
(হে আমার রব, আমাকে সত্যের সাথে প্রবেশ করাও এবং সত্যের সাথে বের করে দাও।) [সূরা ইসরা: ৮০]
*নিয়মিত তাহাজ্জুদ ও সালাতুল হাজাত পড়ুন।
আল্লাহর কাছে হিদায়াত চাইতে থাকুন: اللَّهُمَّ اهْدِنَا وَاهْدِ بِنَا
*ইস্তিখারা করুন, যদি জীবনের কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় থাকেন।
(০৬)
এটি আপনার মনের কল্পনা প্রসূত স্বপ্ন বলে মনে হচ্ছে।
আপনি যেই বিষয়ে ইস্তিখারা করেছে,স্বপ্নে সে বিষয়ের পজিটিভ বা নেগেটিভ কোনো দিক আছে বলে মনে হচ্ছেনা।
সুতরাং ইস্তেখারা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ থাকবে।