আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
30 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম
দ্বীনের বুঝ পাওয়ার পর ও কঠিন জামানায় শয়তান এর প্ররোচনায় একটা ছেলে কে ভালো লাগে পরিবারেও জানানো হয় পরিবার থেকে খোজ খবর নেয়,,,কিন্তু কারো মধ্যে ছেলে টা ভালো ,,, শুধু এটার উপর ফোকাস করতে দেখি নি কাওকে কারণ আমার পরিবার এর তাদের পরিবার এর স্ট্যাটাস মিলে না পড়াশোনা ও সে একটু কম এইযে মানুষ কি বলবে এই জিনিস টাকে এত্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়,,,

আমার মানদণ্ড আবার ভিন্ন আমি সবসময় এমন ছেলেই বিয়ে করতে চেয়েছি জীবনে আর সাধারণ ভাবে থাকতে চেয়েছি শূন্য থেকে শুরু করতে চেয়েছি এই ছেলে আমার জীবনে আসার পড় এমন ভেবেছি বিষয়টা এমন না।

তাই যখন চাওয়া পাওয়ার সাথে মিলেছে তখনই বিয়ের ইচ্ছা পোষণ করেছি,পরিবার কে জানিয়েছি ,,,আমার পরিবার ছেলের তেমন ভুল ত্রুটি খুঁজে পায় নি ঐযে স্ট্যাটাস মিলে না এজন্য মন থেকে মানতেই পারবেনা এমন অবস্থা আর মানুষের কানাঘুষা আছেই।

রমজান মাসে বিয়ের জন্য অনেক জোরাজোরি করি পরিবার এ কারণ গুনাহ এর ভার নিতে পারছিলাম না যদি মৃত্যু হয় কি জবাব দিব,,,এর মাঝখানে পরিবার এ একটা দুঃখজনক ঘটনা ঘটায় বিয়ের বিষয় নিয়ে কেও মাথা ঘামায় না।তাই আমরা নিজেরা বিয়ে করি কাজী অফিসে আল্লহর নামে ।সাক্ষী কাজী আরেকজন হুজুর ছিল,,,আর আমার বাবা নেই বড় ভাই ও নেই নিজের চাচা ও নেই।বিয়ের পর আমরা আমরা যার যার নিজেদের গৃহেই অবস্থান করি।

৪-৫ মাস পর আমি আম্মুকে বিয়ের কথা জানাই,,,আমার আম্মুর চাচাতো ভাই কর্নেল জীবনের নানা সমস্যায় আম্মুকে সাহায্য করেছে বিপদে পড়লে সাহায্য নিয়েছে।আম্মু তাদের প্ররোচনায় আমার বিয়ে টাকে মেনেই নিতে চাচ্ছে না,,,কারণ তারা আম্মুকে আরো বেটার লাইফ এর স্বপ্ন দেখায় আম্মু মানুষের কথা শুনে বেশি।ত্ব মামী ও আমাকে খুব জবরদস্তি করে তারা বলেই যাচ্ছে আমাদের বিয়ে নাকি হয় নী অভিভাবক ছাড়া বিয়ে করেছি হয়নাই নাকি আমি বলেছি হানাফী ফিকহ মতে আমরা গুনাহ থেকে বাঁচতে আল্লহর সন্তুষ্টির জন্য বিয়ে করেছি।আর ওদিকে আমার স্বামীর পরিবার এও চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে । আমার মামী সরাসরি আমাকে বলেছে "আমি কি জেনেবুঝে যুদ্ধে নামতে চাচ্ছি কিনা☺️" কারণ আমি বলেছি আমি ছাড়বো না এখানেই থাকবো,,,ইন শা আল্লহ। কারণ তারা নানা ভাবে আমাকে বুঝাচ্ছে ভালো জীবনের স্বপ্ন দেখাচ্ছে আমি প্রচণ্ড মানসিক চাপে আছি।আমি যদি এখানে থাকতে চাই ওরা ওই ছেলে কে মেরে ফেলবে☺️ এমন হুমকি দিচ্ছে। আমি বলেছি কেনো তোমরা এমন করবে মেনে নিলেই হয়ে যায় আর অশান্তি হলে সেটা তোমরাই করবে ,,, কেনো এমন করবে । মানে তারা মানবেই না তাদের মেয়ে এমন জায়গায় থাকুক।

কিন্তু আমার থিওরি কখনও এমন না পরিবারের মধ্যে আমি একটু আলাদা ,, সব মানুষকে সমান চোখে দেখি আল্লহ যাকে যেই পরিবারে দিবে সেটাই আল্লহর নির্ধারিত কারো চেহারা বংশ ধনী গরীব দিয়ে আমি পার্থক্য করি না কখনও,,,কিন্তু তারা মানুষ হিসেবে কেমন এই জিনিস টা পাত্তা দিচ্ছে না তাদের মন মেনে নিতে পারতেসে না এই বিষয় ,,টাও তারা মনের খহেশিয়াত মিটাতে ব্যস্ত।একজন বিবাহিত মেয়ে কে অন্য ছেলের সাথে বিয়ে দিতে চায় ওরা বলে,,, জীবনে ভুল হয় আমি যেনো এখান থেকে বের হয়ে আসি,,,আর সমানে বলে যাচ্ছে এই বিয়ে হয় নাই।☺️

আমার জানামতে হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।

তবে আরেকটা জিনিস ও রয়েছে
ছেলে ক্লাস ১০ পর্যন্ত পড়েছে,আমি ইন্টার পাস । ছেলে বিদেশে ছিল তারপর দেশে এসে অনেক কাজ খুঁজেছে কাজ না হওয়া পর্যন্ত কারেন্ট এর কাজ করতো এখন ইন শা আল্লহ,আল্লহ দয়া করেছেন মাছের প্রজেক্টে কাজ করে ,,, আমার শ্বশুর এলাকায় সম্মানিত ব্যক্তি সাবেক মেম্বার ছিলেন কেও তাদের নামে খারাপ কিছু বলতে পারেনা,,,তাদের নিজেদের থাকার বাড়ি আছে ,,,আমার পরিবার অনেক ব্যস্ত হয়ে আছে তাদের ব্যাড রেকর্ড বের করার জন্য,,,কিন্তু ঐভাবে পায় নি।
আর এদিকে আমাদের তিনটা ফ্ল্যাট রয়েছে বাবা মারা যাওয়ার পর সেই সম্পত্তি বেঁচে আমরা ঢাকায় সেটেল হৈ আলহামদুলিল্লাহ ।
কিন্তু সে আমার থেকে আখলাকে উত্তম আমলে উত্তম☺️ আলহামদুলিল্লাহ,,,আমি আর অন্যকিছু দেখতে চাই না

এইযে আমাদের কুফু পার্থক্য রয়েছে এজন্য আমার পরিবার কি এই বিয়ে ভেঙে দিতে পারবে?☺️কিন্তু আমি চাই না ভেঙে দিক আমার পর্দার সুবিধার জন্য স্বামী আমাকে আলাদা বাসায় নিয়ে রাখার ইচ্ছা ইন শা আল্লহ।

1 Answer

0 votes
by (669,240 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান হলো যদি দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক সমঝদার সাক্ষ্যির সামনে প্রাপ্ত বয়স্ক পাত্র ও পাত্রি যদি প্রস্তাব দেয় এবং অপরপক্ষ তা গ্রহণ করে নেয়, তাহলে ইসলামী শরীয়াহ মুতাবিক বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যায়। অভিভাবকের সম্মতি থাকুক বা না থাকুক। অভিভাবক জানুক বা না জানুক।

 তবে যদি গায়রে কুফুতে বিবাহ করে, তথা এমন পাত্রীকে বিবাহ করে, যার কারণে ছেলে বা মেয়ের পারিবারিক সম্মান বিনষ্ট হয়, তাহলে পিতা সে বিয়ে আদালতের মাধ্যমে ভেঙ্গে দিতে পারে। যদি কুফুতে বিবাহ করে, তাহলে পিতা এ অধিকারও পাবে না।

এটিই হানাফি মাযহাবের প্রাধান্য পাওয়া মত,যার উপরেই ফতোয়া।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ؛ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «الْأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا.

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মেয়ে তার ব্যক্তিগত বিষয়ে অভিভাবকের চেয়ে অধিক হকদার। {মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৮৮৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৪২১)

عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: ” جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ أَبِي وَنِعْمَ الْأَبُ هُوَ، خَطَبَنِي إِلَيْهِ عَمُّ وَلَدِي فَرَدَّهُ، وَأَنْكَحَنِي رَجُلًا وَأَنَا كَارِهَةٌ. فَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَبِيهَا، فَسَأَلَهُ عَنْ قَوْلِهَا، فَقَالَ: صَدَقَتْ، أَنْكَحْتُهَا وَلَمْ آلُهَا خَيْرًا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا نِكَاحَ لَكِ، اذْهَبِي فَانْكِحِي مَنْ شِئْتِ

হযরত সালামা বিনতে আব্দুর রহমান রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা এক মেয়ে রাসূল সাঃ এর কাছে এল। এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা! কতইনা উত্তম পিতা! আমার চাচাত ভাই আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিল আর তিনি তাকে ফিরিয়ে দিলেন। আর এমন এক ছেলের সাথে বিয়ে দিতে চাইছেন যাকে আমি অপছন্দ করি। এ ব্যাপারে রাসূল সাঃ তার পিতাকে জিজ্ঞাসা করলে পিতা বলে, মেয়েটি সত্যই বলেছে। আমি তাকে এমন পাত্রের সাথে বিয়ে দিচ্ছি যার পরিবার ভাল নয়। তখন রাসূল সাঃ মেয়েটিকে বললেন, “এ বিয়ে হবে না, তুমি যাও, যাকে ইচ্ছে বিয়ে করে নাও”। {মুসন্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-১০৩০৪, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১৫৯৫৩}


حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: ” أَنَّ جَارِيَةً بِكْرًا أَتَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَكَرَتْ أَنَّ أَبَاهَا زَوَّجَهَا وَهِيَ كَارِهَةٌ فَخَيَّرَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ”

হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। কুমারী মেয়ে রাসূল সাঃ এর কাছে এসে বলল, আমার পিতা আমার অপছন্দ সত্বেও বিয়ে দিয়েছে, তখন রাসূল সাঃ সে মেয়েকে অধিকার দিলেন, [যাকে ইচ্ছে বিয়ে করতে পারে বা এ বিয়ে রাখতেও পারে]। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৪৬৯, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৮৭৫}

عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: جَاءَتْ فَتَاةٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: ” إِنَّ أَبِي زَوَّجَنِي ابْنَ أَخِيهِ، لِيَرْفَعَ بِي خَسِيسَتَهُ، قَالَ: فَجَعَلَ الْأَمْرَ إِلَيْهَا، فَقَالَتْ: قَدْ أَجَزْتُ مَا صَنَعَ أَبِي، وَلَكِنْ أَرَدْتُ أَنْ تَعْلَمَ النِّسَاءُ أَنْ لَيْسَ إِلَى الْآبَاءِ مِنَ الْأَمْرِ شَيْءٌ “

হযরত বুরাইদা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক মহিলা নবীজী সাঃ এর কাছে এসে বলল, আমার পিতা আমাকে তার ভাতিজার কাছে বিয়ে দিয়েছে, যাতে তার মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। রাবী বলেন, তখন রাসূল সাঃ বিষয়টি মেয়ের ইখতিয়ারের উপর ন্যস্ত করেন, [অর্থাৎ ইচ্ছে করলে বিয়ে রাখতেও পারবে, ইচ্ছে করলে ভেঙ্গেও দিতে পারবে] তখন মহিলাটি বললেন, আমার পিতা যা করেছেন, তা আমি মেনে নিলাম। আমার উদ্দেশ্য ছিল, মেয়েরা যেন জেনে নেয় যে, বিয়ের ব্যাপারে পিতাদের [চূড়ান্ত] মতের অধিকার নেই্ {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৮৭৪}

উক্ত মাসয়ালায় চার মাযহাবের অবস্থান দলীল,বিপরীত মুখি হাদীসের জবাব সহ বিস্তারিত জানুন-

আরো জানুনঃ- 

রাসুল সাঃ কুফু মিলাইতে বলেছেনঃ

وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)

কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/4541/

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনারা যদি উভয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক অবস্থায় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক সাক্ষ্যির উপস্থিতিতে বিয়ের প্রস্তাব ও প্রস্তাব গ্রহণ সম্পন্ন করে থাকেন, তাহলে বিয়ে ইসলামী শরীয়াহ মুতাবিক শুদ্ধ হয়ে যাবে।

তবে এক্ষেত্রে কুফুর সামঞ্জস্যতা না থাকায় আপনার অভিভাবক আপনাদের সন্তান হওয়ার আগে আদালতের মাধ্যমে সেই বিয়ে ভেঙ্গে দিতে পারবে। 

আর যদি এর আগেই আপনাদের সন্তান হয়ে যায়,সেক্ষেত্রে আপনার অভিভাবক আর উক্ত বিবাহ ভেঙ্গে দিতে পারবেননা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
edited by
অভিভাবক বলতে আমার মা ভেঙে দিতে পারবে? অথবা আমার চাচাতো মামা?
কারণ আমার বাবা নেই নিজের আপন চাচা নেই দাদা ও নাই।মেয়ে যদি না চায় বিয়ে না ভাঙ্গুক তাহলে কি করণীয়?
by (669,240 points)
শরীয়তের নিয়ম অনুযায়ী অভিভাবকের ক্রম (হানাফি মাযহাব অনুযায়ী) হলো:

1. বাবা

2. পিতামহ (দাদা)

3. প্রকৃত ভাই

4. ভাইয়ের ছেলে (ভ্রাতুষ্পুত্র)

5. চাচা

6. চাচার ছেলে (চাচাতো ভাই)

7. এরপর একইভাবে ক্রমে অন্যান্য পুরুষ আত্মীয়

যদি এদের মধ্যে কেউই না থাকে, তখন শরীয়তের অভিভাবক (ওলি) হবেন মুসলিম সমাজের আমীর বা ক্বাজি (শরীয়তী বিচারক)। 

অর্থাৎ আপনার উল্লেখিত ক্ষেত্রে, যদি ভাই, ভ্রাতুষ্পুত্র, চাচাতো ভাই কেউ না থাকে, তাহলে স্থানীয় ইসলামী কর্তৃপক্ষ (ইমাম বা ক্বাজি) অভিভাবক হবেন।

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার মা ভেঙে দিতে পারবেনা৷ আপনা চাচাতো মামা বিবাহ ভেঙে দিতে পারবেনা।।

মেয়ে যদি না চায় বিয়ে না ভাঙ্গুক তাহলে সে দ্রুত সন্তান নিবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...