আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
20 views
in সালাত(Prayer) by (17 points)
(আফওয়ান, উস্তাদ মুফতি ওলি উল্লাহ উত্তর দিলে ভালো হয়) আসসালামু আলাইকুম, উস্তাদ জাযাকাল্লাহ উত্তর দেওয়ার জন্য, আমার আরও কিছু উল্লেখ করার আছে যা হচ্ছে, সেদিন নামাজরত অবস্থায় এবং নামাজের পরেও আমার পেশাবের চাপ ছিলো না, আগেই বাথরুম সেরে নিয়েছিলাম এবং যদি বেশি চাপ হতো তাহলে কখনোই সেভাবে আমি নামাজ পড়তাম না।
আর উস্তাদ, ইশারায় নামাজ পড়া প্রসঙ্গে আমি আগে নিম্নোক্ত প্রশ্ন করেছিলাম:

(**মাঝেমধ্যে ফ্রেস হয়ে আসলেও আমি জানি সেজদায় গেলে আরেকটু পেশাব আসতে পারে, এর জন্য বাথরুমে বসে থাকলে আবার আসে না, মাজুর না হওয়ার কারণে কোনমতে নামাজটা পড়তে পারি যদি বেশি নড়াচড়া না করি সে অবস্থায় আমি ইশারায় সেজদা দিতে পারবো কিনা, এর যদি ইশারায় সেজদা না দেই আর আসলেই পেশাব এসে পড়ে তাহলে আবার বারবার বাথরুমে যাওয়া লাগে এর কাপড় পাল্টানো লাগে শেষমেষ নামাজ কাযাই হয়ে যায়।** এ প্রশ্নের উত্তরে মুফতি ইমদাদ উস্তাদ বলেছিলেন প্রশ্নের বিবরণমতে আমি ইশারায় রুকু সিজদা করতে পারবো।) আবার আরেকটা প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন যে, রুকু সিজদার সময় প্রস্রাবের ফোঁটা এসেছে সন্দেহে নামাজকে কাযা বা দোহরানোর কোনো প্রয়োজনীয়তা নাই এক্ষেত্রে নামাজ হয়েছে ধরে নিতে হবে।
উস্তাদ এ হিসাবেই আমি নামাজ পড়েছিলাম, আর আমারও খুবই অনুশোচনা হয় কেনো আমি রুকু সিজদা শান্তিমত আদায় করতে পারিনা, যখন প্রবল সন্দেহের আশঙ্কা থাকে তখনই ইশারায় দেই আর নাহয় আগে এমন অনেক হয়েছে যে সেজদা দিতে গিয়ে তখন নামাজটাই হয় নাই। আর যদি উস্তাদ (মুফতি ওলি উল্লাহ) আপনার উত্তর হিসাবে আমার উচিত ছিল পেশাব বের হলে হোক, ইশারায় কোন রুকুন আদায় না করা, এটাও আমি আগে প্রশ্ন করে নিয়েছিলাম যে ওয়াসওয়াসা হিসাবে আমি যদি পাত্তা না দেই আর আসলেই কিছু বের হয়ে থাকে তখন গুনাহ হবে কিনা, কারণ আমি চাইনা কোন রুকন ইশারায় আদায় করতে। তখন উত্তর পেয়েছিলাম যে প্রবল সন্দেহের খাতিরে নামাজ পুনরায় পড়তে হবে, এভাবে একবার দুইবার নামাজ ভেঙে বাথরুমে যাওয়ার পর এরপর আর পেশাব ক্লিয়ার হয়না উল্টো তখন নামাজে আসলেই সমস্যা হয়ে যায় বা আল্লাহ মাফ করুক নামাজ তরকের পর্যায় চলে যায়। সেজন্য আমি চাই নামাজে পেশাব যাতে না বের হয় সেজন্য বেশি সন্দেহ থাকলে ইশারায় আদায় করি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই বিতির আমি নাহয় ইনশাআল্লাহ্ আবার পড়ে নিলাম, আর পরবর্তীতে কি আমি আপনার বাতানো পদ্ধতিতে (পেশাব বের হলে হোক ইশারায় আদায় করবো না) পড়বো? আমি আগে বাথরুমে সেরেই আসি এরপর সন্দেহ হলে পড়ে। আর যদি নড়াচড়া হলে আসলেই বের হয় কিছু তাও কি নামাজ হয়েছে ধরে নিবো? কারণ হতে পারে পানি বের হয়েছে, পেশাব এসে পড়েনি আবার আমার এখানে সত্যি পেশাবও একটু হতে পারে, অনেকসময় বুঝতে পারিনা।
(উস্তাদ ওয়াসাওয়াসার সমস্যার জন্য আলহামদুলিল্লাহ্ চিকিৎসা লাগাতার আছে, আমলও চলছে, আমার জন্য খাস করে দোয়া করবেন)
জাযাকাল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (674,490 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/113169/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে,
শরীয়তের বিধান হলো যদি কাহারো নামাজের মধ্যে অজু ভেঙে যায়,তাহলে সে সাথে সাথে অজু করার জন্য যাবে,

(জামাআতের সাথে নামাজ আদায় করলে কাতার ভেঙ্গে দিয়ে সে পিছনের কাতার ফাকা করে মসজিদ থেকে বের হবে,চাইলে নাকের উপর হাত রেখেও বের হতে পারে।) 

এক্ষেত্রে নামাজ ভঙ্গকারী কোনো কাজ যেনো তার থেকে প্রকাশ না পায়, (যেমন কাহারো সাথে কথা বলা,ইত্যাদি)   অজু করে এসে তার ছুটে যাওয়া আগে আদায় করবে,এক্ষেত্রে তাকে কিরাআত পড়তে হবেনা,  তারপর ইমামের সাথে শরীক হয়ে তার সাথেই সালাম ফিরাইবে,আর যদি ইতিমধ্যে ইমাম সালাম ফিরিয়ে দেয়,তাহলে তার নামাজ পুরো করে সে নিজেই সালাম ফিরিয়ে দিয়ে নামাজ শেষ করবে।

★ উল্লেখ্য যে কাতার ফাকা করে অজু করতে যাওয়ার সময় সে যদি চায়,নাকে হাত দিতে পারে। যাতে করে মুছল্লিরা বুঝে নিবে যে তার অজু ভেঙ্গে গিয়েছে,তাতে সকলেই দ্রুত তার  যাওয়ার জন্য  জায়গা ফাকা করে দিবে। 

সুনানে ইবনে মাজা তে আছেঃ

عن عائشۃ رضي اللّٰہ عنہا قالت: قال رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم: من أصابہ قيء أو رعاف
أو قلس أو مذي، فلنصرف فلیتوضأ، ثم لیبن علی صلاتہ وہو في ذٰلک لایتکلم۔ (سنن ابن ماجۃ ۱؍۸۵ رقم: ۱۲۲۱)
যার নামাজের মধ্যে বমি ইত্যাদি আসে,তাহলে সে সেখান থেকে চলে যাবে। অজু করবে,এই অবস্থায় সে কোনো ভাবেই কথা বলবেনা। তারপর তার বাকি নামাজ আদায় করে নিবে।
,
আরো জানুনঃ 

হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত
عن عائشة، قالت: قال النبي صلى الله عليه وسلم: «إذا أحدث أحدكم في صلاته فليأخذ بأنفه، ثم لينصرف»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি তোমাদের কারো নামাযে অজু চলে যায়,তাহলে সে যেন নিজ নাকে ধরে নামায ভেঙ্গে অজুর জন্য চলে যায়।(সুনানু আবি দাউদ-১১১৪)

নামাযে যদি কারো অজু ভঙ্গ হয়ে যায়,এবং ঐ ব্যক্তি যদি প্রথম কাতারে থাকে,তাহলে তিনি প্রত্যেক দুই ব্যক্তির মধ্যখানে ফাক সৃষ্টি করে তিনি মসজিদ থেকে বের হয়ে অজু করতে চলে যাবেন।কিংবা যদি সামন দিক দিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ থাকে,তাহলে তিনি সামন দিক দিয়ে যাবেন।এক্ষেত্রে অনেককে ডিঙ্গিয়ে যাওয়ার রুখসত রয়েছে।এতে কোনো সমস্যা হবে না।কেননা এগুলো নিজের নামাযকে সংশোধন করার নিমিত্তেই করা হচ্ছে।যদি নামাযের কাতার থেকে বাহির হওয়ার কোনো সুযোগ না থাকে,বা কাতার সংখ্যায় অনেক থাকে,তাহলে এমতাবস্থায় বিধান হল,ঐ ব্যক্তি নামাযকে পরিত্যাগ করে আপন স্থানে বসে থাকবে।
(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৬/৫৭৯)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার প্রতি পরামর্শ,  পেশাব বের হলে হোক,তারপরেও ইশারা করে কোনো রুকন আদায় না করা।

নামাজের কোনো রুকনে পেশাব বের হয়েছে বলে অনুভব হলে বা পেশাব বের হওয়া সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত হলে সেক্ষেত্রে আপনি সাথে অযু করতে যাবেন।
পেশাবের স্থান পাক করে অযু করে এসে বাকি নামাজ শেষ করবেন।
অযু করতে যাওয়া ও আসার মাঝে কাহারো সাথে কথা বলবেননা,কোনো খাবার গ্রহন করবেননা।

যেই রুকনে থাকা অবস্থায় আপনার অযু ভেঙ্গে যাবে,অযু করে এসে সেই রুকন হতে বাকি নামাজ সম্পন্ন করবেন।
পুরো নামাজ আদায় করতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 203 views
0 votes
1 answer 493 views
...