(আফওয়ান, উস্তাদ মুফতি ওলি উল্লাহ উত্তর দিলে ভালো হয়) আসসালামু আলাইকুম, উস্তাদ জাযাকাল্লাহ উত্তর দেওয়ার জন্য, আমার আরও কিছু উল্লেখ করার আছে যা হচ্ছে, সেদিন নামাজরত অবস্থায় এবং নামাজের পরেও আমার পেশাবের চাপ ছিলো না, আগেই বাথরুম সেরে নিয়েছিলাম এবং যদি বেশি চাপ হতো তাহলে কখনোই সেভাবে আমি নামাজ পড়তাম না।
আর উস্তাদ, ইশারায় নামাজ পড়া প্রসঙ্গে আমি আগে নিম্নোক্ত প্রশ্ন করেছিলাম:
(**মাঝেমধ্যে ফ্রেস হয়ে আসলেও আমি জানি সেজদায় গেলে আরেকটু পেশাব আসতে পারে, এর জন্য বাথরুমে বসে থাকলে আবার আসে না, মাজুর না হওয়ার কারণে কোনমতে নামাজটা পড়তে পারি যদি বেশি নড়াচড়া না করি সে অবস্থায় আমি ইশারায় সেজদা দিতে পারবো কিনা, এর যদি ইশারায় সেজদা না দেই আর আসলেই পেশাব এসে পড়ে তাহলে আবার বারবার বাথরুমে যাওয়া লাগে এর কাপড় পাল্টানো লাগে শেষমেষ নামাজ কাযাই হয়ে যায়।** এ প্রশ্নের উত্তরে মুফতি ইমদাদ উস্তাদ বলেছিলেন প্রশ্নের বিবরণমতে আমি ইশারায় রুকু সিজদা করতে পারবো।) আবার আরেকটা প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন যে, রুকু সিজদার সময় প্রস্রাবের ফোঁটা এসেছে সন্দেহে নামাজকে কাযা বা দোহরানোর কোনো প্রয়োজনীয়তা নাই এক্ষেত্রে নামাজ হয়েছে ধরে নিতে হবে।
উস্তাদ এ হিসাবেই আমি নামাজ পড়েছিলাম, আর আমারও খুবই অনুশোচনা হয় কেনো আমি রুকু সিজদা শান্তিমত আদায় করতে পারিনা, যখন প্রবল সন্দেহের আশঙ্কা থাকে তখনই ইশারায় দেই আর নাহয় আগে এমন অনেক হয়েছে যে সেজদা দিতে গিয়ে তখন নামাজটাই হয় নাই। আর যদি উস্তাদ (মুফতি ওলি উল্লাহ) আপনার উত্তর হিসাবে আমার উচিত ছিল পেশাব বের হলে হোক, ইশারায় কোন রুকুন আদায় না করা, এটাও আমি আগে প্রশ্ন করে নিয়েছিলাম যে ওয়াসওয়াসা হিসাবে আমি যদি পাত্তা না দেই আর আসলেই কিছু বের হয়ে থাকে তখন গুনাহ হবে কিনা, কারণ আমি চাইনা কোন রুকন ইশারায় আদায় করতে। তখন উত্তর পেয়েছিলাম যে প্রবল সন্দেহের খাতিরে নামাজ পুনরায় পড়তে হবে, এভাবে একবার দুইবার নামাজ ভেঙে বাথরুমে যাওয়ার পর এরপর আর পেশাব ক্লিয়ার হয়না উল্টো তখন নামাজে আসলেই সমস্যা হয়ে যায় বা আল্লাহ মাফ করুক নামাজ তরকের পর্যায় চলে যায়। সেজন্য আমি চাই নামাজে পেশাব যাতে না বের হয় সেজন্য বেশি সন্দেহ থাকলে ইশারায় আদায় করি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই বিতির আমি নাহয় ইনশাআল্লাহ্ আবার পড়ে নিলাম, আর পরবর্তীতে কি আমি আপনার বাতানো পদ্ধতিতে (পেশাব বের হলে হোক ইশারায় আদায় করবো না) পড়বো? আমি আগে বাথরুমে সেরেই আসি এরপর সন্দেহ হলে পড়ে। আর যদি নড়াচড়া হলে আসলেই বের হয় কিছু তাও কি নামাজ হয়েছে ধরে নিবো? কারণ হতে পারে পানি বের হয়েছে, পেশাব এসে পড়েনি আবার আমার এখানে সত্যি পেশাবও একটু হতে পারে, অনেকসময় বুঝতে পারিনা।
(উস্তাদ ওয়াসাওয়াসার সমস্যার জন্য আলহামদুলিল্লাহ্ চিকিৎসা লাগাতার আছে, আমলও চলছে, আমার জন্য খাস করে দোয়া করবেন)
জাযাকাল্লাহ।