আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
বাবা মা শরীয়ত বিরোধী কোনো কাজ যা গুনাহের কাজ করতে বললে তা কি মানতে হবে?
আমি সদ্য hsc পরীক্ষা দিয়েছি, কিছু দিন আগে দ্বীন সম্পর্কে ইলম অর্জন করার কথা। বোধগম্য হয়েছে, তাই এখন পরবর্তীতে সহশিক্ষা পরিহার করতে চাই, আমার বাবা মা আমাকে জোর না করলেও এক রকম তারা চাচ্ছে আমি পাবলিক ভার্সিটি গুলোর জন্য প্রিপারেশন নেই, সেগুলো চালিয়ে যাই। আমি এখন নিকাব ছাড়া বাহিরে যাইনা, সহশিক্ষার মধ্যে দিয়ে বোর্ড পরীক্ষা শেষ করতে আমার খুব অসস্তিকর পরিবেশ হয়েছে যা এখন এর দিনে সাধারণ যারা পর্দা করেনা, আমি মনে করছি আমি এখন জেনারেল লাইনে পড়ালেখা করলে আমি পথভ্রষ্ট হয়ে যাবো, আগে যেমন দুনিয়ার প্রতি আকৃষ্ট ছিলাম আমার সেই মোহে জড়িয়ে যাবো যা ইদানিং ও হয় যখন আমি ওমন পরিবেশে যাই।

আমি যদি এখন সহশিক্ষায় না পড়ি তারা আমাকে প্রেশার দিবে না, কিন্তু এক্ষেত্রে তারা যা চাচ্ছে তা কি শুনতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (705,360 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ 'আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়' রয়েছে,
" ﻃﺎﻋﺔ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﻴﻦ - ﻣﻤّﻦ ﺗﺠﺐ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ – ﻛﺎﻟﻮﺍﻟﺪﻳﻦ ، ﻭﺍﻟﺰّﻭﺝ ، ﻭﻭﻻﺓ ﺍﻷﻣﺮ : ﻓﺈﻥّ ﻭﺟﻮﺏ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ ﻣﻘﻴّﺪ ﺑﺄﻥ ﻻ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ، ﺇﺫ ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻟﻤﺨﻠﻮﻕ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ " ﺍﻧﺘﻬﻰ
যাদের আদেশ-নিষেধ এর অনুসরণ শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব।যেমন-মাতাপিতা,স্বামী,সরকারী বিধিনিষেধ,এর অনুসরণ ওয়াজিব।
এ হুকুম ব্যাপক হারে প্রযোজ্য হবে না বরং ঐ সময়-ই প্রযোজ্য হবে যখন তা গুনাহের কাজ হবে না।কেননা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(২৮/৩২৭)

মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা মূলত তিনটি মূলনীতির আলোকে হয়ে থাকে।
(১) তাদের আদেশ কোনো মুবাহ বিষয়ে হতে হবে।কোনো ওয়াজিব তরকের ব্যাপারে হতে পারবে না।এবং কোন হারাম কাজের জড়িত হওয়ার জন্যও হতে পারবে না।
(২)যে কাজের আদেশ তারা দিবেন,এতে তাদের ফায়দা থাকতে হবে,বা শরীয়তের পছন্দসই কাজ হতে হবে।
(৩)যে কাজের আদেশ দিচ্ছেন,তা তাদের সন্তানদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারবে না।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1707

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1722

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সহশিক্ষা ব্যবস্থাতে শিক্ষা গ্রহণ করতে যেয়ে যদি ঈমান আমল নষ্ট নষ্ট হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকলে তখন উক্ত শিক্ষা গ্রহণ করা এবং এজন্য ঘরের বাহিরে যাওয়া জায়েয হবে না। এক্ষেত্রে মাতাপিতার আদেশ মান্য না করার জন্য আপনার ওয়াজিব হবে না। তবে আমাদের পরামর্শ থাকলে ঈমান আমলকে হেফাজত ও পরিপূর্ণ  পর্দা পুশিদার সাথে নিজেকে সংরক্ষণ করে শিক্ষা গ্রহণের চেষ্টা করা। আল্লাহ আমানাদেরক হেফাজত করুক।আমীন।।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...