আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
30 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।  আমার এক আত্মীয় আমাকে বক্সিস দিয়েছিলো *০০ টাকা।  আমি টাকা টা নিয়েছি তবে জানি যে তিনি সুদী ব্যাংকে চাকরি করে, তার টাকাটা হারাম।  তাই সেই টাকা টি আমি ব্যবহার করি নি। নিয়ে ফেলে রেখেছি।  আমার এক বোন খুব কষ্ট করে টিউশনি করে ইনকাম করে চলে। নিজের কষ্টের টাকায় জাগতিক  পড়াশোনা ও করে দ্বীনি পড়াশোনা ও করে (IOM)।  পরিবার মধ্যবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত তবে দ্বীনি ইলম অর্জনে কোনো প্রকার আর্থিক সাহায্য করে না।একটা ইসলামিক সেমিনারে মেয়েটার যাওয়ার ইচ্ছে।  তবে বর্তমানে রেজিষ্ট্রেশন ফি দেয়ার টাকা নেই তার কাছে।  আমি যদি সেই ফেলে রাখা হারাম টাকা টা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া তাকে সেমিনারের রেজিষ্ট্রেশন ফি দেয়ার জন্য দিয়ে দেই, আমি কি তবে গুনাহগার হবো? টাকাটার সোর্স না জানিয়েই দিতে চাচ্ছি। দেয়া কি জায়েজ হবে? যদি জায়েজ না হয় তবে মেয়েটাকে যাকাতের টাকা থেকে সেমিনার ফি দেয়া যাবে কি?

1 Answer

0 votes
by (705,480 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া। নতুবা জনকল্যাণ মূলক কাজে ব্যবহার করা(জাদীদ ফেকহি মাসাঈল-৪/৫২) কিংবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
 من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)  এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1900

في الشامية: والحاصل: أنه إن علم أرباب الأموال وجب رده عليهم، وإلا فإن علم عين الحرام لايحل له ويتصدق به بنية صاحبه''. (5/99،مَطْلَبٌ فِيمَنْ وَرِثَ مَالًا حَرَامًا، ط: سعید)   فقط واللہ اعلم

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হারাম টাকা সদকাহ করতে হবে। যদি ঐ মেয়েটি নিতান্ত গরীব হয়, তাহলে তাকে ঐ টাকা দিতে পারবেন। এবং যাকাতের টাকাও দিতে পারবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...