রাসুল (সা) বলেছেন: মদীনায় মহামারি প্রবেশ করবেনা। অথচ হযরত উমার (রা) এর সময় মদীনায় মহামারি দেখা দিয়েছিল। তাছাড়া করোনার সময় ও মদিনা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। এতে কি নবীর ভবিষ্যৎবাণী মিথ্যে প্রমাণিত হয়না? আর নবীর ভবিষ্যৎবাণি মিথ্যা মানে তো নবী ও ইসলাম পুরোটাই মিথ্যা।
রেফারেন্স:
আবদুল্লাহ ইবনু ইউসূফ (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মদিনা নগরীতে প্রবেশ করতে পারবে না মাসীহ দাজ্জাল, আর না মহামারী।(সহিহ বুখারি: ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৫৩২০, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৫৭৩১)
২৪৬৭। মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ... আবুল আসওয়াদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আমি মদিনায় আসলাম, সেখানে তখন মহামারী দেখা দিয়েছিল। এতে ব্যাপক হারে লোক মারা যাচ্ছিল। আমি উমর (রাঃ) এর কাছে বসাছিলাম।এমন সময় একটি জানাযা অতিক্রম করলো এবং তার সম্পর্কে ভালো ধরনের মন্তব্য করা হল। তা শুনে উমর (রাঃ) বললেন, ওয়াজিব হয়ে গেছে। এরপর আরেকটি জানাযা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এবং তার সম্পর্কেও ভালো মন্তব্য করা হল। তা শুনে তিনি বললেন, ওয়াজিব হয়ে গেছে। এরপর তৃতীয় জানাযা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এবং তার সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করা হল। এবারও তিনি বললেন, ওয়াজিব হয়ে গেছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কি ওয়াজিব হয়ে গেছে, হে আমীরুল মু'মিনীন? তিনি বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেমন বলেছিলেন, আমি তেমন বললাম। (তিনি বলেছিলেন) কোন মুসলিম সম্পর্কে চার জন লোক ভাল সাক্ষ্য দিলে আল্লাহ্ তাঁকে জান্নাতে দাখিল করবেন। তিনি বললেন, তিনজন সাক্ষ্য দিলেও।আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, দু'জন সাক্ষ্য দিলে? তিনি বললেন, দু'জন সাক্ষ্য দিলেও। এরপর আমরা একজনের সাক্ষ্য সম্পর্কে তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করিনি।
একবার রাসুল (সা) কে কিয়ামত কখন সংঘটিত হবে তা নিয়ে ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন যা মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে। যেমন: এক গোলাম বার্ধক্যে পৌছানোর পূর্বে কিয়ামত সংঘটিত হওয়া। অথচ সেই গোলাম হাজার বছর পূর্বে মারা গেলেও কিয়ামত এখনো সংঘটিত হয়নি।
রেফারেন্স:
৭১৪৪। হারুন ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুগীরা ইবনু শুবা (রাঃ) এর এক গোলাম একদা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল, সে ছিল আমার সমবয়স্কা। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যদি তার হায়াত দীর্ঘায়িত হয় তবে সে বার্ধক্যে পৌছার পূর্বেই কিয়ামত কায়িম সংগঠিত হবে।
باب قُرْبِ السَّاعَةِ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ مَرَّ غُلاَمٌ لِلْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ وَكَانَ مِنْ أَقْرَانِي فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ; إِنْ يُؤَخَّرْ هَذَا فَلَنْ يُدْرِكَهُ الْهَرَمُ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ ;
حدثنا هارون بن عبد الله، حدثنا عفان بن مسلم، حدثنا همام، حدثنا قتادة، عن انس، قال مر غلام للمغيرة بن شعبة وكان من اقراني فقال النبي صلى الله عليه وسلم ; ان يوخر هذا فلن يدركه الهرم حتى تقوم الساعة
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
এবার নবীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন:
এক হাদিসে এমনটা উল্লেখ আছে,আবূ উসায়দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে বের হয়ে শাওত নামক বাগানের নিকট দিয়ে চলতে চলতে দু’টি বাগান পর্যন্ত পৌছলাম এবং এ দু’টির মাঝে বসলাম। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা এখানে বসে থাক। তিনি (ভিতরে) প্রবেশ করলেন। তখন নু’মান ইব্ন শারাহীলের কন্যা উমাইমার খেজুর বাগানস্থিত ঘরে জাওনিয়াকে আনা হয়। আর তাঁর খিদমতের জন্য ধাত্রীও ছিল। নবী (সা.) যখন তার কাছে গিয়ে বললেন, তুমি নিজেকে আমার কাছে সমর্পণ কর। তখন সে বললঃ কোন রাজকুমারী কি কোন সাধারণ বাজারিয়া ব্যক্তির কাছে নিজেকে সমর্পণ করে? রাবী বলেনঃ এরপর তিনি তাঁর হাত প্রসারিত করলেন তার শরীরে রাখার জন্য, যাতে সে শান্ত হয়। সে বললঃ আমি আপনার থেকে আল্লাহর নিকট পানাহ চাই। তিনি বললেনঃ তুমি উপযুক্ত সত্তারই আশ্রয় নিয়েছ। এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের নিকট বেরিয়ে আসলেন এবং বললেনঃ হে আবূ উসায়দ! তাকে দু’খানা কাতান কাপড় পরিয়ে দাও এবং তাকে তার পরিবারের নিকট পৌঁছিয়ে দাও। [৫২৫৭] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৬৫
এখানে প্রশ্ন হল:
একজন নবী কিভাবে একজন বেগানা নারীকে নিজের নিকট সমর্পণ করতে বলতে পারে? আর নবীর উদ্দেশ্য খারাপ ছিল বলেই সেই নারী আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়েছিল। আবার নবী হাত দ্বারা সেই নারীকে স্পর্শ করে শান্ত করতে চাইলেন অথচ আমরা জানি বিবাহ ব্যতিরেক নারীকে স্পর্শ করা হারাম। তাহলে রাসুল (সা) কিভাবে এমনটা করতে পারেন?
আমরা জানি, শিশুরা নিষ্পাপ। এক হাদিসে উল্লেখ আছে, অমুসলিম নাবালক মারা গেলে তারা তাদের বাপ দাদ্র অনুসারি হবে অর্থাৎ জাহান্নামি হবে।
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মাবুষ যার বিচার বুদ্ধি রয়েছে তার নিকট ইসলামের দাওয়াত পৌছানোর পরেও সে কাফির থেকে গেলে তার জন্য জাহান্নাম এটা যৌক্তিক। কিন্তু নাবালক যে কিনা কিছুই বোঝেনা, কেবল অমুসলিম পরিবারে জন্ম নেয়ার জন্যই সে নাবালক অবস্থায় মারা গেলেও জাহান্নামি হবে এটা কোন বিচারে যৌক্তিক।
আশা করি, প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিবেন।