আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
241 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (45 points)

1. আমার আমানত একজন খেয়ানত করেসে . তারপর আমি ওই বিষয় তা একজন বিশ্বস্ত বন্ধুর সাথে কথা বলেসি যাতে সে আমাকে সাহাজ্য করতে পারে . এই ক্ষেত্রে আমি কি তার নাম গীবত করলাম নাকি এই ক্ষেত্রে বলা জায়েজ আসে .

2. কেউ যদি কারো সামনে তাকে অপমান অথবা তার দুর্বলতা নিয়ে খিল্লি করে সেই ক্ষেত্রে তার কি করা উচিত তার সাথে ঝগড়া তে যাবে নাকি ফিরে এসে আল্লাহর কাসে দুআ করবে ?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ: " أَنَّ رَجُلًا اسْتَأْذَنَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا رَآهُ قَالَ: ( بِئْسَ أَخُو العَشِيرَة ِ، وَبِئْسَ ابْنُ العَشِيرَةِ ) ، فَلَمَّا جَلَسَ تَطَلَّقَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي وَجْهِهِ وَانْبَسَطَ إِلَيْهِ ، فَلَمَّا انْطَلَقَ الرَّجُلُ ، قَالَتْ لَهُ عَائِشَةُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ ، حِينَ رَأَيْتَ الرَّجُلَ قُلْتَ لَهُ كَذَا وَكَذَا، ثُمَّ تَطَلَّقْتَ فِي وَجْهِهِ وَانْبَسَطْتَ إِلَيْهِ؟ ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ( يَا عَائِشَةُ، مَتَى عَهِدْتِنِي فَحَّاشًا، إِنَّ شَرَّ النَّاسِ عِنْدَ اللَّهِ مَنْزِلَةً يَوْمَ القِيَامَةِ مَنْ تَرَكَهُ النَّاسُ اتِّقَاءَ شَرِّهِ)
একব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সাক্ষাতের অনুমতি প্রার্থনা করল,যখন রাসূলুল্লাহ সাঃ তাকে দেখলেন,তিনি বললেন,এই ব্যক্তি কবিলার সবচেয়ে নিকৃষ্টতম ব্যক্তি।অতঃপর যখন ঐ ব্যক্তি বসল,রাসূলুল্লাহ সাঃ তার সাথে খুশীমনে আলোচনা করলেন।যখন ঐ ব্যক্তি চলে গেল,তখন হযরত আয়েশা রাযি বললেন,ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ! আপনি যখন ঐ ব্যক্তিকে দেখেছিলেন,তখন এমন এমন(মন্দ) বলেছিলেন।কিন্তু সে সামনে আসার পর তার সাথে সুন্দর ও নরম ব্যবহার করলেন।তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,হে আয়েশা!তুমি কি কখনো আমাকে অশালীন বাক্যালাপ করতে দেখেছো।কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট সবচেয়ে খারাপ লোক হচ্ছে সেই ব্যক্তি যাকে তার ক্ষতির আশংকায়  লোকজন পরিত্যাগ করে থাকে।(সহীহ বোখারী-৬০৩২,সহীহ মুসলিম-২৫৯১)

মিরকাতুল মাফাতিহ কিতাবে ৪৮৩০ নং হাদীসের ব্যখ্যায় মোল্লা আলী ক্বারী রাহ লিখেন,
وفيه مداراة من يتقى فحشه وجواز غيبة الفاسق. وفي شرح السنة: فيه دليل على أن ذكر الفاسق بما فيه ليعرف أمره فيتقى لا يكون من الغيبة، ولعل الرجل كان مجاهرا بسوء أفعاله ولا غيبة لمجاهر. قال النووي: ومن الذين يجوز لهم الغيبة المجاهر بفسقه أو بدعته، فيجوز ذكره بما يجهر به ولا يجوز بغيره 
এই হাদীস দ্বারা বুঝা গেল যে,যার থেকে খারাবীর অাশংকা রয়েছে তার সাথে বাহ্যিক ভাল ব্যবহার করার অনুমোদন রয়েছে।এবং এই হাদীস থেকে আরও বুঝা গেল যে,অন্যকে ফাসিকের ক্ষতি থেকে বাঁচাতে ফাসিকের পরিচয় প্রদান করা গিবতের অন্তর্ভুক্ত হবে না।সম্ভবত ঐ ব্যক্তি প্রকাশ্যে ফিসকের কাজে লিপ্ত ছিলো।আর প্রকাশ্যে ফিসকের কাজে লিপ্ত ব্যক্তিদের সমালোচনা করা গিবতের অাওতাধীন নয়।ইমাম নববী রাহ বলেন,যারা প্রকাশ্যে ফিসক বা গোনাহের কাজে লিপ্ত, তাদের গিবত করা জায়েয।যে সমস্ত গোনাহ কে সে প্রকাশ্যে করবে সেগুলোর সমালোচনা করা জায়েয।তবে গোপনের গোনাহগুলির সমালোচনা করা যাবে না।


সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি আপনার উদ্দেশ্য থাকে,তার কাছ থেকে সাহায্য গ্রহণ করা তাহলে এক্ষেত্রে আপনার কোনো গোনাহ হবে না।যদিও আপনার উচিৎ ছিলো,কারো নিকট প্রকাশ না করা।
কিছু ক্ষেত্রে গিবত জায়েয রয়েছে,এ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1715


(২)
কেউ যদি কারো সামনে তাকে অপমান অথবা তার দুর্বলতা নিয়ে খিল্লি করে থাকে,তাহলে ঝগড়াতে না গিয়ে বরং সবর ও ধর্য্যধারণ করাই শ্রেয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...