জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
,
শরীয়তের বিধান মতে এমন জায়নামাজে নামাজ পড়তে কোনো গুনাহ নেই।
,
কাবা ঘরের ছবিযুক্ত জায়নামাজে বসায় কোনো অসুবিধা নেই। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া : ৭/১১১, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ১২/৩৮০)
তবে কোন নামাযীর সামনে বা তার জায়নামাযে কোন প্রকার ছবি না থাকাই বাঞ্ছনীয়; যাতে করে ছবিগুলো তার মনোযোগ বিঘ্নিত না করে।
,
ইমাম বুখারী (৩৭৩) ও ইমাম মুসলিম (৫৫৬) আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কারুকাজ বিশিষ্ট একটি কাপড়ে নামায পড়লেন এবং একবার কারুকাজের দিকে তাঁর দৃষ্টি গেল। নামায শেষে তিনি বললেন: আমার এ কাপড়টি আবু জাহমের কাছে নিয়ে যাও এবং আবু জাহমের আনবিজানী (শামের একটি স্থানে উৎপাদিত) কাপড়টি নিয়ে আস। কারণ একটু আগে এ কাপড়টি আমার নামাযে মনোযোগ নষ্ট করতে যাচ্ছিল। হিশাম বিন উরওয়া তাঁর পিতা থেকে তিনি আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: নামাযে কারুকাজগুলোর উপর আমার দৃষ্টি যাচ্ছিল। তাই আমার আশংকা হচ্ছিল এটি আমাকে ফিতনায় ফেলে দিবে।
শাইখ উছাইমীন (রহঃ) কে এমন জায়নামাযে নামায পড়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয় যেগুলোতে মসজিদের ছবি আছে। জবাবে তিনি বলেন: আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে ইমামের জায়নামাযে মসজিদের ছবি থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। যেহেতু হতে পারে এটি ইমামের মনোযোগ বিঘ্নিত করবে, তার দৃষ্টিকে আকর্ষণ করবে। এভাবে নামাযে ত্রুটি ঘটাবে। এ কারণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নকশাবিশিষ্ট কাপড়ে নামায পড়েছিলেন এবং একবার নকশার দিকে তাঁর দৃষ্টি পড়ে যায় তখন নামায শেষে তিনি বলেন: "আমার এ কাপড়টি আবু জাহমের কাছে নিয়ে যাও এবং আবু জাহমের আনবিজানী (শামের একটি স্থানে উৎপাদিত) কাপড়টি নিয়ে আস। কারণ একটু আগে এ কাপড়টি আমার নামাযে মনোযোগ নষ্ট করতে যাচ্ছিল।" আয়েশা (রাঃ) এর হাদিস হিসেবে সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিমে বর্ণিত।
যদি ধরে নেয়া হয় যে, এর দ্বারা ইমামের মনোযোগ নষ্ট হবে না; যেহেতু ইমাম অন্ধ কিংবা বহুবার দেখতে দেখতে তার কাছে এটি উল্লেখযোগ্য কিছু নয় ও নজর দেয়ার মত কিছু নয়— সেক্ষেত্রে আমরা এতে নামায পড়ায় কোন অসুবিধা দেখছি না। আল্লাহ্ই তাওফিকদাতা।[মাজমুউ ফাতাওয়াস শাইখ বিন উছাইমীন (১২/৩৬২)]