আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
786 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (36 points)
আমি একজন আলেমের ভিডিওতে শুনেছি জায়নামাজে কাবা ঘরের ছবির প্রচলন ইহুদী খ্রীষ্টানরা করেছে।আমার কাছে দুটি জায়নামাজ আছে।একটিতে মসজিদের গম্বুজ বা মিনারের তিনটি ছবি আছে আর একটিতে জায়নামাজের মাঝে সুতা  দিয়ে বড় গম্বুজের মত নকশার ভিতরে ছোট ছোট নকশা আছে ।আমার প্রশ্ন হল এইগলোতে কী আমি নামাজ পড়তে পারব কিনা?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

,
শরীয়তের বিধান মতে এমন জায়নামাজে নামাজ পড়তে কোনো গুনাহ নেই।
,
কাবা ঘরের ছবিযুক্ত জায়নামাজে বসায় কোনো অসুবিধা নেই। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া : ৭/১১১, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ১২/৩৮০)

তবে কোন নামাযীর সামনে বা তার জায়নামাযে কোন প্রকার ছবি না থাকাই বাঞ্ছনীয়; যাতে করে ছবিগুলো তার মনোযোগ বিঘ্নিত না করে। 
,
আরো জানুনঃ 

ইমাম বুখারী (৩৭৩) ও ইমাম মুসলিম (৫৫৬) আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কারুকাজ বিশিষ্ট একটি কাপড়ে নামায পড়লেন এবং একবার কারুকাজের দিকে তাঁর দৃষ্টি গেল। নামায শেষে তিনি বললেন: আমার এ কাপড়টি আবু জাহমের কাছে নিয়ে যাও এবং আবু জাহমের আনবিজানী (শামের একটি স্থানে উৎপাদিত) কাপড়টি নিয়ে আস। কারণ একটু আগে এ কাপড়টি আমার নামাযে মনোযোগ নষ্ট করতে যাচ্ছিল। হিশাম বিন উরওয়া তাঁর পিতা থেকে তিনি আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: নামাযে কারুকাজগুলোর উপর আমার দৃষ্টি যাচ্ছিল। তাই আমার আশংকা হচ্ছিল এটি আমাকে ফিতনায় ফেলে দিবে।

শাইখ উছাইমীন (রহঃ) কে এমন জায়নামাযে নামায পড়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয় যেগুলোতে মসজিদের ছবি আছে। জবাবে তিনি বলেন: আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে ইমামের জায়নামাযে মসজিদের ছবি থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। যেহেতু হতে পারে এটি ইমামের মনোযোগ বিঘ্নিত করবে, তার দৃষ্টিকে আকর্ষণ করবে। এভাবে নামাযে ত্রুটি ঘটাবে। এ কারণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নকশাবিশিষ্ট কাপড়ে নামায পড়েছিলেন এবং একবার নকশার দিকে তাঁর দৃষ্টি পড়ে যায় তখন নামায শেষে তিনি বলেন: "আমার এ কাপড়টি আবু জাহমের কাছে নিয়ে যাও এবং আবু জাহমের আনবিজানী (শামের একটি স্থানে উৎপাদিত) কাপড়টি নিয়ে আস। কারণ একটু আগে এ কাপড়টি আমার নামাযে মনোযোগ নষ্ট করতে যাচ্ছিল।" আয়েশা (রাঃ) এর হাদিস হিসেবে সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিমে বর্ণিত।

যদি ধরে নেয়া হয় যে, এর দ্বারা ইমামের মনোযোগ নষ্ট হবে না; যেহেতু ইমাম অন্ধ কিংবা বহুবার দেখতে দেখতে তার কাছে এটি উল্লেখযোগ্য কিছু নয় ও নজর দেয়ার মত কিছু নয়— সেক্ষেত্রে আমরা এতে নামায পড়ায় কোন অসুবিধা দেখছি না। আল্লাহ্ই তাওফিকদাতা।[মাজমুউ ফাতাওয়াস শাইখ বিন উছাইমীন (১২/৩৬২)]


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...