আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
28 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (63 points)
কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়েছি। সী বিচে ঘোড়ার একটা রাইড নিব। আমি আর ওয়াইফ ছিলাম। দাম করলাম ২০০ টাকা চাইল। আমি ১৫০ টাকা বললাম। তারপর এটা নিয়ে অনেকক্ষণ বার্গেনিং করলাম। কিন্তু ভাড়া কত নির্ধারিত হল তা স্পষ্ট হল না। আমার ধারণা হল ১৫০ তেই রাজি হয়েছে। আমার ওয়াইফ বলল সে একা উঠবে। একাই রাইড নিবে। আমার বাজেট ২০০ ই ছিল।

কিন্তু তখন ঘোড়ার মালিক আমাকে ডাক দিয়ে ঘোড়ায় উঠতে বলল। আমি উঠলাম। তারপর বললাম ওয়াইফ কে তুলতে। আমি ঠিকমত বসতে পারছিলাম দেখে, মালিক বলল যে ওয়াইফ কে বসানো যাবেনা। আমাকে একটু ঘুরিয়ে আবার ওয়াইফ কে আলাদা ঘুরাবে। আমি ভাবলাম এক রাইড ই, হয়ত আলাদা আলাদা করে ঘুরাবে।

কিন্তু আমার রাইড শেষ হবার পর,  ওই মালিক আমার ওয়াইফ কে ও আমার সাথে তোলে। তারপর আমি আর আমার ওয়াইফ একটা রাইড নেয়। তারপর আমি ঘোড়া থেকে নেমে যাবার পর আমার ওয়াইফ কে আবার একা রাইড করায়।

শেষে গিয়ে ওই মালিক আমার কাছে ৮০০ টাকা দাবি করে। ৩ রাইডের জন্য। আমার আর ওয়াইফের সিংগেল রাইড ২০০ করে ৪০০ আর আমি আর আমার ওয়াইফ এর একসাথে রাইড ৪০০।
আমি তো অবাক। শুরুতে আমি চাইলাম, একটা রাইড তাও আমার ওয়াইফের। ভাড়া দিতাম ১৫০। সেটা ঠিক হবার পর মালিক আমার কাছে কোন কিছু ক্লিয়ার না করেই ৩ টা রাইড নেয়াল। সে তো বলেও নি এর জন্য অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে।
আবার আমার ওয়াইফ কে প্রথমে আমার সাথে উঠাল না। বলল আমার ওয়াইফ বসতে পারবেনা। কারণ আমিই ঠিকমত বসতে পারছিলাম না। পরে আমার রাইড শেষ হলে ঠিকই আমার ওয়াইফ কে বসাল। এ কাজ টা তো সে শুরুতেই করতে পারত। তাহলে আমি ৩ রাইড নিতাম না। তাছাড়া আমার যতটুকু মনে পড়ে আমি ১৫০ টাকার কথা বলেছিলাম। ২ জন উঠায় নাহয় ২০০ ই দিতাম।
এখন শেষ মেষ রাইড শেষ করে আমি বলেছি আমি ৫০০ টাকার বেশি দিতে পারব না। একচুয়ালি সে ২০০ এর বেশি পায়ই না। কারণ সে ২০০ টাকা চাওয়ার সময় এক ঘোড়ায় কয়জন উঠব তা বলে দেয়নি। বা এটাও বলেনি একজন উঠলে ২০০, ২ জন উঠলে ৪০০। সে শুধু রাইড এর কথা বলেছে। আর দামাদামির সময় আমরা ২ জন ছিলাম। আবার একসাথে রাইড দিতে চেয়েছিলাম।

কিন্তু সে প্রতারণা করল, রাইড বাড়িয়ে দিল।

আবার আমরা যে খুব বেশি দূর গিয়েছি তাও না। সব মিলিয়ে ১০ মিনিটের মত ছিলাম। খুব বেশি দূর যাইনি। ৫০ মিটার হবে হয়ত।
পরে বাক বিতন্ডা করে আমি বলেছি আমি ৫০০ এর বেশি এক টাকাও দিব না। তখন ছেলেটা বলে আপনি ৩ রাইড ৬০০ টাকা দেন। পরে আমি ৫০০ টাকাই ধরিয়ে দিই জোর করে। তারপর চলে আসি।
আমার যতটুকু মনে পড়ে আমি ১৫০ বলেছিলাম। ২০০ তে রাজি হইনি। এ বিষয়টা অস্পষ্ট। কারণ, আমার ঠিকমত মনে পড়ছেনা আমি ২০০ তে রাজি হয়েছিলাম কিনা। আবার ঘোড়ার মালিক ও ঘোড়ায় তোলার জন্য জোরাজুরি করছিল। তাই ৩ রাইড ৪৫০ আসে। সাথে ৫০ টাকা এক্সট্রা।
বুঝতে পারলাম না আমি ঠিক করলাম না ভুল করলাম।

ওদিকে আমার ওয়াইফ বলতেসে, সেই নাকি প্রথমে ঘোড়ায় আমার সাথে বসতে চায়নাই। ভয় লাগে দেখে। ঘোড়াম মালিক নাকি বলেছিল দুইজন বসতে পারবে। আবার ১৫০ টাকায় ও রাজি হয়নাই।

তবে, আমার, আমার ওয়াইফ অনুযায়ী নিচের বিষয়গুলোতে নিচের বিষয়গুলো নিশ্চিত:

আমার ওয়াইফ একা রাইড নিতে চেয়েছিল। কিন্তু ঘোড়ার মালিক আমাকে প্রথমে উঠায়। তার পীড়াপীড়ি তে আমি উঠি। অথচ আমার উঠার কথাই ছিল না।  পরে আমরা ২ জন উঠি আর পরে আমি ঘোড়া থেক্র নেমে যাই,, ওয়াইফ থাকে। আর বাকি বিষয়গুলো অস্পষ্ট। আমার মনে হচ্ছে একরকম,  আমার ওয়াইফ বলছে আরেক রকম।
ঘোড়ার মালিক  এক প্রকার বাধ্য হয়েই ৫০০ টাকা নিয়ে চলে গেছে। শেষ মেষ ৬০০ চেয়েছিল। আর আমাদের এক রাইড ই নেয়ার কথা হয়েছিল শুরুতে,  যেটা আমার ওয়াইফ নিবে। তার মূল্য ২০০।  আমি কি তার হক নস্ট করলাম।

1 Answer

0 votes
by (671,280 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 

হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ-

عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি যদি সত্যিই শুরুতে ঘোড়ার রাইড এর ভাড়া দেড়শ টাকা বলে থাকেন, আর মালিক যদি আপনার সাথে বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে সমাধান না করেই আপনাদের ঘোড়ায় উঠায়, সেক্ষেত্রে আপনি যে ৩ রাইড বাবদ 500 টাকা দিয়েছেন, এটি সঠিক হয়েছে। 

(এক্ষেত্রে তো তারা 450 টাকা পায়, আপনি আরো ৫০ টাকা তাদেরকে বেশি দিয়েছেন।)

আর যদি আপনি শুরুতে রাইড এর ভাড়া দেড়শ টাকা না বলে থাকেন, এক্ষেত্রে তারা ৬০০ টাকা পাওয়ার হকদার।

আপনি অন্য কোন সময় সেই এলাকায় গেলে আপনি বাকি একশত টাকা তাদেরকে দিয়ে দিবেন।

আর যদি কোনক্রমে সেখানে আর না যাওয়া হয় সেক্ষেত্রে একশত টাকা দান করে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...