জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হজ কার উপর ফরজ,বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০২)
শুধু এতটুকু জানা জরুরি যে কার কার উপর হজ ফরজ হবে।
আর কার উপর হজ ফরজ হবেনা।
,
আর যার উপর হজ ফরজ হয়েছে,তার জন্য হজের যাবতীয় মাসয়ালা জানা জরুরি।
(০৩)
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-
ولله على الناس حج البيت من استطاع اليه سبيلا، ومن كفر فان الله غنى عن العلمين.
(তরজমা) মানুষের মধ্যে যারা সেখানে (বায়তুল্লাহ) পৌঁছার সামর্থ্য রাখে তাদের উপর আল্লাহর উদ্দেশ্যে এ গৃহের হজ্ব করা ফরয। আর কেউ যদি অস্বীকার করে তাহলে তোমাদের জেনে রাখা উচিত যে, আল্লাহ তাআলা সৃষ্টিজগতের প্রতি মুখাপেক্ষী নন।-সূরা আলে ইমরান (৩) : ৯৭
হজ্বের নির্দেশ পালনের প্রতিদান কী তা সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইরশাদ
مَنْ حَجَّ لله فَلَمْ يَرْفُثْ، وَلَمْ يَفْسُقْ رَجَعَ كَيَوْمِ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ
যে আল্লাহর জন্য হজ্ব করল অতপর তাতে অশ্লীল কর্ম ও গোনাহের কাজ থেকে বিরত থাকল সে ঐ দিনের মতো (নিষ্পাপ) হয়ে যায় যেদিন সে ভ‚মিষ্ট হয়েছিল। (সহীহ বুখারী, হাদীস ১৫২১; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৩৫০)
,
হজ্বের সামর্থ্য হলো- ব্যক্তি শারীরিকভাবে সুস্থ হওয়া এবং বায়তুল্লাহতে পৌঁছার মত যানবাহন যেমন- বিমান, গাড়ী, সওয়ারী ইত্যাদির মালিক হওয়া অথবা এগুলোতে চড়ার মত ভাড়ারঅধিকারী হওয়া এবং যাদের ভরণপোষণ দেয়া ফরজ তাদের খরচ পুষিয়ে হজ্বে আসা-যাওয়া করার মত সম্পত্তির মালিক হওয়া। নারীর ক্ষেত্রে হজ্ব বা উমরার সফর সঙ্গি হিসেবে স্বামী বা মাহরাম কেউ থাকা। এর সাথে আরো যে শর্তটি যোগ করা যায় সেটা হচ্ছে- বায়তুল্লাহ শরিফে পৌঁছার ব্যয় তার আবশ্যকীয় খরচ, শরয়ি আইনানুগ খরচ, ঋণ ইত্যাদির অতিরিক্ত হওয়া।
খরচের ক্ষেত্রে ধর্তব্য হলো- হজ্ব থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত তার নিজের ও পরিবার-পরিজনের খরচ পোষানোর মত সামর্থ্য থাকা এবং ফিরে আসার পর তার নিজের ও নিজ পরিবারের খরচ চালানোর মত সামর্থ্য থাকা যেমন- বাসা ভাড়া, বেতন বা ব্যবসা ইত্যাদি ঠিক থাকা।
,
★সুতরাং কাহারো কাছে যদি হজ্বে যাওয়া,আসার বিস্তারিত খরচাদি পরিমান টাকা থাকে,হজ্ব থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত নিজের ও পরিবার-পরিজনের খরচ পোষানোর মত সামর্থ্য থাকে এবং ফিরে আসার পর নিজের ও নিজ পরিবারের খরচ চালানোর মত সামর্থ্য থাকে,কোনো যদি ঋন না থাকে,তাহলে তার উপর হজ ফরজ হবে।
.
প্রয়োজন থেকে অতিরিক্ত ভূমি থাকলেও হজ ফরজ হবে।