আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
19 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ

হুজুর আমি দীর্ঘদিন যাবত জিনজাদুর সমস্যায় ভুগতেছি। বিশেষ করে আমার বিয়ে বন্ধের জাদু করা হচ্ছে এবং জিনের সমস্যা আছে। সেজন্য আমি রুকইয়াহ করতেছি নির্দিষ্ট একটা রুকইয়াহ সেন্টারে। প্রায় দুই বছর ধরে রুকইয়াহ সেন্টারে ট্রিটমেন্ট করতেছি কিন্তু সুস্থ অসুস্থ এই অবস্থায় চলতেছে।কিন্তু আমার বাসা থেকে হুজুর কবিরাজ দেখানোর জন্য বারবার জোর করতেছে অনেকদিন ধরে। এক্ষেত্রে আমি একপর্যায়ে রাগ হয়ে আল্লাহর  নামে কসম করি এবং বলি যে আমাকে যদি সত্যি কোন হুজুর কবিরাজ দেখায়, তাদের সাহায্য নিয়ে বিয়ে করতে হয় এবং আমাকে যদি কোন ব্যাংকার পরিবারে বিয়ে করে যেতে হয় তাহলে আমি আর কোনদিন কোন মানুষকে দ্বীনের দাওয়াত দেবো না। ব্যক্তিগতভাবে আমি তাবলীগ জামাতের উলামায়ে কেরামদের মেহনতের সাথে যুক্ত আছি। পরবর্তীতে আমাকে না জানিয়ে আমার বাসা থেকে এক মাদ্রাসার হুজুরের কাছ থেকে আমার বিয়ের ব্যাপারে ট্রিটমেন্ট নিয়ে আসে।
তারা বলে যে, তুমি কসম কাটছো তুমি যাবা না। তাই আমরা যেয়ে নিয়ে আসছি, যাতে তোমার কসম না ভাঙে। হুজুরের কাছ থেকে যে জিনিসগুলো আনছে সেগুলো আমি এখনো ব্যবহার বা আমল করি নাই। সামনে হয়তো করা লাগতে পারে।
১)এখন এক্ষেত্রে আমার কি কসম ভাঙছে? কারণ আমি নিজে না গেলেও আমার বিয়ের ব্যাপারেই তো ট্রিটমেন্ট টা আনা হয়েছে.....

২) তারা আমার জন্য আমাকে না জানিয়ে এরকম ট্রিটমেন্ট নিয়ে আসছে শুনে আমি অনেক রেগে যাই, এবং শুক্রবার দিন দুপুরের পরে আসরের আগে সেই হুজুরসহ আমার পুরো পরিবারকে বদদোআ বা অভিশাপ দেই যেন সবাই ধ্বংস হয়ে যায়। সত্যি বলতে আমি মন থেকে বদ দোয়া করি নাই, তারা ট্রিটমেন্ট আনার পর থেকে আমার শরীরে অনেক ধরনের সমস্যা হচ্ছে লাস্ট কয়দিন ধরে যে কারণে আমার ব্রেন আমার কন্ট্রোলে থাকতেছেন এবং সবার উপর অনেক রাগ হচ্ছে, সবাইকে জবাই করে খুন করে ফেলতে ইচ্ছা করতেছে। ঘর থেকে বের হয়ে চলে যেতে ইচ্ছা করতেছে। মরে যেতে ইচ্ছা করতেছে। যদিও আমি জানি নিজের মৃত্যুর দোয়া করা নিষেধ।

এখন এক্ষেত্রে কি আমার বদদোয়া সবার জন্য লেগে যাবে? আমার জন্য কি সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবে? এক্ষেত্রে এখন আমার বদদোয়া যেন সবার না লাগে সেজন্য আমি কি করতে পারি? আমি যদিও আসরের পরে দোয়া কবুলের সময় আল্লাহর কাছে বারবার মাফ চাইছি এবং বলছি যে আমার বদ দোয়া যেন কারো উপর না লাগে, আমার বদ দোয়া আমি ফিরাই নিচ্ছি  আল্লাহ পাক  যেন কবুল না করেন। আর অতীতে বিভিন্ন সময় আমার দোয়া করা আছে যে, আমি যদি কখনো কাউকে বদদোআ করি সেটা যেন তাদের জন্য রহমতস্বরূপ কল্যাণকর স্বরূপ হয়। আমার পরিবারের লোকজনও অনেক কষ্ট পেয়েছে যে নিজের পরিবার কে এভাবে বদ দোয়া করছি। এখন আমার বদদোয়ার প্রভাব তাদের উপর যেন না পড়ে এজন্য কি করতে পারি?

1 Answer

0 votes
by (705,480 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনি কসম করে বলেছিলেন যে,
"আল্লাহর নামে কসম করি এবং বলি যে আমাকে যদি সত্যি কোন হুজুর কবিরাজ দেখায়, তাদের সাহায্য নিয়ে বিয়ে করতে হয় এবং আমাকে যদি কোন ব্যাংকার পরিবারে বিয়ে করে যেতে হয় তাহলে আমি আর কোনদিন কোন মানুষকে দ্বীনের দাওয়াত দেবো না।"

এখানে তো নিজে কবিরাজের কাছে যাওয়া না যাওয়ার কোনো বিষয় নেই।  হ্যা, যদি এমন হয় যে, আপনি নিজে না যাওয়ার কসম করেছিলেন, কিন্তু এখানে উল্লেখ করেন নাই, তাহলে যেহেতু আপনি নিজে যাননি, তাই আপনার কসম ভঙ্গ হবে না।

বদদু'আ দেওয়ার পর এখন তাদের কল্যাণের জন্য দু'আ করবেন। এবং অতীতে বদদু'আ দেওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন।
মনে রাখবেন বিয়ে শাদি আল্লাহর হুকুমেই হয়ে থাকে।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি-থেকে বর্ণিত তিনি বলেন-
ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ اﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ: ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ اﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ -( «ﻛَﺘَﺐَ اﻟﻠَّﻪُ ﻣَﻘَﺎﺩِﻳﺮَ اﻟْﺨَﻼَﺋِﻖِ ﻗَﺒْﻞَ ﺃَﻥْ ﻳَﺨْﻠُﻖَ اﻟﺴَّﻤَﺎﻭَاﺕِ ﻭَاﻷَْﺭْﺽَ ﺑِﺨَﻤْﺴِﻴﻦَ ﺃَﻟْﻒَ ﺳَﻨَﺔٍ)ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ.
আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মানুষের তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করেছেন আসমান-যমীন সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর পূর্বে এবং তিনি যার ভাগ্যে যা লিপিবদ্ধ করেছেন তাই ঘটবে।(ছহীহ মুসলিম, মিশকাত হাদীস নং/৭৯)।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/58


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...