আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
34 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)
১.কলের পানিতে এক ধরনের গন্ধ অনুভব করলাম। আমার ধারণা এটি নাপাকির গন্ধ নয়
বৃষ্টির কারণে হয়ত এমন হয়েছেন।এটা আমার প্রবল ধারণা।এখন এই পানি দিয়ে ওযু গোসল করা কি জায়েজ?

২.জামাতে নামাজের সময় দুইবার "সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা" বলার পর ইমাম সাহেব তাকবির দিলে অমি ভুল করে উঠে পড়ি।এতে আমার নামাজ কি ভেঙ্গে গিয়েছে?

৩.ধরুন, আব্বু আমাকে হাত খরচ এর জন্য টাকা দিল।এখন এই টাকার অবস্থা খুবই খারাপ।এই টাকা চলার মত না। এখন আমি যদি এই টাকা ব্যাবহার না করে আব্বুকে বলি যে ,এই টাকা কোন দোকানদার গ্ৰহণ করে না এবং আব্বুর কাছে আরেকটি টাকা দাবি করি আর আব্বু আমাকে নতুন টাকা দিয়ে দেয়।এখন ঐ টাকা আমার জন্য হালাল হবে? কারণ আমি মিথ্যা বলে টাকা পরিবর্তন করেছি।

৪.আমার পলিটেকনিক এডমিশনে  আবেদন এর শেষ তারিখ ছিল ১৪ ই আগষ্ট। এখন আমার আম্মু আব্বুকে বলে ৫ ই আগষ্ট আবেদনের শেষ তারিখ।এই মিথ্যা কথা বলার কারণ এই যে,আব্বু টাকা দিতে গড়িমসি করতে পারে।আব্বু পরে টাকা দিয়ে দেয় (সম্ভবত ৬/৭ তারিখে) আর আবেদন করা হয়।এখন এক্ষেত্রে আমি কি এডমিশন পরীক্ষা দিয়ে পলিটেকনিকে পড়াশোনা করতে পারবো? তা কি জায়েয হবে?

৫.ইমাম যদি নামাজে "সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলার সময় "লিমান" এর জায়গায় "লেমান" বলে তবে নামাজ কি ভেঙ্গে যাবে?

৬. রাতের বেলা মশার কারণে ঘুমাতে কষ্ট হয়।কয়েল জালালে মশা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে কয়েল আবার ক্ষতিকর।এক্ষেত্রে সাময়িকভাবে কয়েল ব্যাবহার করা কি জায়েজ?

৭.নামাজে ভুল করে প্রথম রাকাতে তাশাহুদ পড়েছি পরে ভুল বুঝতে পেরে আল্লাহু আকবার না বলে উঠে দাড়াই এবং সাহু সিজদা দিয়ে নামাজ শেষ করি। নামাজ কি হয়েছে?
(যোহর এর ২ রাকাত সুন্নত -১৬ ই এপ্রিল ২০২৫)

৮. আমার প্যান্টের তলায় ছিদ্র থাকায় আমি প্যান্টের নিচে জাঙ্গিয়া পরে নামাজ আদায় করতাম। কিন্তু হঠাৎ একদিন খেয়াল করি জাঙ্গিয়ার তলায় একটি ছিদ্র। তবে এই ছিদ্রটি প্যান্টের অন্য অংশ দিয়ে ঢাকা থাকে।আমি আগে এই ছিদ্র খেয়াল করিনি।এখন আমার পূর্বের নামাজ কি আদায় হয়েছে?

৯. আমার আম্মু সহ আরো মহিলারা কাপড় কাটার কাজ করে।যা দূর থেকে থেকে আনতে হয় (যতদূর জানি সফরের দূরত্বে না)। এখন আম্মু এই কাজগুলো দিয়ে আসে আর নিয়ে আসে। আমার আম্মু বাসে করে যায় আর তিনি বোরকা পরলেও মুখ খোলা রাখেন।কাজ শেষে কাপড়গুলো দিয়ে আসার সময় আমি প্রায়ই এই কাপড়ের বোঝা টেনে নিয়ে বাস এর কাছে দিয়ে আসি।এখন এই কাপড়ের বোঝা টানা কি জায়েয?

১০. ওয়াসা থেকে পানি তোলার সময় দুটি মেশিনের একটি নষ্ট থাকায় একটি মেশিনের দিকে প্রায় সবার সম্পতিতে দুটি লাইন বানানো হয়।এই দুটি লাইন বানানো কি জায়েয?

১১.মসজিদে জামাতে নামাজ পড়তে গিয়ে নিচের তলায় খালি না পেয়ে উপরের তলায় জামাত পড়তে গেলাম। সেখানে দেখলাম মুসল্লিরা ২য় তলায় সামনে  না দাঁড়িয়ে সিড়ি থেকে কিছুটা দূরে দাড়ায়। অর্থাৎ চিত্রের মত এরকম করে দাঁড়ায়।

                ২য় তলার দেয়াল

            
মুসল্লি

        ‌‌                   ২য় তলার সিড়ি

এভাবে নামাজ পড়লে নামাজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (705,360 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!(

১)জ্বী এই পানি দিয়ে ওযু গোসল করা জায়েয হবে।

(২) জামাতে নামাজের সময় দুইবার "সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা" বলার পর ইমাম সাহেব তাকবির দিলে আপনি ভুল করে উঠে পড়েন।এতে আপনার নামাজ ভঙ্গ হবে না। 

(৩)  বাবার কাছ থেকে এভাবে মিথ্যা এভাবে আরেকটি নোট নেওয়া জায়েয হবে না। কেউ নিয়ে নিলে বাবার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।

(৪) এডমিশন পরীক্ষা দিয়ে পলিটেকনিকে পড়াশোনা করতে পারবেন। বাবার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।

(৫) ইমাম যদি নামাজে "সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলার সময় "লিমান" এর জায়গায় "লেমান" বলে তবে নামাজ হয়ে যাবে। 

(৬)  সাময়িকভাবে কয়েল ব্যাবহার করা যাবে।

(৭) নামাজে ভুল করে প্রথম রাকাতে তাশাহুদ পড়া হলে পরবর্তীতে ভুল বুঝতে পেরে আল্লাহু আকবার না বলে  উঠে দাড়াই এবং সাহু সিজদা দিয়ে নামাজ শেষ করা হয়, তাহলে নামাজ হবে।

(৮) আপনার নামাজ আদায় হয়েছে।

(৯)জ্বী জায়েয।

(১০)  জায়েয হবে যদি ওয়াসা কম্পানির নিয়ম থাকে।

(১১) নামায হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (23 points)
১০ নং এ বর্ণিত দুইটি লাইন অস্থায়ীভাবে বানানো হয়। ওয়াসা কোম্পানির কোনো নির্দেশনা ছিলনা। এক্ষেত্রে জায়েয হবে?
by (705,360 points)
কম্পানির নিয়ম বা অনুমোদন না থাকলে তো জায়েয হবে না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...