আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ
১।কেউ ফেসবুকে পোস্ট করে যে ভবিষ্যতে কি হবে এরকম একটা মেশিন সেটা বলে দিবে ভবিষ্যতে কি হবে কত টাকার মালিক হবে ইত্যাদি। এসবে বিশ্বাস করলে শিরক হবে জানে। কিন্তু ঈমান ভাংতে পারে এটা না জেনে, এমনিতে ফেসবুকের এসব বিশ্বাস না করে মজার ছলে আকিদা ঠিক রেখে এসব করলে বা পোস্ট করলে কি ঈমান চলে যাবে?ইসলামকে নিয়ে ঠাট্টার উদ্দেশ্যে না।
২।এসব পোস্ট করা শিরক হতে পারে শুনার পর পোস্ট করে না এবং কোন ধরনের শিরক না জেনে মানে পোস্টের দ্বারা ঈমান চলে যাওয়ার মত সমস্যা হতে পারে না জেনে।তবুও মজার ছলে আকিদা ঠিক রেখে কেউ পোস্ট করে ফেললে কি তার ঈমান চলে যাবে?ইসলামকে নিয়ে ঠাট্টার উদ্দেশ্যে না এমনিতে।
৩।ইসলামকে অস্বীকার করার জন্য না এমনতে ওসব শিরক শোনার পর কেউ যদি বলে এসব তহ বিশ্বাস করে না এমনিতে পোস্ট করলেও ঈমান চলে যাবে নাকি এমন বললেও কি ঈমানে সমস্যা হবে?ইসলামকে অস্বীকার করার উদ্দেশ্য না থাকলে এমনিতে এমন বললে?
৪।ঐসব পোস্টে এমনিতে হা হা রিয়েক্ট দিলে কি ঈমান হবে?
৫। আগে কোন কুফরি কিছু করেছে পরে জানার পর তওবার কথা মাথায় না থাকলে ৪_৫ মিনিট পর বা আরো পরে মাথায় আসলে সাথে সাথে ইসতেগফার পড়ে অথবা অনুতপ্ত হয় ভয়ে এবং এরপরে নামাজ পড়ার সময় আবার তওবা করে কি কোন সমস্যা হবে ঈমানে?
৬।কোন মহিলা কষ্ট পেয়ে বা রাগ করে বললে আমি জন্ম নিয়ে ভুল হয়েছে,আল্লাহ আমাকে কেন বানাইলা,আল্লাহ কেন বানাইল ইত্যাদি।এসব যে কুফরি কথা সে জানেও না আর এসবের দ্বারা ঈমান চলে যেতে পারে এটা জানে না।। এসব কুফরি কথা আর ঈমান ভাঙার মত কথা কেউ না জেনে বললে এবং জানার পর তওবা করলে তার বিয়ে ও ঈমান ঠিক থাকবে?
৭। ৬ নং এর কথাগুলো এমনিতে বললে মানে কুফরির উদ্দেশ্যে না এমনিতে কষ্ট পেয়ে আকিদা ঠিক রেখে বললে কি ঈমান চলে যাবে?
৮। মেশিন লার্নিং আর AI মানুষের মত চিন্তা করতে পারবে ভবিষ্যতে এসব বললে মানে কুফরি কোন চিন্তা না থাকলে।মানে বিজ্ঞানিরা এমন করতেও মানে এমন মেমরি দিতে পারে এসব যে কুফরি হতে পারে সেটা না জেনে কেউ বললে বা বিশ্বাস করলে পরে মাথায় আসার পর তওবা করলে তার কি ঈমান আর বিয়ে ঠিক থাকবে?মনে মনে যদি থাকে আল্লাহ চাইলে সব সম্ভব।ইসলামের বিপক্ষে গিয়ে কোন কিছু বলার চিন্তা ও না করে তাহলে কি তার ঈমান ও বিয়ে ঠিক থাকবে